বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক ‘জঙ্গি’ সংগঠন আল কায়েদার কথিত অডিও বার্তাটি কীভাবে প্রচারিত হয় এবং এর উৎস কী তা নির্ণয় করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে র্যাব। রাসেল বিন সাত্তার নামে এক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র বাংলাদেশে এটি প্রচার করে যা পরবর্তী সময়ে মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যাবের দাবি, ‘বাংলাদেশ ম্যাসাকার বিহাউন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স’নামে অডিও বার্তাটি প্রথমে প্রকাশিত হয় গত বছরের ৬ নভেম্বর ৬টা ৩০ মিনিটে 'dawahilallah.wordpress.com’ নামে একটি সাইটে। পেজটি মূলত পরিচালিত হয় ‘বালাকোট মিডিয়ার’ পক্ষ থেকে। এটি পাকিস্তানভিত্তিক একটি সংগঠন। এ মিডিয়া প্রায় নিয়মিত ভাবেই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জিহাদের ডাক দিয়ে থাকে। এ পেজে ‘আল কায়েদা’ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরিসহ আরও অনেক আধ্যাতিক নেতাদের নামে বাণী প্রচার করা হয়।
‘বালাকোট মিডিয়ার’ সাইটে আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি রাসেলের ব্যক্তিগত ই-মেইল এর লিংক চলে আসে।
র্যাবের দাবি, রাসেলের সঙ্গে এ সাইটের লিংক অ্যাড করা আছে। ওখানে যা আপলোড করা হয় তখনই এটি রাসেলের মেইলে চলে আসে।
এরপর আল কায়েদার ওই অডিও ক্লিপটি পরবর্তী সময়ে 'jihadology.net’ এ বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।
এর আগে এ অডিও ক্লিপটি রাসেল তার নিজস্ব সাইটে 'islamrealo.wardpress.com’ ৮ ফেব্রুয়ারি ‘সাইলেন্ট জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ’নামে প্রচার করে।
এ ছাড়া রাসেল এ অডিওটি বিভিন্ন পেসবুক পেজেও প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। আর এর মাধ্যমেই এটি বাংলাদেশে ব্যাপক প্রচার পায়।
র্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগাল উইংয়ের পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাসেল টাঙ্গাইলের একটি টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউটের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং একজন দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ। তিনি ফেসবুক এবং কয়েকটি ওয়েব সাইটের অ্যাডমিন। তার নিয়ন্ত্রিত এসব সাইট এবং পেজে তিনি এর আগেও বিভিন্ন উগ্র মতবাদ এবং বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাতেন।
তিনি আরও জানান, রাসেল তার তৈরিকৃত ফেসবুক পেজ ‘আমার দেশ ভাবনা’, ‘বাশের কেল্লা ভার্সন-২’, ‘দৃষ্টিভঙ্গি’, ‘গণতন্ত্র নিপাত যাক’, ‘ব্লগার রাসেল ’ ইত্যাদি পেজে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী আর্টিকেল এবং ছবি আপলোড করে আসছে। এমনকি গত বছর ৫ মে হেফাজতের ঘটনার পর ৭ মে তিনি তার নিজস্ব ই মেইল আইডি 'krasel173@yahoo.com’ থেকে ইরানের পেসিডেন্টের মেইলে 'mass killing on protesters in Dhaka at night by armed joint force at least killed thousands.’.’ শিরোনামে মেইল করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মো. রাসেল বিন সাত্তার দেশবিরোধী বিভিন্ন প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। এমনকি তিনি উগ্র ইসলামী চেতনা ধারণ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে উগ্র মতবাদ প্রচার করেন। তার কর্মকাণ্ড গবেষণায় এটি ধারণা করা যায় যে, তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং এ সব জঙ্গি সংগঠনের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়েছেন।
রাসেল যা বললেন
তবে আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন রাসেল। তিনি বলেন, ‘আমি ইসলামের প্রতি দুর্বল। কিন্তু আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। যেখানেই আমি ইসলামের বিষয়ে কিছু পাই আমি ডাউনলোড করি। আর আমি বিভিন্ন পেজের অ্যাডমিন, কিন্তু আমি কোনো জিহাদী প্রচার চালাই না। তবে ইসলামী অডিও এবং ভিডিও প্রচার করি।’
রাসেল আরও বলেন, ‘আমি এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করি। ছোট খাট ব্লগিং করি শখের বশে। আর ইসলামের কিছু পেলেই আমি তা আপলোডও করি। আমি ওয়াজে শুনেছি মোবাইলে গান, ভিডিও রাখা ‘ফিৎনা’। তাই আমি সব সময় ইসলামী অডিও ভিডিও রাখতাম।’
র্যাবের দাবি, ‘বাংলাদেশ ম্যাসাকার বিহাউন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স’নামে অডিও বার্তাটি প্রথমে প্রকাশিত হয় গত বছরের ৬ নভেম্বর ৬টা ৩০ মিনিটে 'dawahilallah.wordpress.com’ নামে একটি সাইটে। পেজটি মূলত পরিচালিত হয় ‘বালাকোট মিডিয়ার’ পক্ষ থেকে। এটি পাকিস্তানভিত্তিক একটি সংগঠন। এ মিডিয়া প্রায় নিয়মিত ভাবেই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জিহাদের ডাক দিয়ে থাকে। এ পেজে ‘আল কায়েদা’ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরিসহ আরও অনেক আধ্যাতিক নেতাদের নামে বাণী প্রচার করা হয়।
‘বালাকোট মিডিয়ার’ সাইটে আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি রাসেলের ব্যক্তিগত ই-মেইল এর লিংক চলে আসে।
র্যাবের দাবি, রাসেলের সঙ্গে এ সাইটের লিংক অ্যাড করা আছে। ওখানে যা আপলোড করা হয় তখনই এটি রাসেলের মেইলে চলে আসে।
এরপর আল কায়েদার ওই অডিও ক্লিপটি পরবর্তী সময়ে 'jihadology.net’ এ বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।
এর আগে এ অডিও ক্লিপটি রাসেল তার নিজস্ব সাইটে 'islamrealo.wardpress.com’ ৮ ফেব্রুয়ারি ‘সাইলেন্ট জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ’নামে প্রচার করে।
এ ছাড়া রাসেল এ অডিওটি বিভিন্ন পেসবুক পেজেও প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। আর এর মাধ্যমেই এটি বাংলাদেশে ব্যাপক প্রচার পায়।
র্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগাল উইংয়ের পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাসেল টাঙ্গাইলের একটি টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউটের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং একজন দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ। তিনি ফেসবুক এবং কয়েকটি ওয়েব সাইটের অ্যাডমিন। তার নিয়ন্ত্রিত এসব সাইট এবং পেজে তিনি এর আগেও বিভিন্ন উগ্র মতবাদ এবং বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালাতেন।
তিনি আরও জানান, রাসেল তার তৈরিকৃত ফেসবুক পেজ ‘আমার দেশ ভাবনা’, ‘বাশের কেল্লা ভার্সন-২’, ‘দৃষ্টিভঙ্গি’, ‘গণতন্ত্র নিপাত যাক’, ‘ব্লগার রাসেল ’ ইত্যাদি পেজে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী আর্টিকেল এবং ছবি আপলোড করে আসছে। এমনকি গত বছর ৫ মে হেফাজতের ঘটনার পর ৭ মে তিনি তার নিজস্ব ই মেইল আইডি 'krasel173@yahoo.com’ থেকে ইরানের পেসিডেন্টের মেইলে 'mass killing on protesters in Dhaka at night by armed joint force at least killed thousands.’.’ শিরোনামে মেইল করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মো. রাসেল বিন সাত্তার দেশবিরোধী বিভিন্ন প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। এমনকি তিনি উগ্র ইসলামী চেতনা ধারণ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে উগ্র মতবাদ প্রচার করেন। তার কর্মকাণ্ড গবেষণায় এটি ধারণা করা যায় যে, তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং এ সব জঙ্গি সংগঠনের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়েছেন।
রাসেল যা বললেন
তবে আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন রাসেল। তিনি বলেন, ‘আমি ইসলামের প্রতি দুর্বল। কিন্তু আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। যেখানেই আমি ইসলামের বিষয়ে কিছু পাই আমি ডাউনলোড করি। আর আমি বিভিন্ন পেজের অ্যাডমিন, কিন্তু আমি কোনো জিহাদী প্রচার চালাই না। তবে ইসলামী অডিও এবং ভিডিও প্রচার করি।’
রাসেল আরও বলেন, ‘আমি এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করি। ছোট খাট ব্লগিং করি শখের বশে। আর ইসলামের কিছু পেলেই আমি তা আপলোডও করি। আমি ওয়াজে শুনেছি মোবাইলে গান, ভিডিও রাখা ‘ফিৎনা’। তাই আমি সব সময় ইসলামী অডিও ভিডিও রাখতাম।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন