বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১

du news

eûRvwZK †Kv¤úvbx¸‡jv gvbevwaKvi j•Nb Ki‡Q----wgRvbyi ingvb
wjsKb gvngy`
gvbevwaKvi Kwgk‡bi †Pqvig¨vb W. wgRvbyi ingvb e‡j‡Qb, Dbœqb bxwZgvjvq gvbevwaKvi AvBb cÖwZôv Ki‡Z n‡e| wmMv‡i‡Ui e¨emv K‡i eûRvwZK †Kv¤úvbx¸‡jv gvbevwaKvi j•Nb Ki‡Q| †Kv¤úvbx¸‡jvi wewfbœ †avKv M‡elYv K‡i wPwnèZ Ki‡Z n‡e| ZvgvK Pv‡li ¶wZKi cÖfve †_‡K gy³ n‡q Lv`¨ km¨ Ges Ab¨vb¨ dmj Drcv`‡bi bxwZwba©viYx I cÖPvig~jK `yB w`‡bi Avš—R©vwZK Kg©kvjvi mgvcbx Abyôv‡b MZKvj we‡kl AwZw_i e³‡e¨ wZwb Gme K_v e‡jb| XvKv wek¦we`¨vj‡qi beve bIqve Avjx wm‡bU fe‡b Kg©kvjvi Av‡qvRb K‡i ÔDbœqb weK‡íi bxwZwba©viYx M‡elYvÕ (DwebxM)|
wgRvbyi ingvb Av‡iv e‡jb, ïay †`‡ki ZvgvK Pvl eÜ Ki‡jB †Kv¤úvbx¸‡jvi †avKvevwR eÜ n‡e bv| wZwb e‡jb, cyuwRevw`ivB K…lK‡`i ZvgvKPv‡l eva¨ K‡i| ZvB Rwgi e¨w³gvwjKvbv iwnZ K‡i weKí cš’v MÖn‡Yi Rb¨ miKv‡ii cÖwZ AvnŸvb Rvbvb wZwb|
Dwebx‡Mi e¨e¯’vcbv cwiPvjK dvinv` gvRnv‡ii mfvcwZ‡Z¡ Kg©kvjvi mgvcbx Abyôv‡b Ab¨vb¨‡`i g‡a¨ e³e¨ iv‡Lb K…wl M‡elYv Bbw÷wUD‡Ui cwiPvjK W. †gv. iwdKzj Bmjvg, iscy‡ii wmwfj mvR©b Wv. †gv. †iRvDj Kwig cÖgyL|

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১১

জিয়া হল এ্যালামনাই এসোসিয়েশন


wjsKb gvngy`,  Xvwe cÖwZwbwa
XvKv wek¦we`¨vj‡qi gyw³‡hv×v wRqvDi ingvb n‡ji cªv³b Qv·`i mgš^‡q MwVZ wRqv nj G¨vjvgbvB G‡mvwm‡qkb MVb Kiv n‡q‡Q| MZKvj kwbevi n‡ji wgjbvqZ‡b GK Abyôv‡b GwU MVb Kiv nq| n‡ji cªva¨¶ Av e g dvi“‡Ki mfvcwZ‡Z¡ Abyôv‡b c«avb AwZw_ wQ‡jb XvKv wek¦we`¨vj‡qi ‡Kvlva¨¶ gxRvbyi ingvb| c‡i G e¨vcv‡i GKwU AvnŸvqK KwgwU MVb Kiv nq| n‡ji AvevwmK wk¶K Gm Gg nvmvb ZvjyK`vi‡K KwgwUi AvnŸvqK I mnKvix AvevwmK wk¶K gvngy`yi ingvb‡K  m`m¨ mwPe Kiv nq| G¨v‡mvwm‡qk‡bi m`m¨ n‡Z AvM«nx‡`i nj Kg©KZ©v ‡gvt bRi“j Bmjv‡gi m‡½ ‡hvMv‡hvM Ki‡Z ejv n‡”Q| gy‡Vv‡dvb b¤^i-01711-731534|  


‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-২০১১’ নীতিমালা করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী

wjsKb gvngy`,  Xvwe cÖwZwbwa
f~wg gš¿x †iRvDj Kwig nxiv e‡j‡Qb, f~wgi AcPq †iva K‡i msiwÿZ I m‡e©vËg e¨envi wbwð‡Zi j‡ÿ¨ ÔK…wl Rwg myiÿv I f~wg e¨envi AvBb-1011Õ bv‡g GKwU AvBb n‡”Q| BwZg‡a¨B Gi Ask wn‡m‡e 21 wU †Rjvi †gvU 120 wU Dc‡Rjvq wRwRU¨vj j¨vÛ †Rvwbs g¨vcmn cÖwZ‡e`b cÖYqb Kiv n‡q‡Q| Gi d‡j cwiKíbv I `ÿ e¨e¯’vcbvi gva¨‡g f~m¤ú‡`i Drcv`b ÿgZv eû¸‡b e„w× Kiv m¤¢e|
MZKvj g½jevi XvKv wek¦we`¨vj‡qi beve bIqve Avjx †PŠayix wm‡bU fe‡b ÔZvgvK Pv‡li ÿwZKi cÖfve I Lv`¨ Drcv`‡bi Rb¨ cÖ‡qvRbxq bxwZwba©viYx wm×všÍ MÖnYÕ kxl©K GK AvšÍR©vwZK Kg©kvjvq cÖavb AwZw_i e³‡e¨ gš¿x Gme K_v e‡jb| Dbœqb weK‡íi bxwZwba©vibx M‡elbv (DwebxM) I B›Uvib¨vkbvj †W‡fjc‡g›U wimvm© †m›Uv‡ii (AvBwWAviwm), KvbvWv, †hŠ_ D‡`¨v‡M G AvšÍR©vwZK Kg©kvjvi Av‡qvRb Kiv nq|
f~wg gš¿x e‡jb, wewfbœ GjvKvq ZvgvK Pv‡li Drcv`b m¤cÖmvib nIqvq H mg¯Í AÂj¸‡jv‡Z `ªæZ gvwUi Drcvw`Kv kw³ †jvc cv‡”Q| G Rb¨ eZ©gvb miKvi ZvgvK I gv`K RvZxq `ª‡e¨i weiæ‡× K‡Vvi e¨e¯’v MÖnY K‡i‡Q| BwZg‡a¨B  mKj Zdwkwj e¨vs‡Ki cÖwZ ZvgvK Pv‡li Rb¨  FY cÖ`vb Kiv wbwl× K‡i‡Q| Z‡e G D‡`¨vM mdj Ki‡Z miKv‡ii cvkvcvwk †emiKvwi  Dbœqb ms¯’v I msMVb‡K GwM‡q Avm‡Z n‡e|
XvKv wek¦we`¨vj‡qi wkÿK Aa¨vcK W. Rv‡Ki †nv‡mb Gwg‡iUm Gi mfvcwZ‡Z¡ Kg©kvjvq g~j cÖeÜ Dc¯’vcb K‡ib mvD_ B÷vb© BDwbfvwm©wUÕi Aa¨vcK R¨vKe †K wKeIqvR| we‡kl AwZw_ wn‡m‡e  wQ‡jb eb  I cwi‡ek gš¿Yvj‡qi wbe©vnx cwiPvjK †gv: †gvbIqvi Bmjvg, BkwZqvK DwÏb Avn‡g`, B›Uvib¨vkbvj RyU ÷wW MÖæ‡ci (AvB‡RGmwR) mvavib m¤úv`K ey‡c›`ªv wms, ¯^v¯’¨ we‡klÁ Wv. Rvdi Dj­vnmn Av‡iv A‡b‡K|
Kg©kvjvq e³viv e‡jb, ZvgvK Pvl   cwi‡ek I ¯^v‡¯’¨i ûgwK n‡q `vwo‡q‡Q| Ab¨w`‡K Lv`¨ Drcv`‡b miKvi I Ab¨ †Kvb cÖwZôv‡b mnvqZv bv _vKvq K…lKiv Amnvq †eva Ki‡Q Ges evuPvi ZvwM‡` ZvgvK †Kv¤úvbxi duv‡` aiv w`‡”Q| Kg©kvjvq ZvgvK AvBb wbqš¿b K‡i Lv`¨ Drcv`‡bi Dci ¸iæZ¡ cÖ`vb Kiv nq| `yB w`b e¨vcx †gvU 5 wU ch©v‡q AbywôZ G Kg©kvjvq Avwd«Kvi †Kwbqv I gvjvIqxmn Gwkqvi 2wU †`k wf‡qZbvg I fvi‡Zi cÖwZwbwaiv AskMÖnb K‡i Zv‡`i wbR †`‡ki AwfÁZv Zz‡j a‡ib|



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরের সামনে বসার জন্য জায়গা চাই


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরের 

সামনে বসার জন্য জায়গা চাই
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও একথাটি আজ আশায় গুঁড়েবালি। তবুও মানুষ বাঁচে আশা নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে। মানুষের এই স্বপ্ন আর আশার সফল বাস্তবায়ন ঘটে যখন মানুষ তার বহু কাঙ্খিত সেই লক্ষ্যে পৌছতে পারে। আশার ভেলায় ভাসতে ভাসতে মানুষ যখন তার সাফল্য আর স্বপ্নের তীরে পৌছে ঠিক তখনি রচিত হয় মানবজাতির অশেষ আর অসীম কল্যাণ। যাই হোক আমাদের ঢাবিকে কেন্দ্র করে যেমনি আছে হাজারো স্বপ্ন তেমনি আছে লক্ষ প্রাণের আশা-ভালোবাসা। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে এক সুদীর্ঘ, সুবিশাল আর গৌরবময় ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের এক বিরাট অংশ ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, অপরাজেয় বাংলা, কলাভবন, টিএসসি, ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, রাজু ভাস্কর্য, হাকিম চত্বর ছাড়াও ডজনখানেক স্থান, স্থাপত্যকীর্তি। যেগুলো শুধু ইতিহাসের ধারকই নয় বরং সমগ্র বাংলাদেশের ও বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন তথা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাহস, প্রেরণা। আর তাই এ ইতিহাসের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ইতিহাস জড়িত। ১৯২১ সালে ১ জুলাই অর্থাৎ জন্মলগ্ন থেকেই যত শিক্ষার্থী এখানে পড়াশুনা করে পাশ করে বের হয়েছেন সবার অম্লান আর অমলিন স্মৃতি বিজড়িত এই গ্রন্থাগার চত্বর। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ প্রতিটি মুহুর্তেই হাজারো শিক্ষার্থীদের ভিড়ে পদচারণায় মুখরিত থাকে এই চত্বরটি। সেই সকাল থেকে রাত ১০/১২টা অবধি নব উদ্যমতার ছোঁয়ায় তারূণ্যের এক মহামহিমাময় উচ্ছ্বলতায় টগবগ করতে থাকে এই গ্রন্থাগার চত্বর। আর বাকি থাকে যেন কেবলি সময়ের প্রতিক্ষা। পুরো জাতি যে আজ তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস আর পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ক্লান্তি আর একঘুঁয়েমি কাটাতে তাই আড্ডা জমায় এই গ্রন্থাগার চত্বরে। তারপর হারিয়ে যায় অজানা, অচেনা এক আড্ডাময়, প্রাণবন্ত জগতে। যে জগতে শুধু আড্ডা না বরং তারই সাথে সাথে চলে নানা শিক্ষামূলক বিষয়ের আলোচনা, দেশ জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রেরণা আর সমাজকল্যাণমূলক নানা আয়োজন। এগুলো ছাড়াও এখানে চলে এরকম অনেক অনেক সৃষ্টিশীল ক্রিয়াকর্ম- নাটক, গান, কবিতা আর গল্প স্বল্প অল্প। আর তাইতো আমরা যারা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তারা আড্ডাকে শুধু আড্ডা বলতে নারাজ। কারণ আমরা জানি, আমরা বুঝি পড়াশুনার ফাঁকে আড্ডাটাও একটা মাধ্যম, বিনোদনের আর মানবিকতার বুননের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। এই আড্ডাতেই জন্ম নেয় মহাপুরুষ মহাকাল, সৃষ্টিবলয়ের ঘুরপাক। এই আড্ডাতেই হাতে রেখে হাত বন্ধুপ্রাণের ছোঁয়ায় শক্তি পাই, সাহস জুগাই মনে প্রাণে, পাই সাফল্যের সন্ধান। আর এই আড্ডাতেই বন্ধু আড্ডা গান;প্রাণে বাজে তাই সাফল্যের কলতান।

আজ এটা দু:খের বিষয় হলেও সত্য যে হাজারো বন্ধন আর প্রাণের মিলনমেলা এই গ্রন্থাগার চত্বর তার নিজস্ব রূপ হারাচ্ছে দিনদিন। কর্তৃপক্ষের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা নষ্ট করে দিচ্ছে চত্বরের সৌন্দর্য। চত্বরের সামনে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সীমান্তে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গায় ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ দেয়াল তুলে গ্রিল দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সৃষ্টি হচ্ছে এক হজিবিজি আর হযবরল অবস্থা। হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের আড্ডা মুখরিত সেই গ্রন্থাগার চত্বর। প্রাণবন্ত আড্ডার স্থানগুলো থেকে বাদ পড়ে গেল একটি চত্বরের নাম। আর তাই শামীম তানভীরের মতো একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমিও বলতে চাই, এভাবে যদি ক্যাম্পাসকে অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে দেয়ালে দেয়ালে বন্দি করে ফেলা হয়, শিক্ষার্থীরা নিশ্বাস ফেলবে কোথায়? কোথায় গিয়ে ফুরফুরে করবে মনটাকে?

আজ তাই হাজারো প্রাণের দাবি, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ গ্রন্থাগারের সামনের অংশে পুরো দেয়াল না দিয়ে বসার উপযোগী দেয়াল দিতে হবে। আর সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য তৈরী করতে পারে নতুন কোন ভাষ্কর্য। যেখানে থাকতে পারে আধুনিক বাংলাদেশের চিত্র। যার ওপর নির্মিত হতে পারে একটি স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ ও উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ; আমার প্রিয় স্বদেশ, পুণ্য মাতৃভূমি।

ঢাবি শিক্ষাথীরা রাজনীতি করতে বাধ্য হচ্ছে

ঢাবি শিক্ষাথীরা রাজনীতি করতে বাধ্য হচ্ছে

লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী ৩টি অনুষদ ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৬৬টি বিভাগ ও ৮টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এখানে অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডিসহ মোট ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান এবং সুযোগ-সুবিধা দেশের অন্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে উন্নত হওয়ায় প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীর চাপ বাড়ছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে আবাসিক হলের সংখ্যাও।


বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য একটি ছাত্রনিবাস ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক হলসহ ১৪টি হল রয়েছে। মেয়েদের জন্য আছে চারটি হল ও একটি ছাত্রীনিবাস। তারপরও মিটছে না আবাসন সমস্যা। প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থী এবং বিভাগের সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি আবাসিক হল। মোট শিক্ষার্থীর মাত্র এক-তৃতীয়াংশই হলে থাকতে পারছেন। আর বাকি দুই-তৃতীয়াংশ হলে উঠতে না পেরে অত্যন্ত ব্যয়বহুল বাড়ি ভাড়া করে অথবা মেসে থেকে পড়াশোনা করছেন। প্রতি বছর আবাসন ব্যয় বাড়লেও বাড়ছে না আবাসন সুবিধা ।

এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে আবাসন ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছিল, যত সিট থাকবে ঠিক ততজন শিক্ষার্থীই ভর্তি করা হবে। সময়ের সাথে সাথে আইনও পরিবর্তিত হয়েছে। অন্যদিকে কয়েক দশক ধরে আবাসিক হলগুলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে। ফলে সিট বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়।

আসন সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিনিয়ত নিম্নমানের খাবারসহ অন্যান্য হাজারো সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। হলগুলোতে খাবার সমস্যা ছাড়াও ছারপোকা, মশা-মাছি এবং রয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, যা পড়ালেখার অনুকূল নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ইতিহাস বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, তিনবার আবেদন করেও হলে সিট পাইনি। শত সমস্যা থাকলেও বাধ্য হয়ে মেসে থাকছি। প্রভোস্ট আমাদের প্রতি আন্তরিক নন, তিনি রাজনৈতিক নেত্রীর কথায় উঠবস করতে সবসময় আন্তরিক থাকেন। আর রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা এ সুযোগে চালান সিটের বিনিময়ে রাজনীতি।

এসএম হলের ২য় বর্ষের এক ছাত্র ফোকাস বাংলাকে জানান, প্রায় দুই বছর  বারান্দায় থাকার পর মাত্র আট দিন আগে রুমে উঠতে পারলাম।

জিয়া হলের রাফি জানান, আবাসন সংকট থাকলেও তার অনেকটাই রাজনৈতিক কারণে কৃত্রিমভাবে তৈরি। যদি হল প্রশাসন কঠোর হতো তবে এতটা আবাসন সংকটে ছাত্রদের পড়তে হতো না।

বঙ্গবন্ধু হলের এক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে বাধ্য হয়ে রাজনীতি করছি। এর সম্পূর্ণ দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। প্রশাসন চাইলে এ সিট ব্যবসা বন্ধ করতে পারেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটকে পুঁজি করে শুধু সিট প্রদান করে 'সিটের বিনিময়ে রাজনীতি' নামক কর্মসূচি বিগত দুই দশক ধরেই চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলো। হলে উঠতে হলে শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে বাধ্য করা হয়, এমন অভিযোগ প্রায় সব হলের ছাত্রদের। প্রথমে সিট না পেয়ে গণরুমে বা মসজিদে ওঠানো হয় এবং জুড়ে দেওয়া হয় অনেক শর্ত। যেমন ছাত্র সংগঠনের মিছিল করা, প্রতিদিন সকাল ও রাতে মিটিংয়ে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকা, যে কোনো সময় ডাকলেই সাড়া দেওয়া, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, এমনকি কাউকে মারতে বললে তাকে মারধর করা ইত্যাদি।

আবাসন সংকটের চরমতম উদাহরণটি হলো 'গণরুম'। ঢাবিতে ২০ বছর আগেও গণরুমের অস্তিত্ব ছিল না। যে রুমটিতে সর্বসাকুল্যে ১০-১২ জন ছাত্র থাকতে পারে, সেখানে ২৫-৩০ জন ছাত্র ওঠানো হয় অথচ ছাত্রনেতারা একাই একটি রুমে থাকেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হলেই আসন বণ্টনে হল প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা নেই। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর হলের আবাসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ পায় ছাত্রলীগ। শুধু শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেওয়া, নথিপত্র প্রদান, রেজাল্টশিট সংগ্রহ, উৎসবে উত্তম ভোজ প্রদান, জরুরি কাগজে স্বাক্ষর-এই গুটিকয়েক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হল প্রশাসনের কার্যক্রম। নিয়ম অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেয় হল প্রশাসন কাগজে-কলমে। বাস্তবে নেতাদের অনুমতি ছাড়া হল কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ পাওয়া কোনো ছাত্র হলে উঠতে পারে না।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৪০৫, দ্বৈতাবাসিক ৪০০ এবং অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ১৫৩৪ জন। রাজনৈতিক কর্মী ছাড়া এ হলে সিট পায় না ছাত্ররা। হলের বারান্দাগুলো ভরে আছে খাট, লেপ-তোশক আর কাপড়চোপড়ে। হলের পূর্ব ব্লক ও পশ্চিম ব্ল­ক বারান্দায় প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র বাস করে। বারান্দায় নতুন করে কারো থাকার ব্যবস্থা করা একেবারেই অসম্ভব। এ হলে রয়েছে তিনটি গণরুম। ১১১৫৬ ও ১৫৯-এ রুম তিনটিতে ৯০ জন ছাত্র থাকছে। অথচ ছাত্রনেতারা ১৪২, ১৪০, ১৩৯ ও ২৫ নং রুমে ছয় জন থাকেন, যেখানে সুন্দরভাবে থাকতে পারতো ৩২ জন ছাত্র।

শহীদুল্লাহ হল: ১৯২১ সালে ঢাকা হল নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৮০০, দ্বৈতাবাসিক ৪২৫ এবং অনাবাসিক ১৩২২ জন। এ হলের গণরুম হলো এক্সটেনশন বিল্ডিং ১-এর ১১০২, ১১০৮ এক্সটেনশন বিল্ডিং ২-এর ২১০২, ২১০৩, ২১০৭, ২১১১, ২১১৪, ২১১৫ নম্বর কক্ষগুলো। এখানে খাবারের মান তুলনামূলক ভালো।

জগন্নাথ হল: ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ হল। আবাসিক ছাত্র ১০৭২, দ্বৈতাবাসিক ৬৫০ এবং অনাবাসিক ৭২৮ জন। রাজনৈতিক নানা গ্র“পিংয়ে এ হলের সাধারণ ছাত্ররা সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকে।

ফজলুল হক মুসলিম হল: ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৬৩৬, দ্বৈতাবাসিক ১৩০ এবং অনাবাসিক ৭০০ জন। ফজলুল হক মুসলিম হলের ২০০৫ এবং ৩০০৪ নম্বর গণরুমের ১৬টি সিটে ৮০ জনকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের কথা না মানলে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। গণরুমে বসবাসকারী বেশ কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মাঝে মাঝে রুমে জায়গা না পেয়ে ছাদে ঘুমাতে যান।

জহুরুল হক হল: ১৯৫৭ সালে ইকবাল হল নামে প্রতিষ্ঠিত। এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৭২৫, দ্বৈতাবাসিক ৫৪৮ এবং অনাবাসিক ১১০৭ জন। জহুরুল হক হলের টিনশেড বিল্ডিংয়ের ৪, ২০ ও ২৪ নম্বর কক্ষ এবং এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের ১০১২, ১০১৩, ১০১৪, ৩০০১ ও ৪০০৯ নম্বর কক্ষগুলোকে গণরুমে পরিণত করা হয়েছে। এ হলের ছাত্রদেরও ছাত্রলীগ নেতার অনুগত থাকতে হয়। অন্যথায় প্রথমে স্থান হয় হাসপাতালের বেডে এবং পরে হলের বাইরের কোনো মেসে।

মাস্টারদা সূর্যসেন হল: ১৯৬৬ সালে জিন্নাহ হল নামে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৫৭৭, দ্বৈতাবাসিক ৪৯০ এবং অনাবাসিক ২৩৮৭ জন। এ হলের গণরুম হলো ১৭৯, ১৮০, ১৮১, ১৮২, ২০১/ক, ২২৬, ২২৬/ক, ৩২৬, ৩২৬/ক, ৩২৯, ৪০১, ৪০১/ক, ৩৪৯, ৪২৬, ৪২৬/ক, ৪৪৯ নম্বর কক্ষগুলো। এ হলে বারোমাসই রাজনৈতিক কোন্দল লেগেই থাকে।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল: ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৫৪০, দ্বৈতাবাসিক ৭২০ এবং অনাবাসিক ১২৮০ জন। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের গণরুম হলো ২২৮, ৩২৮, ৪২৮, ৫২৮, ই-২, ই-৪, ই-৬, ই-৮, ই-১০, ৪৪৮, ৪/ক, ৫/ক, ৬/ক নম্বর কক্ষগুলো।

কবি জসীম উদ্দীন হল: ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৩৯৭, দ্বৈতাবাসিক ৩১০ এবং অনাবাসিক ছাত্রসংখ্যা ১০৭৯ জন। ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত গণরুম হলো ১৩১, ২০৮, ২১২, ২১৫,২২৭ ও ৩২৭ নম্বর কক্ষগুলো। এ হলের আবাসন সংকট খুব বেশি।

স্যার এএফ রহমান হল: ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের  আবাসিক ছাত্র ৬০২, দ্বৈতাবাসিক ১৩০ এবং অনাবাসিক ১১৭৮ জন। হলের ১০৩, ১০৫, ১০৮, ১১১, ১১৫, ৩০৮ ও ৩০৭ নম্বর কক্ষগুলোতে ছাত্ররা গাদাগাদি করে বসবাস করেন। এর মধ্যে ১০৫ নম্বর রুমে ৪৮ জন ছাত্র বাস করেন। হল ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত হলেও বর্তমানে হলের ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা হল নিয়ন্ত্রণ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল: ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্র ৪৮৪, দ্বৈতাবাসিক ৩৬০ এবং অনাবাসিক ৩১৮৪ জন। ১০৯, ১১০, ১১১ নম্বর কক্ষগুলো হচ্ছে  এ হলের গণরুম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল: ১৯৮৮ সালে হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আবাসিক ছাত্র ৪১৫, দ্বৈতাবাসিক ৩১৫ এবং অনাবাসিক ২,১০০ জন। বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত গণরুম হলো ২০৯/ক, ৩০১/ক, ৪০১/ক, ৫০১/ক, ২১৩/ক, ৩১৩/ক, ৪১৩/ক ও ৫১৩/ক ।

অমর একুশে হল : ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৪৪১, দ্বৈতাবাসিক ১৩৭ এবং অনাবাসিক ৬৪৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের জন্য নির্দিষ্ট এ হলের আবাসন সংকট চরম। এ হলে ও রাজনৈতিক নেতাদের দৌরাত্ম থেমে নেই।

স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল : ১৯৬৬ সালে আর্ন্তজাতিক হোস্টেল  নামে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২২ ও অনাবাসিক ৩ জন। যদিও এটি বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে এ হলে শিক্ষকদের জন্যও বরাদ্দ দেয়া হয়।

রোকেয়া হল : ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ১৪৯৭, দ্বৈতাবাসিক ৪৩০ এবং অনাবাসিক ৪৯২০ জন। খাবার ও অন্যান্য সমস্যা লেগেই থাকে। এ হলের গণরুম হলো সি-১, সি-২ ও ৩০৬ নম্বর কক্ষ।

শামসুন্নাহার হল : ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ৬৮৮, দ্বৈতাবাসিক ৬১২ এবং অনাবাসিক ৫৮৪৫ জন। ১৪১, ২৪১, ৩৪১, ৪৪১ ও ৫৪১ এ পাঁচটি কক্ষ হলো এ হলের গণরুম।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল: ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ৫৩৬, দ্বৈতাবাসিক ২৬৩ এবং অনাবাসিক ১৪৩২ জন।  এ হলের গণরুম ১০৮, ১০৯ ও ১১০এ তিনটি কক্ষ। হলের এক্সটেনশনের কাজ শেষ হলেও ছাত্রীরা উঠতে পারেনি।

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল: ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ৩৫১, দ্বৈতাবাসিক ৫৯০ এবং অনাবাসিক ১৭৬৪ জন। এ হলের ১১৯, ১২০, ১২১ ও ১২২ এবং মোহনা এই পাঁচটি কক্ষ গণরুম। এর মধ্যে মোহনায় ৩৭ জন ছাত্রী গাদাগাদি করে থাকছে।

নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রীনিবাস: এম ফিল এবং পিএইচডি গবেষক ছাত্রীদের জন্য ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ছাত্রীনিবাসের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ১৫০ জন।

আইবিএ হোস্টেল: ফার্মগেটে অবস্থিত ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) ছাত্রদের জন্য নির্দিষ্ট এ হোস্টেলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ১৩৪ জন।

শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাস : মুহসীন হল ও এক্সটেনশন নিউমার্কেটের পেছনে এই ছাত্রাবাস অবস্থিত। এখানে প্রায় ৪০০ ছাত্র থাকে।

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো সবসময় আবাসন সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছে। নানা সময় এসব নিয়ে আন্দোলন হলেও বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের বাধায় কোনো ছাত্র তাদের সমস্যা নিয়ে আওয়াজ তুলতে পারছে না।

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা রায়হান কবির জানান, আবাসন সমস্যার সামাধানকল্পে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করছি। আমাদের আন্দোলনকে বারবার বিভিন্নভাবে একটি মহল স্তব্ধ করে আসছে। কেন যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে  কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা আমার বোধগম্য নয়।

সিটের বিনিময়ে রাজনীতির অভিযোগ সম্বন্ধে ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এটা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধবাদীদের অপপ্রচার।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সভাপতি তাফছির আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আমরা ভিসির সাথে সাক্ষাৎ করে কথা বলেছিলাম। খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেছেন।

আবাসন সংকট নিরসন সম্বন্ধে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক মহিদুল হাসান হিরু ফোকাস বাংলা নিউজকে জানান, আমরা ক্যাম্পাসে থাকাকালে আমাদের দাবীর মুখে আবাসন সংকট নিরসনে একুশে হল নির্মাণ করাসহ আরো কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। সরকারী ক্যাডার বাহিনী এখন আমাদের তো ক্যাম্পাসেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। সিটের বিনিময়ে রাজনীতি বন্ধ, আবাসন সংকট নিরসন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ ও ছাত্রদের নিরাপত্তা বিধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

আবাসন সমস্যা ও হল প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার ব্যাপারে এস এম হলের প্রভোস্ট ড. জি এম কাদের চৌধুরী জানান, আবাসন সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। তবে হল প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার ব্যাপারটি তিনি অস্বীকার করেন।

সূত্রে জানা যায়, আবাসন সংকট আর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত এই ক্যাম্পাস ২০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের জন্য গড়ে তোলা হবে। সেখানে বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেওয়া হবে। বর্তমান ক্যাম্পাসে আবাসন সংকট থাকলেও ওই ক্যাম্পাস হবে শতভাগ আবাসিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি ক্যাম্পাস। সেখানে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন, বিনোদন এবং চিকিৎসাসহ সব ব্যবস্থাই থাকবে।

উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে আরও একবার দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানান, আবাসন সমস্যার সমাধানকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলের মধ্যবর্তী স্থানে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি নতুন হল নির্মাণের কাজ চলছে। ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ফজলুল হক হলের সামনে টুইন হল নামে ছাত্রীদের জন্য এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি হলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সামনে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আরেকটি ছাত্রী হল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।









রাজনীতি করতে বাধ্য হচ্ছে ঢাবি শিক্ষাথীরা

রাজনীতি করতে বাধ্য হচ্ছে ঢাবি শিক্ষাথীরা
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী ৩টি অনুষদ ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৬৬টি বিভাগ ও ৮টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এখানে অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডিসহ মোট ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান এবং সুযোগ-সুবিধা দেশের অন্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে উন্নত হওয়ায় প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীর চাপ বাড়ছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে আবাসিক হলের সংখ্যাও।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য একটি ছাত্রনিবাস ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক হলসহ ১৪টি হল রয়েছে। মেয়েদের জন্য আছে চারটি হল ও একটি ছাত্রীনিবাস। তারপরও মিটছে না আবাসন সমস্যা। প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থী এবং বিভাগের সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি আবাসিক হল। মোট শিক্ষার্থীর মাত্র এক-তৃতীয়াংশই হলে থাকতে পারছেন। আর বাকি দুই-তৃতীয়াংশ হলে উঠতে না পেরে অত্যন্ত ব্যয়বহুল বাড়ি ভাড়া করে অথবা মেসে থেকে পড়াশোনা করছেন। প্রতি বছর আবাসন ব্যয় বাড়লেও বাড়ছে না আবাসন সুবিধা ।
এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে আবাসন ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছিল, যত সিট থাকবে ঠিক ততজন শিক্ষার্থীই ভর্তি করা হবে। সময়ের সাথে সাথে আইনও পরিবর্তিত হয়েছে। অন্যদিকে কয়েক দশক ধরে আবাসিক হলগুলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে। ফলে সিট বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়।
আসন সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিনিয়ত নিম্নমানের খাবারসহ অন্যান্য হাজারো সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। হলগুলোতে খাবার সমস্যা ছাড়াও ছারপোকা, মশা-মাছি এবং রয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, যা পড়ালেখার অনুকূল নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ইতিহাস বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, তিনবার আবেদন করেও হলে সিট পাইনি। শত সমস্যা থাকলেও বাধ্য হয়ে মেসে থাকছি। প্রভোস্ট আমাদের প্রতি আন্তরিক নন, তিনি রাজনৈতিক নেত্রীর কথায় উঠবস করতে সবসময় আন্তরিক থাকেন। আর রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা এ সুযোগে চালান সিটের বিনিময়ে রাজনীতি।
এসএম হলের ২য় বর্ষের এক ছাত্র ফোকাস বাংলাকে জানান, প্রায় দুই বছর বারান্দায় থাকার পর মাত্র আট দিন আগে রুমে উঠতে পারলাম।
জিয়া হলের রাফি জানান, আবাসন সংকট থাকলেও তার অনেকটাই রাজনৈতিক কারণে কৃত্রিমভাবে তৈরি। যদি হল প্রশাসন কঠোর হতো তবে এতটা আবাসন সংকটে ছাত্রদের পড়তে হতো না।
বঙ্গবন্ধু হলের এক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে বাধ্য হয়ে রাজনীতি করছি। এর সম্পূর্ণ দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। প্রশাসন চাইলে এ সিট ব্যবসা বন্ধ করতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটকে পুঁজি করে শুধু সিট প্রদান করে 'সিটের বিনিময়ে রাজনীতি' নামক কর্মসূচি বিগত দুই দশক ধরেই চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনগুলো। হলে উঠতে হলে শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে বাধ্য করা হয়, এমন অভিযোগ প্রায় সব হলের ছাত্রদের। প্রথমে সিট না পেয়ে গণরুমে বা মসজিদে ওঠানো হয় এবং জুড়ে দেওয়া হয় অনেক শর্ত। যেমন ছাত্র সংগঠনের মিছিল করা, প্রতিদিন সকাল ও রাতে মিটিংয়ে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকা, যে কোনো সময় ডাকলেই সাড়া দেওয়া, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, এমনকি কাউকে মারতে বললে তাকে মারধর করা ইত্যাদি।
আবাসন সংকটের চরমতম উদাহরণটি হলো 'গণরুম'। ঢাবিতে ২০ বছর আগেও গণরুমের অস্তিত্ব ছিল না। যে রুমটিতে সর্বসাকুল্যে ১০-১২ জন ছাত্র থাকতে পারে, সেখানে ২৫-৩০ জন ছাত্র ওঠানো হয় অথচ ছাত্রনেতারা একাই একটি রুমে থাকেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হলেই আসন বণ্টনে হল প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা নেই। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর হলের আবাসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ পায় ছাত্রলীগ। শুধু শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেওয়া, নথিপত্র প্রদান, রেজাল্টশিট সংগ্রহ, উৎসবে উত্তম ভোজ প্রদান, জরুরি কাগজে স্বাক্ষর-এই গুটিকয়েক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হল প্রশাসনের কার্যক্রম। নিয়ম অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেয় হল প্রশাসন কাগজে-কলমে। বাস্তবে নেতাদের অনুমতি ছাড়া হল কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ পাওয়া কোনো ছাত্র হলে উঠতে পারে না।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৪০৫, দ্বৈতাবাসিক ৪০০ এবং অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ১৫৩৪ জন। রাজনৈতিক কর্মী ছাড়া এ হলে সিট পায় না ছাত্ররা। হলের বারান্দাগুলো ভরে আছে খাট, লেপ-তোশক আর কাপড়চোপড়ে। হলের পূর্ব ব্লক ও পশ্চিম ব্ল¬ক বারান্দায় প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র বাস করে। বারান্দায় নতুন করে কারো থাকার ব্যবস্থা করা একেবারেই অসম্ভব। এ হলে রয়েছে তিনটি গণরুম। ১১১৫৬ ও ১৫৯-এ রুম তিনটিতে ৯০ জন ছাত্র থাকছে। অথচ ছাত্রনেতারা ১৪২, ১৪০, ১৩৯ ও ২৫ নং রুমে ছয় জন থাকেন, যেখানে সুন্দরভাবে থাকতে পারতো ৩২ জন ছাত্র।
শহীদুল্লাহ হল: ১৯২১ সালে ঢাকা হল নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৮০০, দ্বৈতাবাসিক ৪২৫ এবং অনাবাসিক ১৩২২ জন। এ হলের গণরুম হলো এক্সটেনশন বিল্ডিং ১-এর ১১০২, ১১০৮ এক্সটেনশন বিল্ডিং ২-এর ২১০২, ২১০৩, ২১০৭, ২১১১, ২১১৪, ২১১৫ নম্বর কক্ষগুলো। এখানে খাবারের মান তুলনামূলক ভালো।
জগন্নাথ হল: ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ হল। আবাসিক ছাত্র ১০৭২, দ্বৈতাবাসিক ৬৫০ এবং অনাবাসিক ৭২৮ জন। রাজনৈতিক নানা গ্র“পিংয়ে এ হলের সাধারণ ছাত্ররা সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকে।
ফজলুল হক মুসলিম হল: ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৬৩৬, দ্বৈতাবাসিক ১৩০ এবং অনাবাসিক ৭০০ জন। ফজলুল হক মুসলিম হলের ২০০৫ এবং ৩০০৪ নম্বর গণরুমের ১৬টি সিটে ৮০ জনকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের কথা না মানলে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। গণরুমে বসবাসকারী বেশ কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মাঝে মাঝে রুমে জায়গা না পেয়ে ছাদে ঘুমাতে যান।
জহুরুল হক হল: ১৯৫৭ সালে ইকবাল হল নামে প্রতিষ্ঠিত। এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৭২৫, দ্বৈতাবাসিক ৫৪৮ এবং অনাবাসিক ১১০৭ জন। জহুরুল হক হলের টিনশেড বিল্ডিংয়ের ৪, ২০ ও ২৪ নম্বর কক্ষ এবং এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের ১০১২, ১০১৩, ১০১৪, ৩০০১ ও ৪০০৯ নম্বর কক্ষগুলোকে গণরুমে পরিণত করা হয়েছে। এ হলের ছাত্রদেরও ছাত্রলীগ নেতার অনুগত থাকতে হয়। অন্যথায় প্রথমে স্থান হয় হাসপাতালের বেডে এবং পরে হলের বাইরের কোনো মেসে।
মাস্টারদা সূর্যসেন হল: ১৯৬৬ সালে জিন্নাহ হল নামে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৫৭৭, দ্বৈতাবাসিক ৪৯০ এবং অনাবাসিক ২৩৮৭ জন। এ হলের গণরুম হলো ১৭৯, ১৮০, ১৮১, ১৮২, ২০১/ক, ২২৬, ২২৬/ক, ৩২৬, ৩২৬/ক, ৩২৯, ৪০১, ৪০১/ক, ৩৪৯, ৪২৬, ৪২৬/ক, ৪৪৯ নম্বর কক্ষগুলো। এ হলে বারোমাসই রাজনৈতিক কোন্দল লেগেই থাকে।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল: ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৫৪০, দ্বৈতাবাসিক ৭২০ এবং অনাবাসিক ১২৮০ জন। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের গণরুম হলো ২২৮, ৩২৮, ৪২৮, ৫২৮, ই-২, ই-৪, ই-৬, ই-৮, ই-১০, ৪৪৮, ৪/ক, ৫/ক, ৬/ক নম্বর কক্ষগুলো।
কবি জসীম উদ্দীন হল: ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৩৯৭, দ্বৈতাবাসিক ৩১০ এবং অনাবাসিক ছাত্রসংখ্যা ১০৭৯ জন। ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত গণরুম হলো ১৩১, ২০৮, ২১২, ২১৫,২২৭ ও ৩২৭ নম্বর কক্ষগুলো। এ হলের আবাসন সংকট খুব বেশি।
স্যার এএফ রহমান হল: ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্র ৬০২, দ্বৈতাবাসিক ১৩০ এবং অনাবাসিক ১১৭৮ জন। হলের ১০৩, ১০৫, ১০৮, ১১১, ১১৫, ৩০৮ ও ৩০৭ নম্বর কক্ষগুলোতে ছাত্ররা গাদাগাদি করে বসবাস করেন। এর মধ্যে ১০৫ নম্বর রুমে ৪৮ জন ছাত্র বাস করেন। হল ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত হলেও বর্তমানে হলের ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতারা হল নিয়ন্ত্রণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল: ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্র ৪৮৪, দ্বৈতাবাসিক ৩৬০ এবং অনাবাসিক ৩১৮৪ জন। ১০৯, ১১০, ১১১ নম্বর কক্ষগুলো হচ্ছে এ হলের গণরুম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল: ১৯৮৮ সালে হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আবাসিক ছাত্র ৪১৫, দ্বৈতাবাসিক ৩১৫ এবং অনাবাসিক ২,১০০ জন। বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত গণরুম হলো ২০৯/ক, ৩০১/ক, ৪০১/ক, ৫০১/ক, ২১৩/ক, ৩১৩/ক, ৪১৩/ক ও ৫১৩/ক ।
অমর একুশে হল : ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ৪৪১, দ্বৈতাবাসিক ১৩৭ এবং অনাবাসিক ৬৪৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের জন্য নির্দিষ্ট এ হলের আবাসন সংকট চরম। এ হলে ও রাজনৈতিক নেতাদের দৌরাত্ম থেমে নেই।
স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল : ১৯৬৬ সালে আর্ন্তজাতিক হোস্টেল নামে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১২২ ও অনাবাসিক ৩ জন। যদিও এটি বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে এ হলে শিক্ষকদের জন্যও বরাদ্দ দেয়া হয়।
রোকেয়া হল : ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ১৪৯৭, দ্বৈতাবাসিক ৪৩০ এবং অনাবাসিক ৪৯২০ জন। খাবার ও অন্যান্য সমস্যা লেগেই থাকে। এ হলের গণরুম হলো সি-১, সি-২ ও ৩০৬ নম্বর কক্ষ।
শামসুন্নাহার হল : ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ৬৮৮, দ্বৈতাবাসিক ৬১২ এবং অনাবাসিক ৫৮৪৫ জন। ১৪১, ২৪১, ৩৪১, ৪৪১ ও ৫৪১ এ পাঁচটি কক্ষ হলো এ হলের গণরুম।
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল: ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ৫৩৬, দ্বৈতাবাসিক ২৬৩ এবং অনাবাসিক ১৪৩২ জন। এ হলের গণরুম ১০৮, ১০৯ ও ১১০এ তিনটি কক্ষ। হলের এক্সটেনশনের কাজ শেষ হলেও ছাত্রীরা উঠতে পারেনি।


মশা ছারপোকা লোডশেডিং : ঢাবির শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ

মশা ছারপোকা লোডশেডিং : ঢাবির শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকাল আসার পরপরই আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা ও ছারপোকার উপদ্রপ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। চলতি মৌসুমে চলছে ঘনঘন লোডশেডিং। ফলে চরম অতিষ্ঠ ১৭টি আবাসিক হলের ২০ হাজার শিক্ষার্থী। চরম এ দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের পড়ালেখা। এ দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ অবগত। তবু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ১৭টি হলের অবস্থা একই। হলগুলোর আশপাশের পরিবেশ নোংরা। ময়লা আবর্জনার স্তূপ চারপাশে, ড্রেনেও পানি জমে রয়েছে। গ্রীষ্মকাল এলেই এসব নোংরা পরিবেশে মশা-মাছির জন্মহার বেড়ে যায়। একইভাবে আবাসিক কক্ষগুলোও অপরিষ্কার থাকায় ছারপোকাও বেড়ে গেছে। এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলেও প্রশাসনের তদারকি না থাকায় তারা কাজ করছে না। কোনো হলেই গত এক বছরে মশা ও ছারপোকা মারার কোনো ওষুধ ছিটানো হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হলসহ কয়েকটি হলের প্রশাসন ঢাকা সিটি করপোরেশনে ওষুধ ছিটানোর আবেদন করলেও তারা যথাসময় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটালেও তাতে কাজ হচ্ছে না। আবার হল কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিলেও ভালো ওষুধ ব্যবহার না করায় মরছে না মশা ও ছারপোকা। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট বায়তুল্লাহ কাদেরী বলেন, ‘মশা ও ছারপোকা মারার জন্য শিগগিরই হলের নিজস্ব অর্থায়নে ওষুধ ছিটানো হবে। তবে বিদ্যুতের ব্যাপারে হল প্রশাসনের কিছু করার নেই।’
প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। শীতকালে লোডশেডিং না থাকলে গত ২০০৭-০৮ সালের তত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে গ্রীষ্মকালে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১টা থেকে ২ পর্যন্ত ১ ঘণ্টার লোডশেডিং চলে আসছে। বর্তমান সরকারের সময় গত বছর নিয়মিত এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও এ বছর তা বেড়ে যায়। এ বছর গ্রীষ্মকালে নির্ধারিত এক ঘণ্টা ছাড়াও সন্ধ্যা ও রাতে একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। কয়েকদিন আগে কলা ভবন একটানা তিনদিন বিদ্যুিবহীন ছিল বলে শিক্ষক-ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমীর হোসেন বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নির্ধারিত লোডশেডিং দেয়। এর বাইরে যে লোডশেডিং হচ্ছে তা আমাদের জানানো হয়নি।

ঢাবিতে আবাসন সঙ্কট চরমে, ছাত্রীদের দুর্ভোগই বেশি

ঢাবিতে আবাসন সঙ্কট চরমে, ছাত্রীদের দুর্ভোগই বেশি
   
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার বৈতরণী পেরিয়ে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন যশোরের এক শিক্ষার্থী। হলে থাকার সুযোগ না পেয়ে মামার বাসা হয়ে এক পর্যায়ে সাময়িকভাবে হলেও বাড়িতেই ফিরে যেতে হয় তাকে। ভর্তির প্রায় এক বছর পর প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে রোকেয়া হলে একটি সিট পেয়েছেন তিনি।

ওপরের ঘটনাটি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ফাতেমা বেগম। তিনি নিজেই ওই শিক্ষার্থীর হলে সিট পাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু এমন ভুক্তভোগী তো বহু। কত জনকে সাহায্য করবেন ফাতেমা বেগম?

আবাসন সঙ্কটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদেরই সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়।
প্রায় ১০ হাজার ছাত্রীর জন্য হল মাত্র চারটি। প্রতিটি হলে আসনসংখ্যার দ্বিগুণ ছাত্রী থাকছে। মেয়েদের চারটি হলে আসন ৩ হাজারের কিছু বেশি।

পলাশী স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবরিনা তাসনিম। হলে সিট না পেয়ে প্রথমে থাকতেন খালার বাসা সাভারে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাবরিনা বলেন, "এত দূর থেকে এসে ক্লাস করা খুবই কষ্ট হয়ে দাঁড়াতো। তাই এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। অনেকগুলো ক্লাস করতে না পারায় এক হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে হয়েছে। শেষে বাধ্য হয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে সাবলেট থাকছি।"

সাবরিনা এখন কুয়েত মৈত্রী হলে সিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ছাত্রীদের সমস্যাই আসলে বেশি। তাদের পক্ষে যে কোনো জায়গায় থাকা সম্ভব না। আবার আমাদের সমাজে নিকট আত্মীয়রাও আরেকজনের মেয়েকে কাছে রাখতে অস্বস্তি বোধ করে।"

ভর্তির পর এক বছর পার হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সঙ্গে যুক্ত প্রথম বর্ষের ছাত্ররা সিট পায়নি। এদের অনেকে থাকেন হলের মসজিদে। সিট বরাদ্দের দাবিতে রোববার রাতে তারা হলের ভেতর মিছিলও করেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র রোকনুজ্জামান খসরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রথম সেমিস্টার থেকে আমি মসজিদে থাকি। ভর্তি হওয়ার এক বছর পার হয়ে গেলেও হল কর্তৃপক্ষ সিটের বরাদ্দ দেয়নি।"

এমন চিত্র প্রায় প্রতিটি হলেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ৩৩ হাজার। ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে ১৭টি হলে সিট সংখ্যা ১৫ হাজার ১২০। তবে বেশিরভাগ হলেই আসনের দ্বিগুণ শিক্ষার্থী থাকেন।

শিক্ষার্থী অনুপাতে হলে আসনসংখ্যার অপ্রতুলতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম।

সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমার হলে সিটসংখ্যা ১ হাজার ৫০ হলেও এর বাইরে আরও প্রায় সাড়ে চারশ' শিক্ষার্থী থাকছে।"

বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ঢাবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় হলের সংখ্যা বাড়ছে না। এক সেশনের শিক্ষার্থীরা বের না হতেই নতুন সেশনে ভর্তি শুরু হচ্ছে। ফলে আবাসন সঙ্কট দিন দিন চরম আকার ধারণ করছে।"

উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, "অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আবাসন সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় সবার আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আরও হল প্রয়োজন হলেও নতুন হল করার স্থান নেই বলে হতাশা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, "আমরা এখন মোট এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারছি। সবাইকে আবাসন সুবিধা দেওয়া এখনও আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। নতুন ক্যাম্পাস করা ছাড়া এ সমস্যার সমাধানের পথও দেখছি না।"

আবাসন সঙ্কট সাময়িকভাবে নিরসনে অধ্যাপক ফায়েজ কিছু মতামতও দেন।

তিনি বলেন, "বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ডরমিটরি থাকে। আবাসন সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধানের জন্য পুরো একটি বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাড়া নিতে পারে। প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার বিষয়ে সাহায্য করবে। এতে সাময়িকভাবে হলেও আবাসন সমস্যার সমাধান হবে।"

হল কথন, সিট যেখানে হতাশার গল্প


হল কথন, সিট যেখানে হতাশার গল্প
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবিতে যখন আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলছিল, তখন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। সবকিছু নিয়মনীতি অনুসারে চলছে। মনে ক্ষীণ আশা ছিল মেরিটে যেহেতু প্রথম দিকে, তাই সিট পেয়েও যেতে পারি। দুঃখের বিষয় জগন্নাথ হলে সম্পর্কে ধারণা ছিল না, থাকলে এতো কষ্ট করে আশা করতে হতো না। যেদিন হলে গেলাম ভর্তির কাজ করতে, অফিসে বসে থাকা একজনকে জিজ্ঞেস করলাম সিটের ব্যাপারে, তার নিরস উত্তর ছিল সিটের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এই দুই বছরে আমি এখনো বের করতে পারি নাই, সিটের ব্যাপারে কার সাথে কথা বলতে হয়! ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরে জানতে সিটের ব্যাপার আমার কাছে পরিষ্কার হতে শুরু করল। সিট হলো দুই প্রকার, পলিটিক্যাল এবং নন-পলিটিক্যাল (বিস্তারিত এই লেখায়)। পলিটিক্যাল সিট পাওয়া কোনো ব্যাপার না, যে কোন সময় যে কেউ উঠতে পারে। তবে নন-পলিটিক্যাল সিট পাওয়া সবচেয়ে কঠিন, অন্তত আমার মতে। এই হলে সিটের জন্য কোনো নোটিস হয় না। তো সিট পাওয়ার উপায় কি??? উপায় হচ্ছে, হলে পরিচিত কোনো বড় ভাই থাকতে হবে। যিনি হলে ছেড়ে দেয়ার সময় সিটের এলটমেন্ট আর একজনের কাছে দিয়ে যাবেন। ছাড়পত্র নেয়ার সময় তিনি আবাসিক শিক্ষকের কাছে জুনিয় ছাত্রটিকে নিজের ভাই (!!!) হিসেবে পরিচয় করে দিবেন। তো আবাসিক শিক্ষক বড় ভাই এর সেই সিটটির এলটমেন্ট জুনিয়র ছাত্রটির নামে দিয়ে দেবেন। সব জায়গায় নিয়ম মেনে অভ্যস্ত, এই নিয়ম আমার কাছে খুবই খাপছাড়া মনে হল। হলে যাকেই সামনে পাই, তাকেই এই ধরনের আজগুবি নিয়মের খারাপ দিকগুলো বোঝাই। সবাই শোনে আর মুচকি মুচকি হাসে। কেননা সবাই তো এই সিস্টেমেই হলে সিট পায়। আমি যদি কোনোদিন সিট পাই, তবে অন্য কারো কথায় হয়ত এভাবেই হাসব :দদ>> । যাই হোক আমার কথায় তো আর নিয়ম (বা ধারা) পাল্টাবে না, বড় ভাই যোগাড় করতেই হবে। যেখানে যে নিয়ম, আমিও খোঁজা শুরু করলাম বড় ভাই। যাকেই সামনে পাই বা হলে যার সাথেই পরিচয় হয় দুই তিন লাইন আলাপ করার পরই ঘুরায়ে পেচায়ে সিটের কথা তুলি। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কেননা সবারই পরিচিত কোনো না কোনো আত্মীয় আছে। আমি আর সিরিয়াল পাই না। প্রথমে ইচ্ছা ছিল নন-পলিটিক্যাল সিট না পেলে হলেই উঠবো না। কিন্তু ফার্মগেটের মেসে লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় পলিটিক্যালিই উঠে গেলাম। ফার্স্ট ইয়ারে প্রোগ্রামিং অটোক্যাড কোর্স আছে। কম্পিউটার অতীব দরকার, কিন্তু আমি পলিটিক্যাল রমে কম্পিউটার আনার সাহস পাই না। কবে মারামারি লেগে আমার এতো সাধের কম্পিউটারটা ভাংচুর হয়!!! সারাদিন বুয়েটের বন্ধুদের রুমে পড়ে থাকি। একজনের কাছে শুনলাম আবাসিক শিক্ষকের কাছে আবেদন করলে নাকি সিট পাওয়া যায়। একটা আবেদন নিয়ে হাজির হলাম আবাসিক শিক্ষকের কাছে। স্যারও বললেন বড় ভাই নিয়ে যেতে। হায়!!! বড় ভাই কোথায় পাই? অনেক বড় ভাই আশা দিয়েছেন, কিন্তু কোনো এক কারণে আমি কখনোই সিট পাই না!!! কাহিনী কি??? আস্তে আস্তে হলে বয়স হলো। অনেক কিছু বুঝতে শিখলাম। হলে এলাকাপ্রীতির একটা ব্যাপার আছে। সবাই তার সিট এলাকার লোককে দিয়ে যেতে চায়। এলাকার নাম দিয়ে বিতর্ক বাড়াতে চাই না। যে যতো কথাই বলুক না কেন, সিট পাবে তার এলাকার লোক। তবে ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। তবে যারা ব্যতিক্রম, তাদের হাতে দেয়ার মতো সিট নেই। দুঃখের বিষয় আমার এলাকার বড় ভাইদের মাঝে এলাকাপ্রীতি নেই বললেই চলে। তাই আমি এখনো একখানা নন-পলিটিক্যাল সিট "ম্যানেজ" করতে পারি নাই। অন্যান্য হলে এই সমস্যা নেই তা নয়, তবে সেখানে সেকেন্ড ইয়ারেই সিট পাওয়া যায়। এখানকার অবস্থা একেবারেই অন্যরকম। ফার্স্ট ইয়ারে প্রোগ্রামিং এর মতো কোর্স কম্পিউটার ছাড়া পার করে দিয়েছি, এখন আর কম্পিউটার আনার কথা চিন্তাই করি না। দুই বছরের এই ঢাবি জীবনে অনেক মজা করেছি যেমন ধরা যাক কার্জন হলের মাঠে গোল্লাছুট খেলা থেকে শুরু করে অনেক কিছু। কেবল গলার কাটা হয়ে বিধে আছে এই হল সমস্যা। আপনাদের কাছে আমি দোয়াপ্রার্থী, যেন আমি একজন সহৃদয় বড় ভাই যোগাড় করতে পারি। কেননা থার্ড ইয়ারে আর একটা প্রোগ্রামিং কোর্স আছে। সেটা আমি নিজের কম্পিউটারে প্র্যাকটিস করে পরীক্ষা দেয়ার স্বপ্ন রাখি /:)

ঢাবি’র ৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ঢাবি’র ৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরা হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আফজাল হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন ও মিরাজউদ্দিন। এ তিন প্রকৌশলী ৫ মাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন ভেতন-ভাতা পাবে না। এছাড়া আগামী ৩ বছর তাদের সবধরনের পদোন্নতি বন্ধ থাকবে। রোকেয়া হলের একটি ভবন ধসে পড়ায় ব্যর্থতার দায়ভার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট শনিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়। অক্টোবরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বহিষ্কার করা হয়। সিন্ডিকেট তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলেও নতুন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত বছরের ১৮ই অক্টোবর রোকেয়া হলের চামেলী ভবনের ৫ম তলার বিশাল ভিম ধসে পড়ে। ওই ভবনটির নির্মাণে কাজের সঙ্গে এ ৩ প্রকৌশলী জড়িত ছিলেন। ভিম ধসে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও কাজে অসহযোগিতার প্রমাণ পেয়েছে। শনিবার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির কাজে  প্রয়োজনীয় সিমেন্ট ও রড দেয়া হয়নি। শুধু বালি দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। ঠিকাদারদের সঙ্গে প্রকৌশলীরা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ অনিয়ম করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের মার্চের শেষদিকে ওই ভবনটির কাজ শেষ হয়। আগে ওই ভবনটির দুই অংশ চারতলা পর্যন্ত ও এক অংশ দুইতলা পর্যন্ত ছিল। ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা দূর করতে দুই অংশ চারতলা থেকে পাঁচতলা ও এক অংশ দুইতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত করা হয়। মার্চের শেষদিকে কাজ শেষ হয়। নতুন করে ৩২টি কক্ষ তৈরি করা হয়। তাতে বাস করছেন ২৬০ জন ছাত্রী। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি সংস্কার করা হয়। সাত মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ছাদ ধসে পড়ে। ছাড় ধসে পড়ায় এখন পুরো ভবনের ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। ওই ভবনের প্রায় সাড়ে সাতশ’ ছাত্রী বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। ভবনটির পুরো অংশজুড়েই ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সময়ে-অসময়ে ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে বলে ছাত্রীরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি ভবনটি পরিদর্শন করে নানা ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। ওই ভবনটিতে প্রায় সাড়ে সাতশ’ ছাত্রী বাস করছেন। ছাদ ধসে পড়ায় এখন পুরো ভবন নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ছাত্রীরা তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে। এছাড়া বড় ধরনের বাতাস এলেও ভবনটি নড়াচড়া করে বলে ছাত্রীরা জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি সরজমিন গিয়ে দেখতে পায় বিভিন্ন অংশের ফাটল। তদন্ত কমিটির অন্যতম সিন্ডিকেট সদস্য লুৎফুর রহমান বলেন, আমরা ভবনটি পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন অংশে ফাটল রয়েছে। লোহার রডগুলোও আমাদের কাছে দুর্বল মনে হয়েছে। কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক আকতারুজ্জামান বলেন, ভবনটিতে অনেক ত্রুটি রয়েছে। নিচ থেকে তাকালেই তা দেখা যায়। তিনি বলেন, বিশাল ভবনটি কিভাবে করা হলো তার নকশা আমরা খোঁজে পাইনি। এতে বোঝা যায়, অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক লায়লা নূর ইসলাম বলেন, অল্পের জন্য আমরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। তিনি বলেন, যে অংশ ধসে পড়েছে সেখানে ছাত্রীরা থাকলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় ছিল না। তিনি বলেন, ছাত্রীরা তাদের আতঙ্কের কথা জানাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া বড় ধরনের বাতাস বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ভবনটিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। ২০০৮ সালের জুলাই মাসের ভূমিকম্পে হলটির অনার্স ভবনে বিশাল ফাটল দেখা দেয়। পরে বিশেষজ্ঞ কমিটি ওই ভবনটি বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করে। কয়েক দিনের মধ্যেই ছাত্রীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। ওই ভবনটি এখনও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে আবাসন সমস্যা প্রকট

পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে আবাসন সমস্যা প্রকট
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে চরম আবাসন সঙ্কট। মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ৪৫ ভাগ হলে থাকতে পারছে। বাকি ৫৫ ভাগেরই আবাসন সুবিধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেস করা হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সমস্যা প্রকট। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য দুটি পৃথক হল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) একটি ছাত্রী হল, যশোর, রংপুর এবং পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্যও হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউজিসির প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র ৪৫ দশমিক ০৬ ভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে বাস্তব এবং বিরাজমান আসল চিত্র আরও ভয়াবহ ও করুণ। আবাসন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই আবাসন সঙ্কটকে পুঁজি করেই লেজুড়বৃত্তি ছাত্র রাজনীতি গড়ে উঠেছে। সাধারণ ছাত্ররা ব্যবহৃত হচ্ছে। হলে থাকতে হলে তাদের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের মিছিলে যেতে হয়। না হলে সিট হারানোর পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক সপ্তাহে এ ধরনের ৬টি ঘটনা ঘটেছে। আর এতে নতুনভাবে সংযোজিত হলো শিক্ষক নির্যাতনও।
ইউজিসির তথ্যমতে, বিগত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে চলছে এ অবস্থা। শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত চাপে দিনে দিনে আবাসন সঙ্কটের হার বাড়ছেই। সূত্রমতে, শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসন সঙ্কটও তীব্রতর হয়েছে। মোট শিক্ষকের মাত্র ২৪ ভাগ, ১৫ ভাগ কর্মকর্তা ও ১৪ ভাগ কর্মচারী এ সুবিধার আওতায় আছেন।
ইউজিসির রিপোর্ট মতে, ২০০৯ সালে দেশের ২৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে গড়ে মাত্র শতকরা ৪৫ দশমিক ০৬ জন আবাসন সুবিধা পেয়েছেন। অবশ্য আগের বছরের তুলনায় এটা প্রায় ৩ ভাগ বেশি। তবে, বিগত দশ বছরে সুবিধার হার পৌনঃপুনিক বেড়েছেও প্রায় ১০ ভাগ। তবে এটি চাহিদার তুলনায় খুবই নগণ্য। যেমন ২০০৫ সালে গড়ে ৩৩ জন পেয়েছিল এই সুবিধা। ২০০৪ সালে গড়ে ৩২ জন পেয়েছিলেন এই সুবিধা।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনটিতেই সময়মতো শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন হয় না। একটি ব্যাচ পাস করে বের হওয়ার আগেই অন্য একটি ব্যাচ নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি করানো হয়। ফলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট, সময়মতো পরীক্ষা না হওয়া ইত্যাদি কারণে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে পারছে না। এছাড়া ছাত্রনেতারা হল দখল করে রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে ছাত্রলীগ নেতা রেজা সেকান্দার একা একটি রুম দখল করে আছে। অথচ ওই হলে একই ধরনের রুমে ৮ জন থাকে। তার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কয়েকদিন আগে তাকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে প্রভোস্টকে গলাধাক্কা খেতে হয়েছে। শিক্ষক লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি অছাত্র রেজা সেকান্দার। এ ঘটনায় রেজা সেকান্দারসহ চার ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তারা হলেই থাকছে। এরকম ঢাবির ১৩টি ছাত্র হলের সব হলেই ছাত্রলীগের হাতে প্রায়ই শিক্ষক লাঞ্ছিত ও ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি হলেই ৫০ থেকে ৮০ কক্ষ রয়েছে ছাত্রলীগের সরাসরি দখলে। ধারাবাহিকভাবে সিট সঙ্কট বাড়ার এসবও অন্যতম কারণ বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করা জন্য শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে নিরাপত্তার কারণে ছাত্রীদের সুবিধা সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে থাকার জন্য আশপাশে বাসা ভাড়াও মেলে না। বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনা হবে বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সঙ্কটের বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রীদের সুবিধা আগেভাগে নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা শিগগিরই পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম অবস্থা : ইউজিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে চরম সঙ্কটে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও আবাসন সুবিধা পাচ্ছে না। অথচ এই ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এরপর সবচেয়ে কষ্টে আছে কুমিল্লা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ওই দুইটিতে যথাক্রমে ১৮ ও ১৯ ভাগ আবাসন সুবিধার মধ্যে রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২, খুলনায় ২৬ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ ভাগ শিক্ষার্থী পাচ্ছে এই সুবিধা। দেশের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে আবাসিক সঙ্কট প্রকট। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ ভাগ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে মাত্র ৪৮ ভাগ শিক্ষার্থী হলে থাকছে। দেশের একমাত্র উচ্চতর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ ভাগ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮ ভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪ ভাগ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৯ ভাগ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা ভোগ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ ভাগ শিক্ষার্থী থাকছে হলে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পেয়ে আসছিল। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য কোনো আবাসিক সুবিধা নেই। বর্তমানে এর ১৭৯ ছাত্রী মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা আশাতীত হারে বাড়ছে। আবাসন সুবিধাবঞ্চিত বেশি ছাত্রীরা। তাদের টিভি রুম, মিলনায়তনে থাকতে হচ্ছে। বর্তমানে মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। এ দুটি হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০১ সালে দেশের মাত্র ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৩১২ জন। যার মধ্যে মাত্র ৩৭ হাজার ২৬৭ জন অর্থাত্ ৪০ দশমিক ৩৭ ভাগ ছাত্রছাত্রী আবাসিক সুবিধা পেয়েছে। গত ১০ বছরের ব্যবধানে সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১টিতে। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলো এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮২ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে মাত্র ৬০ হাজার ৪৫৪ জন আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ৪৫ দশমিক ০৬ ভাগ।
শিক্ষক-স্টাফদেরও সমস্যা : বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সঙ্কটও তীব্র। ইউজিসির ২০০৯ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৪১ জন শিক্ষককের মধ্যে আবাসিক সুবিধা পেয়েছেন ২ হাজার ২৩৩ জন। যা মোট শিক্ষককের মাত্র ২৪ ভাগ। এছাড়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ হাজার ৪৯৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। যাদের মাত্র ১৫ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী আবাসন সুবিধা ভোগ করছেন। ২০০৩ সালে ২৯ দশমিক ৮১ ভাগ শিক্ষক এবং ১৬ দশমিক ৪২ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধার অধীন ছিল।

ঢাবি এলাকায় সাবলেট সমস্যা আবাসিক এলাকাগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাবলেট দেওয়া হয়

ঢাবি এলাকায় সাবলেট সমস্যা
আবাসিক এলাকাগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাবলেট দেওয়া হয়
লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি
নিরিবিলি ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার সুনাম আছে। কিন্তু এখানেও অপচয় হচ্ছে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের। বিনষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন বাসা ভাড়া দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। কিছু বাসা মেস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রত্যেক ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে বছর শেষে লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্তরা। অন্যদিকে অনেক শিক্ষক আবাসন সংকটে বাসা বরাদ্দ পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় রুম ভাড়া দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও বরাদ্দপ্রাপ্তরা ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অপচয় হচ্ছে। এতে আবাসিক এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে।
এস্টেট অফিস থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রায় ১৩শ' বাসা রয়েছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ নীলক্ষেত, শিববাড়ী এবং আজিমপুরে অবস্থিত। এছাড়া কয়েকটি হলে কর্মচারীদের জন্য ব্যাচেলর কোয়ার্টার রয়েছে। শিক্ষকদের সমমানের সিনিয়র কর্মকর্তারা বাসা পেয়ে থাকেন। নিজেদের আত্মমর্যাদার কারণে কর্মকর্তারা কম বাসা ভাড়া দেন। তবে অধিকাংশ কর্মচারী তাদের বাসা ভাড়া দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। প্রতি বছর বাসা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ পেলে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। কয়েকজন কর্মচারীর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সেই শাস্তি আমলে নিচ্ছেন না কর্মচারীরা। তারা বাসা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে, ঢাকা নগরীতে প্রকট আবাসন সংকটকে পুঁজি করে কোনো কোনো বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্তরা মেস বানিয়ে ভাড়া দেন। এসব মেসে বেশিরভাগই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ছাত্রী বা কর্মজীবী নারীরা থাকেন। ঢাবির প্রথম বর্ষের ছাত্রী, যারা হলে সিট পাচ্ছেন না, তারাও উচ্চহারে ভাড়া দিয়ে থাকতে
বাধ্য হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসাগুলো সবচেয়ে বেশি সাবলেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার অনেক বাসায় নীলক্ষেতের দোকানিরা বেশি টাকায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিয়ে থাকছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় ১০৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করছেন। কিছু কিছু বাসার বরাদ্দপ্রাপ্ত মালিকরা পুরো ফ্ল্যাটই ভাড়া দিয়ে নিজেরা পরিবারসহ বারান্দায় থাকছেন। এতে করে মাস শেষে তারা একটা মোটা অঙ্কের টাকা আয় করছেন। ভাড়াটিয়াদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও গ্যাসের অপচয় হচ্ছে প্রতিদিনই। কোনো কোনো বাড়ির মালিক ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির ভেতর ও বাইরের কাঠামো নষ্ট করে ফেলেছেন। কেউ কেউ বারান্দা টিন দিয়ে ঘিরে বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্য নষ্ট করেছেন। কোনো রুমে ৭-৮টি চৌকি ফেলে মেস বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতি ১৮শ' থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। আবার একটি রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা অ্যাডভান্স নেওয়া হচ্ছে।
বাসা বরাদ্দেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এই আবাসিক এলাকায় প্রায় সব ফ্ল্যাট মালিকই একাধিক রুম ভাড়া দিয়ে বছর শেষে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অনেক বাসা সাবলেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। এসব কারণে গত বছর বেশকিছু বাসার বরাদ্দ বাতিল করা হয়। অভিযুক্ত কয়েকজনের বেতনও বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেউ বাসাকে সাবলেট দিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবারও বাসা ভাড়া সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এগুলো খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।

ঢাবিতে ৪শ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত



wjsKb gvngy`,  Xvwe cÖwZwbwa
Avevmb mgm¨v wbimb I wk¶v_©x‡`i GKv‡WwgK Dbœq‡bi Rb¨ 4'k ‡KvwU UvKvi Dbœqb cwiKíbvi c«v_wgK wm×vš— wb‡q‡Q XvKv wek¦we`¨vjq KZ©…c¶| kwbevi wek¦we`¨vj‡qi ‡Kvlva¨¶ Aa¨vcK W. gxRvbyi ingv‡bi mfvcwZ‡Z¡ c«Kí c«Yqb KwgwUi GK mfvq c«v_wgK wm×vš— ‡bqv nq|

mfv ‡k‡l Aa¨vcK W. gxRvbyi ingvb e‡jb, Ri“wi Dbœqb c«K‡íi AvIZvq GKwU we‡kl c«Kí c«Yq‡bi Rb¨ mfvq wKQy wel‡q c«v_wgK wm×vš— ‡bqv n‡q‡Q| G cwiKíbvi g‡a¨ wek¦we`¨vj‡qi GKv‡WwgK I ‡fŠZ Dbœqb Aš—fy©³ _vK‡e| ‡fŠZ Dbœq‡bi AvIZvq Av‡iv PviwU bZyb nj wbg©vY Kiv n‡e| Gi g‡a¨ `ywU Qv·`i I `ywU QvÎx‡`i| Gi gva¨‡g wek¦we`¨vj‡qi AvevwmK mgm¨v cy‡ivcywi mgvavb Kiv m¤¢e n‡e| Avi jvB‡e«ixi Rb¨ 10Zjv feb wbg©vY Kiv n‡e e‡j Rvbvb wZwb|

gxRvbyi ingvb Av‡iv e‡jb,"GKv‡WwgK Dbœq‡bi AvIZvq wek¦we`¨vj‡qi c«wZwU wefv‡Mi Rb¨ eB‡Kbv, j¨ve‡iUwii hš¿cvwZ ‡Kbv BZ¨vw` Aš—fy©³ _vK‡e|"

XvKv wek¦we`¨vj‡qi Ri“wi Dbœqb c«K‡íi wel‡q wek¦we`¨vj‡qi cwiKíbv wefv‡Mi cwiPvjK Rwni“j nK e‡jb, c«v_wgKfv‡e G Ri“wi Dbœqb c«K‡íi wel‡q Av‡jvPbv Kiv n‡q‡Q| wm×vš— c«v_wgK nIqvq UvKvi cwigvY cwiewZ©Z n‡Z cv‡i e‡j Rvbvb wZwb|

নানা সমস্যায় জর্জরিত ঢাবির ছাত্রী হল মেসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

নানা সমস্যায় জর্জরিত ঢাবির ছাত্রী হল
মেসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

লিংকন মাহমুদ,  ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে সমস্যার শেষ নেই। সীমাহীন সমস্যার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে এখানে শিক্ষার পরিবেশ। চরম সিট সংকটে ভুগছে ছাত্রীরা। নির্ধারিত সংখ্যার কয়েকগুণ বেশি ছাত্রী অবস্থান করছে প্রতিটি রুমে। ডাইনিং থেকে সরবরাহ করা নিম্নমানের পচা-গলা খাবার তাদের জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ। তীব্র পানি সংকট ছাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। বিদ্যমান হাজারো সমস্যার কারণে ৪টি ছাত্রী হল ও একটি হোস্টেলের সাড়ে ৯ সহস্রাধিক আবাসিক ছাত্রীর শিক্ষাজীবন নাজুক হয়ে পড়েছে। রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, কুয়েত মৈত্রী হল এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা হল ও নবাব ফয়জুন্নেসা ছাত্রী নিবাসে সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছে। কি সমস্যা বা সম্ভাবনা এখানে রয়েছে, তারা লেখাপড়া করতে পারছে কি-না ইত্যাদি দেখার যেন কেউ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির আনুপাতিক হার সমান হলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে পিছিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। যেখানে ছাত্রদের জন্য ১২টি আবাসিক হল সেখানে ছাত্রীদের জন্য রয়েছে মাত্র ৪টি আবাসিক হল। সঙ্গত কারণেই ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সমস্যা বেশি।

ছাত্রীদের হলগুলোর মধ্যে প্রথমেই উলেস্নখযোগ্য ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের প্রথম ও সর্ববৃহৎ আবাসিক হল রোকেয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ হলে ছাত্রী সংখ্যা ৬ হাজার ২শ' ২৪ জন উলেস্নখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১৩ জন আবাসিক এবং ৪৬১১ জন অনাবাসিক ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু এ হলে বর্তমানে বাস করছে প্রায় ৪ হাজার ছাত্রী।

হলের আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর এ হলে অধিভুক্ত হওয়া ৫ শতাধিক ছাত্রীর মধ্যে বহুছাত্রী প্রথমদিকে অনেকটা আত্মগোপন করে হলে বসবাস করে। স্থান সঙ্কুলানের অভাবে এ হলে নিউ বিল্ডিং'র নিচতলায় হল রুমটি গণরুম হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। যেখানে বাস করে ৬০ থেকে ৭০ জন ছাত্রী। এই হলে বিশাল বিল্ডিং ও একটি ফাঁকা মাঠ অযথা পড়ে আছে। মেধাস্কোর অনুযায়ী ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা দেয়া হলেও অধিকাংশই লবিং-এর জোরে সিট পান বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথমবর্ষের ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন শিক্ষকরা। হলের টয়লেটের খারাপ অবস্থা। গোসলখানার অবস্থাও করুণ। ডাইনিং ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন ফ্রিজ। যে কারণে একদিনের বাজার তিনদিন পর্যন্ত খেতে হয় ছাত্রীদের। হলে একটি সাইবার সেন্টার থাকলেও প্রতি ঘন্টার জন্য ছাত্রীদের পরিশোধ করতে হয় ১২ টাকা। পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক নেত্রীর চাপ। সরকার দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা হয় জুনিয়র ছাত্রীদের।

অবশ্য রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ সভাপতি নাসরীন খানম ইত্তেফাককে বলেন, হলে কোন ছাত্রীদের রাজনৈতিকভাবে চাপ দেয়ার প্রশ্নই আসে না। স্বাধীন ও ইচ্ছামতো হলে থাকছে ছাত্রীরা। তবে হলে থাকার বাড়তি সুবিধা থাকলেও অসুবিধাই বেশি। কারণ ছাত্রীর তুলনায় রুম কম। চার সিটের রুমে কমপক্ষে ৭-৮জন থাকতে হয়। অনেক সময় আরো বেশি ছাত্রীকে একসঙ্গে থাকতে হয়। প্রভোস্ট খোঁজ নেন না ছাত্রীদের। নোংরা ও নিম্নমানের খাবার খান ছাত্রীরা।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী এ হল পরিচালনা করা হচ্ছে। হলে কোন সমস্যা নেই। সিটগুলো মেধার ভিত্তিতে দেয়া হয়। ছাত্রীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ছাত্রী নিবাস শামসুন্নাহার হল। বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ হলে ৭ হাজার ১৪৫ জন ছাত্রীর নামে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৬শ' ৮৮ জন আবাসিক, ৬শ ১২ জন দ্বৈতাবাসিক এবং ৫ হাজার ৮শ' ৪৫ জন অনাবাসিক। সব মিলিয়ে বর্তমানে এ হলে বাস করছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ছাত্রী। হলে বসবাসের জন্য রয়েছে মোট ৬টি গণরুম। এসব রুমের প্রতিটিতে ৩০-৩৫ জন করে ছাত্রী বসবাস করে।

হলের ছাত্রীরা জানান, হলের ১৪১, ২৪১, ৩৪১, ৪৪১ ও ৫৪১ নং রুমকে গণরুম করা হয়েছে। এই রুমগুলো রাজনৈতিক নেত্রীরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও হলের ১০২ নং রুমও মিনি গণরুম হিসাবে ব্যবহূত হচ্ছে। আগে ৮ সিটের এই রুমটি বিদেশী ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এখন সাধারণ ছাত্রীদের বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। হলের বিশাল গেস্ট রুমের একপাশে করা হয়েছে সাইবার সেন্টার। সংকুচিত হয়েছে গেস্ট রুম। মাস্টার্সের ছাত্রীদেরও ডাবলিং করতে হয় ।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমা শাহীন ইত্তেফাককে বলেন, হলে ধারণ ক্ষমতার বেশি ছাত্রীকে সিট বরাদ্দ দেয়ার কারণে আবাসন সমস্যা রয়েছে। এ জন্য ডাবলিং'র ব্যবস্থা করা হয়েছে।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল। এ হলে আবাসিক সিটের সংখ্যা ৫৩৬টি। দ্বৈতাবাসিক সিট ২৬৩। এছাড়াও অনাবাসিক ১ হাজার ৪৩২। এই হলের মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ২৩১ জন। দ্বৈতাবাসিকসহ এ হলে বর্তমানে দেড় হাজারের অধিক ছাত্রী বসবাস করছে। এ হলে গণরুমের সংখ্যা ৪টি। প্রতিটি রুমে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ জন ছাত্রী বসবাস করেন। হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, আবাসন সংকট নিরসন করার লক্ষ্যে হলে শিকদার ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হলেও এটি এখন শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে। হলে মশার উপদ্রব অনেক বেশি। হলের ছাত্রী আসমা বলেন, হলের দুইটা পড়ার রুম থাকলেও তাতে ৪০ জনের বেশি ছাত্রী পড়তে পারে না। রাত দেড়টার পরে হলের পড়ার রুম বন্ধ করে দেয়া হয়। এজন্য পরীক্ষার সময় গণরুমে বসবাসকারী ছাত্রীদের মারাত্মক সমস্যা হয়। মৈত্রী হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, আমি প্রথম বর্ষের ছাত্রী হওয়ায় এখনো হাউজ-টিউটরদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানি না। তবে এতটুকুই বুঝি যে, তাদের অনেক 'পাওয়ার' আছে। অপর ছাত্রী সুবর্ণা বলেন, সমস্যায় জর্জরিত পুরো হল। ডাইনিংয়ে খাবার খেতে গেলে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। উচ্চদাম, নিম্নমানের খাবার। তাও আবার পরিমাণে এত কম যে, আগে না গেলে সে বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। সহস্রাধিক ছাত্রী হলে থাকলেও মাত্র ৩০ সিটের দুটি রিডিং রুম আছে হলে। হল লাইব্রেরিতে নেই পর্যাপ্ত এবং প্রয়োজনীয় বই।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ফরিদা বেগম ইত্তেফাককে বলেন, শিকদার ভবনটি ছাত্রীদের জন্য। তবে ছাত্রীদের তদারকি করার জন্য সহকারী আবাসিক শিক্ষকদের জন্য কিছু বাসা তৈরি করা হয়েছে। দেড়টার পর ছাত্রীরা পড়াশোনা করে না বলে রিডিং রুম বন্ধ রাখা হয়। তাদের অভিযোগ ঠিক নয়।

মেয়েদের সবচেয়ে ছোট হল হলো বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হলের ৫০৮টি সিটে বসবাস করছে প্রায় ১ হাজার ছাত্রী। হলে ৫টি গণরুম রয়েছে। এর মধ্যে মোহনা নামে একটি গণরুমে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রী অবস্থান করে। এছাড়াও হলের ১১৯ থেকে ১২২ নং কক্ষ পর্যন্ত গণরুম রয়েছে। প্রতিটি গণরুমে ১৫ থেকে ২০ জন অবস্থান করে। এই হলে ডাইনিংয়ে খাবারের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। হলে বিনোদনের জন্য শুধু একটি টিভি রয়েছে। নেই কোন গেমস রুম। হল প্রভোস্ট ঠিকমতো হলে আসেন না বলে অভিযোগ করেন ছাত্রীরা। ছাত্রীরা বলেন, রুমে দুইটার বেশি কম্পিউটার রাখা যায় না।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক গুলশান আরা লতিফা ইত্তেফাককে বলেন, এখন সবচেয়ে বেশি খেলাধুলা হয় ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে। অন্য হলের চেয়ে এ হল অনেক এগিয়ে। প্রশাসন অনেকটা গতিশীল। খাবারের মান অনেক উন্নত হয়েছে।

ছাত্রীদের বড় একটি অংশ মেসে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশকে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হয় মেসে। প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তারা। হলের সিট সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে তারা মেসে আশ্রয় নেন। তারপরেও তারা সবসময় থাকেন মানসিক দুশ্চিন্তায়। হলের বাইরে মেসে থাকা কেয়া বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে মেসে আছি। এখনো সিট পাই নি। কবে হলে উঠতে পারবো তার কোন ঠিক নেই।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ইত্তেফাককে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসন সংকটের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। কার্জন হলের পাশে রেলওয়ের জমিতে ১ হাজার আসনবিশিষ্ট ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। শামসুন্নাহার ও জগন্নাথ হলের মধ্যবর্তী স্থানে একটি ছাত্রী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো একটি ছাত্রী হল নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা চলছে। এই হলগুলো নির্মিত হলে ছাত্রীদের আবাসিক সংকট অনেকটা কমবে বলে তিনি জানান।

ঢাবিতে গাড়ি দুর্ঘটনা : মৃত্যুর দুয়ারে ১ শিশু






Xvwe‡Z Mvwo `yN©Ubv : g„Zz¨i `yqv‡i 1 wkï
wjsKb gvngy`,  Xvwe cÖwZwbwa:
gvÎ cvuP eQ‡ii ‡QvÆ wkï dvwng| gv‡qi mv‡_ eo fvB‡K ¯‹z‡j †cŠ‡Q w`‡Z G‡m AKv‡j c½yZ¡ eiY Ki‡Z n‡jv| ¸iæZi AvNvZ nvZ,cv I gv_vq| Wvb cv‡qi nvo¸‡jv ¸‡ov n‡q †M‡Q e‡j Rvbvbv‡jb Wv³viiv| wK †`vl Zvi! wK Aciva! cÖv‡P¨I A·‡dvW© e‡j L¨vZ G wek¦we`¨vj‡q Avi KZ `yN©Ubv! NvZK PvjK Avi KZ cvi cv‡e! AvBb‡K e„×v½ywj †`wL‡q Zviv Avi KZ eyK dywj‡q †eov‡e|  Rvbv hvq MZKvj eyaevi XvKv wek¦we`¨vj‡qi BDwbfvwm©wU j¨ve‡ivUwi ¯‹z‡ji mvg‡b mvKvj 9 Uvi mgq N‡U G NUbv| gv‡qi nvZ a‡i eo fvB‡qi ¯‹y†ji mvg‡b `vov‡bv| wb‡Ri ¯‹zj eÜ ZvB fvB‡K ¯‹z‡j D‡Ïk¨ evmvq hvIqv| gv‡qi nvZ †_‡KD †hb †K‡o wbj NvZK cÖvB‡fUKvi ( XvKv †g‡U&ªv:M-13-2723)| cÖvq 30 MR iv¯Ív wkïwUi Dci w`‡q †U‡b wnP‡o MvwowU †ec‡ovqv n‡q Pj‡jv| gv‡qi MMb we`vwi wPrKv‡i †jvKRb Rgv n‡q †Mj| wkïwUi i‡³ †f‡m †Mj wcP Xvjv cvKv iv¯Ív| G mgq Zv‡K D×vi K‡i XvKv †gwW‡Kj K‡jR nvmcvZv‡j fwZ© K‡i| Ae¯’vi AebwZ n‡j c‡i  Zv‡K c½y nvmcvZv‡j fwZ© Kiv nq | †m GLb g„Zy¨i mv‡_ jo‡Q| NvZK PvjK †ejvj †nv‡mb| GB cÖwZ‡e`b †jLv ch©šÍ †m kvnevM _vbvq eÜx e‡j Rvbv hvq| wKš‘ AvnZ c‡ÿ †KD Av‡mwb e‡j †Kvb gvgjv nqwb| `vwqZ¡iZ cywjk Kg©KZ©v Rvbvq †KD gvgjv bv Ki‡j cywjk evw` n‡q gvgjv Ki‡e| G e¨vcv‡i XvKv wek¦w&e`¨vj‡qi cÖ±i mvBdzj Bmjvg Lvb e‡jb, G e¨vcviwU wb‡q Avgvi Kv‡Q  Awf‡hvM G‡mQ| NUvbvq  AwffveK cÿ‡K m‡e©v”P mnvqZv Kiv n‡e| 

নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক জাতীয় সেমিনার ও প্রদর্শনী ৬ এপ্রিল শুরু হচ্ছে



bevqb‡hvM¨ kw³ welqK RvZxq †mwgbvi I cÖ`k©bx 6 GwcÖj ïi“ n‡”Q
wjsKb gvngy`,  Xvwe cÖwZwbwa
XvKv wek¦we`¨vjq bevqb‡hvM¨ kw³ M‡elYv †K›`ª Ges evsjv‡`k †mŠikw³ mwgwZi †hŠ_ D‡`¨v‡M “Technical and Economic Challenges for Taking Solar Power to all” kxl©K †mwgbvi AvMvgx 6 GwcÖj, 2011 eyaevi mKvj 10:30Uvq bevqb‡hvM¨ kw³ M‡elYv †K‡›`ª AbywôZ n‡e| GKB mv‡_ 6-8 GwcÖj 2011 †mŠikw³ cÖhyw³ welqK RvZxq cÖ`k©bxi Av‡qvRb Kiv n‡e| 
†mwgbv‡i bevqb‡hvM¨ kw³ M‡elYvi Dci †`‡ki wewfbœ wek¦we`¨vjq, M‡elYv cÖwZôvb I e¨emvwqK cÖwZôv‡bi M‡elKe„›` cÖeÜ Dc¯’vcb Ki‡eb| cÖ`k©bx‡Z †`‡ki kxl©¯’vbxq wewb‡qvMKvix cÖwZôvb¸‡jvI AskMÖnY Ki‡e| cÖ`k©bx‡Z †mŠikw³ cÖhyw³i bZyb †cÖvWv± ev g‡Wj¸‡jv cÖ`k©‡bi e¨e¯’v _vK‡e| cÖ`k©bx mKvj 9:30Uv ‡_‡K mܨv 6:00 Uv ch©š— mK‡ji Rb¨ Db¥y³ _vK‡e|
                                               

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১১

du sajeda

ïay wgwQj wgwUs‡q mxgve× bq, QvÎjxM‡K e½eÜzi BwZnvm Rvb‡Z n‡e
wjsKb gvng`
msm` Dc‡bZv I AvIqvgx jx‡Mi mfvcwZ gÛjxi m`m¨ ‰mq`v mv‡R`v †PŠayix e‡j‡Qb, QvÎjxM‡K ïay wgwQj wgwUs‡q mxgve× _vK‡j Pj‡e bv| e½eÜz †Kv_v †_‡K G‡m‡Q, Zvi DrcwË I `k©b wK G m¤ú‡K© Rvb‡Z n‡e| KviY QvÎjx‡Mi BwZnvm AvIqvgx jx‡Mi †P‡q cÖvPxb|  MZKvj †mvgvevi XvKv wek¦we`¨vjq wUGmwm wgjbvqZ‡b evsjv‡`k QvÎjxM Av‡qvwRZ ¯^vaxbZvi 40 eQi c~wZ© Dcj‡¶¨ GK Av‡jvPbv mfvq cÖavb AwZw_i e³‡e¨ wZwb Gme K_v e‡jb|
wZwb e‡jb, eZ©gvb Ae¯’vq mevB jy‡U-cy‡U LvIqvi †Póv Ki‡Q|  wKšÍ †kL nvwmbvi Wvbvi kw³i Kvi‡b Zv cvi‡Q bv, †m Wvbv n‡jv QvÎjxM| ¯^vaxbZvi ci A‡b‡K e›`yK Kvu‡a wb‡q ¶gZvq G‡m msweavb‡K wQbœ wfbœ K‡i‡Q| d‡j BwZnvm weK…Z n‡q‡Q| BwZnvm‡K myi¶vq †mevB‡K mZK© _vK‡Z n‡e| wZwb e‡jb, RvZxqZvev`x †Kvb †bZv‡KB KzPµxiv evuP‡Z †`qwb| e½eÜyI †mB KzPµx gn‡ji wkKvi n‡q‡Qb |
msMV‡bi †K›`ªxq mfvcwZ gvngy` nvmvb wic‡bi mfvcwZ‡Z¡ Av‡jvPbv mfvq e³e¨ iv‡Lb gyw³hy× welqK cÖwZgš¿x K¨v‡Þb (Ae:) Gwe ZvRyj Bmjvg, XvKv wek¦we`¨vj‡qi †cÖv-DcvPvh© Aa¨vcK nvi“b-Ai-iwk`, AvIqvgx jx‡Mi mvsMVwbK m¤úv`K Avn¤§` †nv‡mb|
K¨v‡Þb (Ae:) Gwe ZvRyj Bmjvg e‡jb, wRqvDi ingv‡bi mgq hLb msweavb iwPZ n‡q‡Q, ZLb wb‡R‡K ¯^vaxbZvi †NvlK wn‡m‡e `vwe K‡ibwb| GgbwK msweav‡b †NvlK wn‡m‡e wb‡Ri bvg mshyw³i K_vI  e‡jbwb, G †_‡K ¯úó †h wZwb ¯^vaxbZvi †Nvlbv †`bwb| wKšÍ eZ©gv‡b Zv‡K ¯^vaxbZvi †NvlK evbv‡bvi cvuqZviv Pj‡Q| e½eÜz‡K ¯^vaxbZvi †NvlK D‡j­L K‡i wZwb e‡jb, ïay evsjv‡`k bq c„w_exi cÖ‡Z¨KwU †`‡ki ¸i“Z¡c~Y© bw_c‡Î e½eÜz‡K ¯^vaxbZvi †NvlK wn‡m‡e AvL¨vwqZ Kiv n‡q‡Q| Bmjvgx `‡ji Av‡›`vjb‡K ûgwK w`‡q wZwb e‡jb, wKQy `vwo- Uzwc cov †jvK iv¯Ívq bvg‡e Avi Avgiv †_‡g hve Zv n‡Z cv‡i bv| Zv‡`i‡K †Kvb fq bq, Zv‡`i‡K K‡Vvi n‡¯Í †gvKvwejv Kiv n‡e|
XvKv wek¦we`¨vj‡qi †cÖv-DcvPvh© Aa¨vcK nvi“b-Ai-iwk` e‡jb, GKwU RvwZi gyw³i Rb¨ Aek¨B Zvi QvÎ ivRbxwZ _vKv DwPZ | e½eÜz †m †PZbv †_‡KB evsjv‡`k QvÎjxM cÖwZôv K‡i‡Qb|  weGbwcÕi ¯’vqx KwgwUi m`m¨ gI`y‡`i mgv‡jvPbv K‡I wZwb e‡jb, wZwb ûgwK w`‡q‡Qb msweav‡b e½eÜzi bvg ¯^vaxbZvi †NvlK wn‡m‡e D‡j­L Ki‡j Zviv msweav‡b G‡m Zv cwieZ©b Ki‡e| wKšÍ †m my‡hvM evsjvi RbMb Zv‡`I w`‡e bv| G mgq wZwb QvÎjxM‡K G wel‡q m‡PZb _vKvi Avnevb Rvbvb|
Abyôv‡b Ab¨vb¨‡`i g‡a¨ Dcw¯’Z wQ‡jb XvKv wek¦we`¨vj‡qi QvÎjx‡Mi mfvcwZ †kL †mv‡nj ivbv wUcy, mvavib m¤úv`K ev`kvmn QvÎjx‡Mi wewfbœ †K›`ªxq Ges nj kvLvi †bZ…©e„›`|