পঞ্চম ধাপের ভোট ৩১ মার্চ: তফসিল কাল
অবশেষে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের ভোট আজ। প্রথম ধাপে ৯৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১০২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয় ১৯ জানুয়ারি। এর মধ্যে সীমানা জটিলতার কারণে রংপুর সদর, পীরগাছা, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট গ্রহণের দিন ২৪ ফেব্রæয়ারি। যে কারণে ৯৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে ৮১ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার এ তফসিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটগ্রহণের তারিখ ৩১ মার্চ সোমবার এবং মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২ মার্চ, যাচাই-বাছাই ৫ মার্চ ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ মার্চ। ইতোমধ্যে এ ধাপের তফসিল দেয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি। তবে আজ প্রথম ধাপের ৯৬ আসনে নির্বাচনের কারণে তফসিল ঘোষণা করা হবে না।
প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট : খাগড়াছড়ি সদর, রামগড়, পানছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ি, ঝিনাইদহ সদর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও শৈলকুপা, ভোলার লালমোহন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, শিবালয়, সিঙ্গাইর, সাটুরিয়া, গাজীপুরের কাপাসিয়া, রাজবাড়ীর পাংশা, পঞ্চগড়ের সদর, বোদা, অটোয়ারী, দেবীগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা, রংপুরের তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি, উলিপুর, ফুলবাড়ি, গাইবান্ধার সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, ধুনট ও নন্দীগ্রাম, দুপচাচিয়া, সোনতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নাটোরের সিংড়া, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, মেহেরপুর সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও সদর, নড়াইলের কালিয়া, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, সদর ও বালিয়কান্দি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, মকসুদপুর, মাদারীপুরের কালকিনি, শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ ও ডামুড্যা, জাজিরা, গোসাইর হাট, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, দক্ষিন সুনামগঞ্জ, ছাতক, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, হবিগঞ্জের মাধবপুর, নীলফামারির ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নওঁগার মহাদেবপুর, রানীনগর, পাবনার সাথিয়া, আটঘড়িয়া, সুজানগর, যশোরের অভয়নগর, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, গৌরনদী, নেত্রকোনার দূর্গাপুর, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, করিমগঞ্জ, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, নরসিংদীর পলাশ, বেলাবো, সিলেটের বিশ্বনাথ, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনহাট, জৈন্তাপুর, হবিগঞ্জের বাহুবল, চট্টগ্রামের হাটহাজারি, মীরেশ্বরাই, সাতক্ষীরার আশাশুনি, রাজশাহীর মোহনপুর, খুলনার দিঘলীয়া, কয়রা।
পঞ্চম ধাপে যেসব উপজেলার তফসিল ঘোষণা হবে সেগুলো হল- ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, দিনাজপুর জেলার বিরল, পাবতীপুর ও হাকিমপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ। বগুড়া জেলার বগুড়া সদর, রাজশাহী জেলার পবা, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি ও শাহজাদপুর।
পাবনা জেলার পাবনা সদর ও বেড়া, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও তালা, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর ও আমতলী, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা ও কলাপাড়া, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর ও বাসাইল, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও, ত্রিশাল ও নান্দাইল।
কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া, মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী, সিরাজদিখান ও লৌহজং, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ, নরসিংদী জেলার মনোহরদী, নরসিংদী সদর ও রায়পুরা, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ।
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী ও রাজনগর, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর ও চান্দিনা।
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া, লক্ষীপুর জেলার রামগতি, লক্ষীপুর সদর, রামগঞ্জ ও রায়পুর, চট্টগ্রাম জেলার স›দ্বীপ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, টেকনাফ ও উখিয়া, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা, রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি।
মাঠে সেনা, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃক্সখলা বাহিনী : অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ধাপের নির্বাচন শেষ করতে মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের পরবর্তী দুইদিন পর্যন্ত তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃক্সখলা র¶াকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন তারা। প্রতি উপজেলায় ১ প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল শুরু করেছেন। বড় উপজেলায় এ সংখ্যা আরো বেশি। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি থাকবে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃক্সখলার দায়িত্বে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র, পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধুমাত্র পুলিশের ¶েত্রে দু’জন হবে। নির্বাচনে আইনশৃক্সখলা র¶ার্থে ৩৮৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন : নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও ইসি কর্মকর্তাদের সমš^য়ে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন এ সেল কাজ করবে।
জানা গেছে, নির্বাচন পূর্ব , নির্বাচনের দিন ও পরবর্তী অনিয়ম নিয়ে কাজ করবে এ সেল। এছাড়া এলাকার শান্তি-শৃক্সখলা রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে এ সেল।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ২৫ জানুয়ারি, তা যাচাই-বাছাই হয় ২৭ জানুয়ারি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৩ ফেব্রæয়ারি। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফায় ১১৬ উপজেলায় ২৭ ফেব্রæয়ারি, তৃতীয় দফায় ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৪২ জেলায় ৯২টি উপজেলায় ভোট হবে ২৩ মার্চ। এর আগে উপজেলা নির্বাচনকে একধাপ কমিয়ে ৫ ধাপে করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
অবশেষে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের ভোট আজ। প্রথম ধাপে ৯৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১০২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয় ১৯ জানুয়ারি। এর মধ্যে সীমানা জটিলতার কারণে রংপুর সদর, পীরগাছা, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট গ্রহণের দিন ২৪ ফেব্রæয়ারি। যে কারণে ৯৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে ৮১ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার এ তফসিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটগ্রহণের তারিখ ৩১ মার্চ সোমবার এবং মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২ মার্চ, যাচাই-বাছাই ৫ মার্চ ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ মার্চ। ইতোমধ্যে এ ধাপের তফসিল দেয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি। তবে আজ প্রথম ধাপের ৯৬ আসনে নির্বাচনের কারণে তফসিল ঘোষণা করা হবে না।
প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট : খাগড়াছড়ি সদর, রামগড়, পানছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ি, ঝিনাইদহ সদর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও শৈলকুপা, ভোলার লালমোহন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, শিবালয়, সিঙ্গাইর, সাটুরিয়া, গাজীপুরের কাপাসিয়া, রাজবাড়ীর পাংশা, পঞ্চগড়ের সদর, বোদা, অটোয়ারী, দেবীগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা, রংপুরের তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি, উলিপুর, ফুলবাড়ি, গাইবান্ধার সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, ধুনট ও নন্দীগ্রাম, দুপচাচিয়া, সোনতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নাটোরের সিংড়া, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, মেহেরপুর সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও সদর, নড়াইলের কালিয়া, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, সদর ও বালিয়কান্দি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, মকসুদপুর, মাদারীপুরের কালকিনি, শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ ও ডামুড্যা, জাজিরা, গোসাইর হাট, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, দক্ষিন সুনামগঞ্জ, ছাতক, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, হবিগঞ্জের মাধবপুর, নীলফামারির ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নওঁগার মহাদেবপুর, রানীনগর, পাবনার সাথিয়া, আটঘড়িয়া, সুজানগর, যশোরের অভয়নগর, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, গৌরনদী, নেত্রকোনার দূর্গাপুর, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, করিমগঞ্জ, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, নরসিংদীর পলাশ, বেলাবো, সিলেটের বিশ্বনাথ, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনহাট, জৈন্তাপুর, হবিগঞ্জের বাহুবল, চট্টগ্রামের হাটহাজারি, মীরেশ্বরাই, সাতক্ষীরার আশাশুনি, রাজশাহীর মোহনপুর, খুলনার দিঘলীয়া, কয়রা।
পঞ্চম ধাপে যেসব উপজেলার তফসিল ঘোষণা হবে সেগুলো হল- ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, দিনাজপুর জেলার বিরল, পাবতীপুর ও হাকিমপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ। বগুড়া জেলার বগুড়া সদর, রাজশাহী জেলার পবা, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি ও শাহজাদপুর।
পাবনা জেলার পাবনা সদর ও বেড়া, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও তালা, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর ও আমতলী, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা ও কলাপাড়া, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর ও বাসাইল, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও, ত্রিশাল ও নান্দাইল।
কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া, মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী, সিরাজদিখান ও লৌহজং, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ, নরসিংদী জেলার মনোহরদী, নরসিংদী সদর ও রায়পুরা, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ।
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী ও রাজনগর, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর ও চান্দিনা।
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া, লক্ষীপুর জেলার রামগতি, লক্ষীপুর সদর, রামগঞ্জ ও রায়পুর, চট্টগ্রাম জেলার স›দ্বীপ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, টেকনাফ ও উখিয়া, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা, রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি।
মাঠে সেনা, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃক্সখলা বাহিনী : অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ধাপের নির্বাচন শেষ করতে মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের পরবর্তী দুইদিন পর্যন্ত তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃক্সখলা র¶াকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন তারা। প্রতি উপজেলায় ১ প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল শুরু করেছেন। বড় উপজেলায় এ সংখ্যা আরো বেশি। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি থাকবে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃক্সখলার দায়িত্বে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র, পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধুমাত্র পুলিশের ¶েত্রে দু’জন হবে। নির্বাচনে আইনশৃক্সখলা র¶ার্থে ৩৮৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন : নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও ইসি কর্মকর্তাদের সমš^য়ে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন এ সেল কাজ করবে।
জানা গেছে, নির্বাচন পূর্ব , নির্বাচনের দিন ও পরবর্তী অনিয়ম নিয়ে কাজ করবে এ সেল। এছাড়া এলাকার শান্তি-শৃক্সখলা রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে এ সেল।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ২৫ জানুয়ারি, তা যাচাই-বাছাই হয় ২৭ জানুয়ারি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৩ ফেব্রæয়ারি। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফায় ১১৬ উপজেলায় ২৭ ফেব্রæয়ারি, তৃতীয় দফায় ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৪২ জেলায় ৯২টি উপজেলায় ভোট হবে ২৩ মার্চ। এর আগে উপজেলা নির্বাচনকে একধাপ কমিয়ে ৫ ধাপে করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন