সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বিদ্যালয়েই ঘুম


বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বিদ্যালয়েই ঘুম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি | তারিখ: ০১-১১-২০১১

শিক্ষার্থীরা কুপিবাতি আর হারিকেনের আলোয় বারান্দায় পড়ছে। এরপর রাতের খাবার। তারপর সেখানেই ঘুম। আবার পরদিন ক্লাস। এই দৃশ্য পঞ্চগড় সদরের সীমান্তঘেঁষা রতনীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাশের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকেরা।
২৯ অক্টোবর রাত নয়টায় ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, শিক্ষার্থীরা বারান্দায় দল বেঁধে পড়ছে। পঞ্চম শ্রেণীর ৩২ জন ছাত্রছাত্রী। পৃথক দুটি কক্ষে রাত যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিভাবকেরা তিনবেলা খাবার পৌঁছে দিয়ে যান বিদ্যালয়ে। একজন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক পড়ান আর একজন নারী ছাত্রীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে রাত কাটান। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকেরা চাঁদা দিয়ে এ দুজনের সম্মানীর ব্যবস্থা করেছেন। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ও ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেন, ‘বৃত্তি ও শতভাগ পাসের নিশ্চয়তার জন্য পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছি। এই উদ্যোগের ফলে গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৪ জন শিক্ষার্থীর সবাই প্রথম বিভাগে পাস করেছে। ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এবার গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। গ্রামের বেশির ভাগ অভিভাবক দরিদ্র হওয়ায় সন্তানদের জন্য বাড়িতে শিক্ষক রেখে আলাদাভাবে পড়ানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক অভিভাবক নিরক্ষর। তাঁরা নিজেরা সন্তানদের পড়াতে পারতেন না। এই কারণে রাতে পাঠদান শুরু করা।’
পঞ্চগড় এমআর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এলাকার ছেলেমেয়েরা যেন ভালোভাবে পড়তে পারে, তাই রাতে পাঠদানে সহযোগিতা করছি।’ তিনি পড়াশোনার তদারক করেন। স্কুলে ছাত্রদের সঙ্গে রাতও কাটান। তিনি বলেন, দল বেঁধে পড়তে সুবিধা হয়। একে অন্যকে সহযোগিতা করতে পারে।
স্কুলের বারান্দায় কুপিবাতি দিয়ে পড়ছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মো. রুবেল ইসলাম। সে জানায়, বাবা কাউছার আলম রিকশাভ্যান চালান। হারিকেন কেনার সামর্থ্য নেই। রুবেলের মতো আরও অনেকে কুপিবাতির আলোয় পড়েন।
জান্নাতুল বেগম ও শিমু আকতার বলে, ‘আমরা বিদ্যালয়ের বারান্দায় দল বেঁধে পড়াশোনা করি। এতে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। একে অন্যের সহযোগিতা নিই। না পারলে স্যার শিখিয়ে দেন। পড়াশোনা শেষ করে রাত ১০-১১টার দিকে আমরা বিদ্যালয়ের দুটি আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ি। এ জন্য বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় কাঁথা-বালিশ নিয়ে এসেছি। এভাবে পড়তে খুব ভালো লাগছে।’
অভিভাবক ফয়জুল ইসলাম একজন রিকশাভ্যানের চালক। মেয়েকে রাতের খাবার দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘স্কুলে একপ্রকার বিনি পয়সায় শ্রম দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের রাতে বিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। আমরা অভিভাবকেরা খুবই খুশি।’
প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ে রেখে রাতে পাঠদানের ফলে প্রতিবছরই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাসের হার বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর পেয়ে পাস করছে। গত বছর পর্যন্ত এ বিদ্যালয় থেকে ২০ জনের সবাই প্রথম বিভাগে পাস করেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার ইমাম বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগ খুবই ভালো। বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।’

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১১

মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১১

Rajini’s next film ‘Rana’

Rajini’s next film ‘Rana’

By cinesnacks | Jan 29, 2011
http://www.lincolndu.blogspot.com/


Eros International Media Ltd (Eros International), India’s largest integrated film studio and Ocher Studios Private Limited, Chennai have joined hands to co-produce ‘RANA’ to be directed by K. S. Ravikumar who has in the past directed two super hit films of Rajinikanth – ‘Muthu’ and ‘Padayappa’.
Scheduled to go on floor in March this year, Rana will be a live action magnum opus with Rajini playing triple role and will be released in Tamil, Hindi and Telugu. Music would be done by A R Rahman, Director of Photography would be Ratnavelu, Editing would be done by Antony and Art directed by Rajeevan. The technical & special effects director will be Soundarya Rajnikanth and Charles Darby of Eyeqube Studios, renowned visual effects luminary and an Emmy award winner will be the visual effects supervisor on the film. The film is scheduled to release in FY2012.
Speaking on the development, Mr.Sunil Lulla, Managing Director, Eros International Media Ltd said, “We are extremely excited to join hands with Tamil industry’s most popular super star Rajinikanth for Rana and this time audiences will be treated with their favourite actor donning a triple role in the film. Rana is going to be far different from any of the recent Rajni films, a complete live action magnum opus with loads of entertainment for his fans”.
Ms.Soundarya Rajinikanth, Director of Ocher Studios Private Limited added, “We are very pleased to announce this partnership with Eros International for Rana. We hope to make a film together that will live up to the huge expectations of the movie-goers and reach out to maximum audiences across the globe”.
Rajnikanth’s last film Robot was a spectacular hit that released in Tamil, Telugu and Hindi and grossed more than Rs. 300 crores worldwide.
With the announcement of Rana, Eros International continues to further consolidate its position in the Indian film industry with an impressive line-up for the year including highly anticipated films like Game, Zindagi Na Milegi Dobara, Rockstar, Mausam, Ra.One, Desi Boyz, Agent Vinod and Chalo Dilli.

Rajinikanth’s Movie List

Rajinikanth’s Movie List

By cinesnacks | Dec 12, 2009 | 21,590 views


S.No    Name of Film    Language    Director    Music    Date of
Release  
1.   Apoorva Raagangal   Tamil   K.Bala Chander   M.S.V   18.08.1975  
2.   Katha Sangama   Kanada   Puttanna   Vijaya Basker   23.01.1976  
3.   Anthuleni Katha   Telugu   K.Balachander   M.S.V   27.02.1976  
4.   Moondru Mudichu   Tamil   K.Balachander   M.S.V   22.10.1976  
5.   Baalu Jenu   Kanada  
Kunigal Naga Bhushanam Balan  
G.K.Venkatesh   10.12.1976  
6.   Avargal   Tamil   K.Balachander   M.S.V   25.02.1977  
7.   Kavikkuyil   Tamil   Devaraj &Mohan   Ilayaraja   29.07.1977  
8.   Raghupathi Raghavan Rajaram   Tamil   Durai   Sankar Ganesh   12.08.1977  
9.   Chilakamma Cheppindi   Telugu   Eranki Sharma   M.S.V   13.08.1977  
10.   Bhuvana Oru Kelvikkuri   Tamil   S.R.Muthuraman   Ilayaraja   02.09.1977  
11.   Ondu Premada Kathe   Kanada   S.M.Joe Simon     02.09.1977  
12.   16 Vayadhiniley   Tamil   Bharati Rajaa   Ilayaraja   15.09.1977  
13.   Sahodara Saval   Kanada   K.S.R.Das   Sathyam   16.09.1977  
14.   Aadu Puli Attam   Tamil   S.P.Muthuraman   Vijaya Bhaskar   30.09.1977  
15.   Gaayathri   Tamil   R.Pattabhiraman   Ilayaraja   07.10.1977  
16.   Kumkuma Rakshe   Kanada   S.K.A.Chari   Vijaya Bhasker   14.10.1977  
17.   Aarupushpangal   Tamil   K.M.Balakrishnan   M.S.V   10.11.1977  
18.   Tholireyi Gadichindi   Telugu   K.S.Rami Reddy   Sathyam   17.11.1977  
19.   Aame Katha   Telugu   K.Raghavendra Rao   Chakravarthy   18.11.1977  
20.   Galatta Samsara   Kanada   C.V.Rajendran   G.K.Venkatesh   02.12.1977  
21.   Shankar Salim Simon   Tamil   P.Madhavan   M.S.V   10.02.1978  
22.   Killad Kittu   Kanada   K.S.P.Das   Mohan Kumar   03.03.1978  
23.   Annadammula Savaal   Telugu   K.S.R.Das   Sathyam   03.03.1978  
24.   Aayiram Janmangal   Tamil   Durai   M.S.V   10.03.1978  
25.   Maathu Tappadamaga   Kanada   Peketi Sivaram   Ilayaraja   31.03.1978  
26.   Mangudi Minor   Tamil   V.C.Gunanathan   Chandrabose   02.06.1978  
27.   Bairavi   Tamil   M.Bhaskar   Ilayaraja   02.06.1978  
28.   Ilamai Oonjaladukirathu   Tamil   Sridhar   Ilayaraja   09.06.1978  
29.   Sadurangam   Tamil   Durai   V.Kumar   30.06.1978  
30.   Vanakkatukuriya Kathaliye   Tamil   Thirulokachander   M.S.V   14.07.1978  
31.   Vayasu Pilichindi   Telugu   Sridhar   Ilayaraja   04.08.1978  
32.   Mullum Malarum   Tamil   Mahendiran   Ilayaraja   15.08.1978  
33..   Iraivan Kodutha Varam   Tamil   A.Bhimasingh   M.S.V   22.09.1978  
34.   Thappida Thala   Kanada   K.Balachander   Vijayabasker   06.10.1978  
35.   Thappu Thalangal   Tamil   K.Balachander   Vijayabasker   30.10.1978  
36.   Aval Appadithan   Tamil   C.Rudhriah   Ilayaraja   30.10.1978  
37.   Thai Meethu Sathiyam   Tamil    R.Thyagarajan   Sankar Ganesh   30.10.1978  
38.   En Kelvikku Enna Bathil   Tamil   P.Madhavan   M.S.V   09.12.1978  
39.   Justice Gopinath   Tamil   Yoganand   K.S.viswanathan   16.12.1978  
40.   Priya   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   22.12.1978  
41.   Priya   Kanada   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   12.01.1979  
42.   Kuppathu Raja   Tamil   Ramanna   M.S.V   12.01.1979  
43.   Iddaru Asadhyule   Telugu   K.S.R.Das   Sathyam   25.01.1979  
44.   Allauddinum Albhutha Vilakkum   Malayalam   I.V.Sasi   Devarajan   14.04.1979  
45.   Ninaithale Inikkum   Tamil   K.Balachander   M.S.V   14.04.1979  
46.    Andhamaina Anubhavam   Telugu   K.Balachander   M.S.V   19.04.1979  
47.   Allaudinaum Arputha Vilakkum   Tamil   I.V.Sasi   Devarajan   08.06.1979  
48.   Dharma Yuddam   Tamil   R.C.Sakthi   Ilayaraja   29.06.1979  
49.   Naan Vazhavaippen   Tamil   D.Yoganand   Ilayaraja   10.08.1979  
50.   Tiger   Telugu   N.Ramesh   Sathyam   05.09.1979  
51.   Aarilirunthu Arubathu Varai   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   14.09.1979  
52.   Annai  Oru Alayam   Tamil   R.Thyagarajan   Ilayaraja   19.10.1979  
53.   Amma Evarikkaina Amma   Telugu   R.Thyagarajan   Ilayaraja   08.11.1979  
54.   Billa   Tamil   R.Krishnamoorthy   M.S.V   26.01.1980  
55.   Ram Robert Rahim   Telugu   Vijaya Nirmala   Chakravarthy   31.05.1980  
56.   Anbukku Naan Adimai   Tamil   R.Thyagarajan   Ilayaraja   04.06.1980  
57.   Kali   Tamil   I.V.Sasi   Ilayaraja   03.07.1980  
58.   Mayadari Krishnudu   Telugu   R.Thyagarajan   Ilayaraja   19.07.1980  
59.   Naan Potta Saval   Tamil   Puratchidasan   Ilayaraja   07.08.1980  
60.   Jhonny   Tamil   Mahendran   Ilayaraja   15.08.1980  
61.   Kaali   Telugu   I.V.Sasi   Ilayaraja   19.09.1980  
62.   Ellam Un Kairasi   Tamil   M.A.Thirumugam   Ilayaraja   09.10.1980  
63.   Pollathavan   Tamil   V.Srinivasan   M.S.V   06.11.1980  
64.    Murattu Kalai   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   20.12.1980  
65.   Thee   Tamil   R.Krishnamoorthy   M.S.V   26.01.1981  
66.   Kazhugu   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   06.03.1981  
67.   Thillu Mullu   Tamil   K.Balachander   M.S.V   01.05.1981  
68.   Garjanai   Tamil   C.V.Rajendran   Ilayaraja   06.08.1981  
69.   Garjanam   Malayalam   C.V.Rajendran   Ilayaraja   14.08.1981  
70.   Netrikan   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   15.08.1981  
71.   Garjane   Kanada   V.C.Rajendran   Ilayaraja   23.10.1981  
72.   Ranuva Veeran   Tamil   S.P.Muthuraman   M.S.V   26.10.1981  
73.   Pokkiri Raja   Tamil   S.P.Muthuraman   M.S.V   14.01.1982  
74.   Thanikattu Raja   Tamil   V.C.Gohanathan   Ilayaraja   12.03.1982  
75.   Ranga   Tamil   R.Thyagarajan   Sankar Ganesh   14.04.1982  
76.   Puthukavithai   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   11.06.1982  
77.   Enkeyo Ketta Kural   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   14.08.1982  
78.   Moondru Mugam   Tamil   A.Jagannathan   Sankar Ganesh   01.10.1982  
79.   Paayum Puli   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   14.01.1983  
80.   Thudikkum Karangal   Tamil   Sridhar   S.P.Bala.  04.03.1983  
81.   Andhaa Kaanoon   Hindi   T.Rama Rao   Lakmikant Pyarelal   07.04.1983  
82.   Thai Veedu   Tamil   B.Thyagarajan   Sankar Ganesh   14.04.1983  
83.   Sivappu Sooriyan   Tamil   V.Srinivasan   M.S.V   27.05.1983  
84.   Jeet Hamaari   Hindi   R.Thyagarajan   Bappi Lahiri   17.06.1983  
85.   Adutha Varisu   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   07.07.1983  
86.   Thanga Magan   Tamil   A.Jagannathan   Ilayaraja   04.11.1983  
87.   Meri Adaalat   Hindi   A.T.Raghu   Bappi Lahiri   13.01.1984  
88.   Naan Mahaan Alla   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   14.01.1984  
89.   Thambikku Entha Ooru   Tamil   Rajasekar   Ilayaraja   20.04.1984  
90.   Kai Kodukkum Kai   Tamil   Mahendran   Ilayaraja   15.06.1984  
91.   Ethe Naasaval   Telugu   Puratshidasan   Ilayaraja   15.06.1984  
92.   Anbulla Rajinikanth   Tamil   K.Natraj   Ilayaraja   02.08.1984  
93.   Gangvaa   Hindi   Rajasekar   Bappi Lahiri   14.09.1984  
94.   Nallavanuku Nallavan   Tamal   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   22.10.1984  
95.   John Jani Janardhan   Hindi   T.Rama Rao   Lakshmikant Pyarelal   26.10.1984  
96.   Naan Sikappu Manithan   Tamil   S.A.Chandrasekar   Ilayaraja   12.04.1985  
97.   Mahaguru   Hindi   S.S.Ravichandra   Bappi Lahiri   26.04.1985  
98.   Un Kannil Neer Vazhindal   Tamil   Balumahendra   Ilayaraja   20.06.1985  
99.   Wafadaar   Hindi   Dasari Narayana Rao   Bappi Lahri   01.09.1985  
100.   Sri Raghavendra   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja   01.09.1985  
101.   Bewafai   Hindi   R.Thyagaarrajan   Bappi Lahiri   20.09.1986  
102   Padikkadavan   Tamil   Rajasekar   Illayaraja   11.11.1985  
103   Mr.Bharath   Tamil   Sp.Muthuraman   Illayaraja   10.01.1986  
104   Nann Adimai Illai   Tamil   Dwarakish   Vijay Anand   01.03.86  
105   Jeevana Poratam   Telugu   Rajachandra   Chakravarthy   10.04.1986  
106   Viduthalai   Tamil   K.Vijayan   Chandra Bose   11.04.1986  
107   Bhagawann Dada   Hindi   J.Om.Prakash     25.04.1986  
108   Asli Naqli   Hindi   Sudarsan Nag   Lakshmikant Pyarelal   17.10.1986  
109   Dosti Dhushman   Hindi   T.RamaRao   Lakshmikant Pyarelal   31.10.86  
110   Maaveeran   Tamil   Rajasekar   Illayaraja   01.11.1986  
111   Velaikaran   Tamil   Sp.Muthuraman   Illayaraja   07.03.1987  
112   Insaff Kaun Karega   Hindi   Sudarsan Nag   Lakshmikant Pyarelal   19.06.1987  
113   Oorkavalan   Tamil   Manobala   Sankarganesh   04.09.1987  
114   Manithan   Taamil   S.P Muthuraman   ChandraBose   21.10.1987  
115   Uttar Dakshan   Hindi   Prabhat Kanna   Lakshmikant Pyarelal  13.11.1987  
116   Tamacha   Hindi   Ramesh Ahuja   Bappi Lahiri   26.02.1988  
117   Guru Sishyan   Tamil   S.P.Muthuraman   Illayaraja   13.04.1988  
118   Dharmathin Thalaivan   Tamil   S.P.Muthuraman   Illayaraja   24.09.1988  
119   BloodStone   English   Dwight Little   Illayaraja   07.10.1988  
120   Kodi Parakuthu   Tamil   Bharathiraja   Hamsaleka 08.11.1988  
121   Rajathi Raja   Tamil   R.Sundar Rajan   illayaraja   04.03.1989  
122   Siva   Tamil   Ammerjan   Illayaraja   05.05.1989  
123   Raja Chinna Roja   Tamil   S.P.Muthuramna   ChandraBose   20.07.1989  
124   Mappillai   Tamil   Rajasekar   Illayaraja   28.10.1989  
125   Bhrashtachar   Hindi   RameshSippy   Lakshmikant Pyarilal   01.12.1989  
126   Chaalbaaz   Hindi   Pankaj Parashar   Lakshmikant Pyarelal   08.12.1989  
127.   Panakkaran   Tamil   P.Vasu   Ilayaraja   14.01.1990  
128   Athisaya Piravi   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja 15.06.1990  
129   Dharmadorai   Tamil   Rajasekar   Ilayaraja   14.01.1991  
130   Hum   Hindi   Kukul S. Anand   Lakshmikant Pyarelal   01.02.1991  
131   Farishtay   Hindi   Anil Sharma   Bappi Lahari   22.02.1991  
132   Khoon Ka Karz   Hindi   Mukul S. Anand   Lakshmikant Pyarelal   01.03.1991  
133   Phool Bane Angaray   Hindi   K.C.Bokadia   Bappi Lahari   12.07.1991  
134.   Nattukku Oru Nallavan   Tamil   V.Ravichandran   Hamselekha   02.10.1991  
135.   Dalapathi   Tamil   Manirathnam   Ilayaraja   05.11.1991  
136.   Mannan   Tamil   Vasu.P   Ilayaraja   14.01.1992  
137.   Tyagi   Hindi   K.C.Bokadia   Bappi Lahari   29.05.1992  
138.   Annamalai   Tamil   Suresh Krishna   Deva   27.06.1992  
139.   Pandiyan   Tamil   S.P.Muthuraman   Ilayaraja
KarthickRaja  
25.10.1992  
140.   Insaniyat Ke Devta   Hindi   K.C.Bokadia   Anand Miland   12.02.1993  
141.   Yejaman   Tamil   R.V.Udhayakumar   Ilayaraja   18.02.1993  
142.   Uzhaippali   Tamil   P.Vasu   Ilayaraja
Karthick Raja  
24.06.1993  
142a.   Valli   Tamil   K.Nataraj   Ilayaraja
Karthick Raja  
24.06.1993  
143.   Veera   Tamil   Suresh Krishna   Ilayaraja   14.04.1994  
144.   Baasha   Tamil   Suresh Krishna   Deva   12.01.1995  
145.   Peddarayudu   Telugu   Raviraj P   Koti   15.06.1995  
146.   Aatank Hi Aatank   Hindi   Dilip Sankar   Bappi Lahari   04.08.1995  
147.   Muthu   Tamil   K.S.Ravikumar   A.R.Rahman   23.10.1995  
148.   Bhagyadevta   Bengali   Raghu Ram   Burman Brothers   23.12.1995  
149.   Arunachalam   Tamil   Sunder.C   Deva   10.04.1997  
150.   Padayappa   Tamil   Ravikumar.K.S   A.R.Rahman   10.04.1999  
151.   Baba   Tamil   Suresh Krishna   A.R.Rahman   15.08.2002  
152. Chandramukhi Tamil P.Vasu Vithiyasagar 14.04.2005
153. Sivaji Tamil Shankar A.R. Rahman 15.06.2007

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১১

ঢাবি’র ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব

ঢাবি’র ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব


ঢাকা, ১৪ অক্টোবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আর্থ অ্যান্ড এনভারনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তারা পরীক্ষা-কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, এ বছর ‘ক’ ইউনিটের অধীনে এক হাজার ৫৭৪টি আসনের জন্য ৫২ হাজার ৫৩১ জন পরীক্ষার্থী ৭০টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

‘ক’-ইউনিটের অধীনে রয়েছে পাঁচটি অনুষদ। এগুলোর হলো- বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি। এসব অনুষদের ২৩টি বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া এ ইউনিটে তিনটি ইনস্টিটিউটও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলো হলো- ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিসটিক্যল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইএসআরটি), ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন ‍অ্যান্ড ফুড সায়েন্স (আইএনএফএস) ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি)।

এদিকে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের গেস্টরুমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে গুজব রটে। সকালে বিষয়টি চারদিকে ছড়ালেও এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রথমে হলে পরে ধীরে ধীরে তা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ছাড়া অসদুপায় অবলম্বনের জন্য এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। বেলা আড়াইটায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, সে পরীক্ষার হলে বসে ইলেকট্রিক মেশিন ব্যবহার করে বাহির থেকে উত্তর জানার চেষ্টা করছিল।

এ বিষয়ে শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “কিসের প্রশ্নপত্র ফাঁস।  এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে শুনিনি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আমজাদ আলী বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার খবর পেয়ে সে হলে একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তিনি হলের গেস্টরুমে এর কোনো আলামত খুঁজে পাননি।”

তিনি আরো বলেন, “হলের গেস্টরুমে বসে কেউ এই কাজ করবে না। এ ধরণের কাজ গোপন কোনো স্থানে সংগঠিত হয়। এটা একটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।”

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো ঘটনা জানি না। ঘটে থাকলে আমি অবশ্যই জানতাম।”

শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা

শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা
নিবারণ বড়ুয়া
বহুল আলোচিত জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এর জন্য এখনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে শিক্ষানীতির আলোকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক এবং দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর নির্ধারণ করায় শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কোনোভাবেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে রাজি নন। আবার কলেজের শিক্ষকরা চান না স্কুলশিক্ষকে পরিণত হতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠদানকারী কলেজশিক্ষকরাও প্রভাষক পদ হারাতে রাজি নন। সূত্রমতে, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অনেক কলেজের অস্তিত্বও এখন হুমকির মুখে। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী কলেজ প্রধানদের পদবি অধ্যক্ষ। নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে অভিহিত হবেন। এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না। কেননা অধ্যক্ষ আর প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল এক নয়। একইভাবে প্রভাষক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকের বেতন স্কেলও এক নয়। জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে আট হাজার 'ইন্টারমিডিয়েট কলেজ' রয়েছে। এর অধ্যক্ষদের বেতন স্কেল ২২ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর হয়ে গেলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১৫ হাজার টাকার স্কেলে বেতন নিতে হবে। একইভাবে প্রভাষকরা ১১ হাজার টাকার স্কেল থেকে স্কুলশিক্ষকের ছয় হাজার ৮০০ টাকার স্কেলে নেমে আসবেন।

এ অবস্থায় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতনভাতা কীভাবে নিরূপিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিনটি অধিদফতরে এখন ঘনঘন সভা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষানীতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে তিন অধিদফতরকেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর আলাদা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলেছেন, পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল ঢেলে সাজালেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এতে শিক্ষকরাও খুশি হবেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে সরকার শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'সবাইকে সম্পৃক্ত করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোনোভাবেই শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা হবে না। তাদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকার আন্তরিক।' প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল শিক্ষানীতি প্রণয়নে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ওই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সুপারিশ জমা দেয়। গত বছর মে মাসে মন্ত্রিসভায় জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুমোদন পায়। পরে সেটি জাতীয় সংসদেও গৃহীত হয়। তবে বিরোধী দল ও সমমনা ধর্মভিত্তিক দলগুলো তখন এর বিরোধিতা করে। অবশ্য দেশের অনেক শিক্ষাবিদই শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-সংকটে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো




জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-সংকটে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

রিয়াদুল করিম | তারিখ: ১৪-১০-২০১১
অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে ভুগছে ঢাকার বাইরের নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা যায়, গত শিক্ষাবর্ষে ঢাকার বাইরে অন্তত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অধ্যাপক ছিলেন না। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের সংখ্যা খুবই কম।
উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদের অভিজ্ঞ শিক্ষক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ শিক্ষক ছাড়া উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন বা মান ধরে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু পদ থাকলেও নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভীজ্ঞ শিক্ষক পাওয়া যায় না। কারণ ঢাকা, বুয়েট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষকেরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান না। এর কারণ প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠান যেমন শিক্ষকেরা ছাড়তে চান না, তেমনি বড় শহরে থাকার বিভিন্ন সুযোগসুবিধাও হাতছাড়া করতে চান না তাঁরা।
এ অবস্থায় ইউজিসি বলছে, বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ডেপুটেশনে পাঠানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এটি করা গেলে সমস্যা কিছুটা কমবে।
ইউজিসির হিসাবে (২০১০) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন না। একই অবস্থা ছিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিতে।
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আছেন মাত্র একজন। আর সহযোগী অধ্যাপক আছেন সাতজন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৬ জন শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক মাত্র একজন। আর সহযোগী অধ্যাপক ছয়জন।
ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৪৭ জন শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক মাত্র দুজন। আর সহযোগী অধ্যাপক ছয়জন।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ১৬৮। এর মধ্যে অধ্যাপক মাত্র চারজন। আর সহযোগী অধ্যাপক ১০ জন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪০ জন শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক মাত্র একজন, সহযোগী অধ্যাপক চারজন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক পদের অভিজ্ঞ শিক্ষক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, গবেষণা ও শিক্ষকতা দুই ক্ষেত্রেই তাঁদের অভিজ্ঞতা থাকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবীণ শিক্ষকদের একটু অন্য রকম গ্রহণযোগ্যতা থাকে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবীণ ও তরুণ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা জরুরি। সবাই তরুণ হলে নির্দেশনার অভাব থাকে। আবার সবাই প্রবীণ হলে একধরনের স্থবিরতা চলে আসে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক। শিক্ষকতার বাইরে ঢাকার শিক্ষকেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া, পরামর্শক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। ঢাকার বাইরে সে সুযোগ নেই। এটি যেমন একটি দিক, অন্য একটি দিক হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভালো গবেষণাগার নেই, গ্রন্থাগার নেই, গবেষণার সুযোগ নেই। এসব কারণে শিক্ষকেরা ঢাকার বাইরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেতে আগ্রহী হন না।’ তিনি বলেন, পটুয়াখালী বা ত্রিশালে না গেলে বোঝা যাবে না সেখানে কী দুর্গতি।
মনজুরুল ইসলামের বক্তব্যের সঙ্গে অনেকটা একমত পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় মূলত আবর্তিত হয় জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে। এ জন্য অভিজ্ঞ, বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের বিকল্প নেই। অভিজ্ঞ শিক্ষক না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে না। কিন্তু সমস্যা হলো শিক্ষকেরা নানা কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী থেকে ছোট শহরের ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান না। এ সমস্যা থেকে উত্তরণ কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের স্বল্প সময়ের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে পাঠানো যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এ জন্য শিক্ষকদের ডেপুটেশন ভাতা, বাসা ভাড়াসহ বিভিন্ন প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা করারও চিন্তা চলছে, যাতে শিক্ষকেরা যেতে আগ্রহী হন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমির হোসেন প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞানের পরিধি, দিক-নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় চলবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা আসতে চান না। তাঁরা জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পান না। কারণ তাঁরা সবাই ভালো জায়গায় স্থায়ী।

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১১

মাধ্যমিক স্কুলের র‌্যাকিং

মাধ্যমিক স্কুলের র অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক স্কুলের র‌্যাংকিং (মানক্রম) করল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অধিদপ্তরের পরিকল্পনা শাখা এ কাজ করছে। র‌্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে স্কুলগুলো পুরস্কার ও তিরস্কার পাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এত দিন পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শুধু বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার মান যাচাই ও মূল্যায়ন করা হতো।
র‌্যাংকিংয়ে 'এ' ক্যাটাগরিভুক্ত ঢাকার মাধ্যমিক স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে_মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, হলিক্রস স্কুল, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সামসুল হক খান উচ্চ বিদ্যালয়, বিএএফ শাহীন স্কুল, রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার বালিকা বিদ্যালয়, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ওয়াইডাবি্লউসিএ স্কুল, কাকলি উচ্চ বিদ্যালয় ধানমণ্ডি, মতিঝিল মডেল স্কুল (দিবা)। রাজধানীর 'বি' ক্যাটাগরিভুক্ত স্কুলগুলো হলো_ভিকারুননিসা নূন স্কুল, সেন্ট গ্রেগরীজ, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল। 'সি' ক্যাটাগরিতে আছে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও ধানমণ্ডি কামরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়।
র‌্যাংকিং করার জন্য দেশের সব (১৯ হাজার ৮৩) মাধ্যমিক স্কুলের প্রধানের কাছে তথ্য ফরম পাঠানো হয়েছিল গত মার্চ মাসে। গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ফরম পূরণ করে পাঠিয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৩টি স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানগুলোই র‌্যাংকিংয়ের আওতাভুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, এ র‌্যাংকিং পদ্ধতির জন্য সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি)। এর আওতায় প্রথম বছর শুধু মাধ্যমিক স্কুলকেই নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসাকে প্রথম বছর র‌্যাংকিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার এই প্রথম দেশের সব মাধ্যমিক স্কুলের মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ মূল্যায়ন থেকে স্কুলগুলোর সঠিক চিত্র যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনি সবলতা-দুর্বলতা বোঝা যাবে। তিনি বলেন, র‌্যাংকিংয়ের ফলে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পথও পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, র‌্যাংকিংয়ের জন্য মোট সাতটি প্রধান নিয়ামক বা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো_একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের শিক্ষাদান ও শিক্ষার্থীদের শেখানোর পরিবেশ, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রম, শিক্ষকের পেশাদারিত্ব, শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব, সহশিক্ষাক্রমের কার্যক্রম ও কমিউনিটি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবক-শিক্ষকের সম্পর্ক। এ ছাড়া আরো ৪৫টি বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'এ র‌্যাংকিংয়ের ফলে স্কুলগুলোর কার্যক্রম দেখা হবে। যদি কোনো স্কুলের চিত্র খারাপ দেখা যায়, তাহলে তাদেরকে বলা হবে, তোমরা খারাপ করছ। এ জন্য তোমাদের এমপিও সুবিধা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হবে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে স্কুলগুলোকে শোকজও করা হবে।'
শিক্ষাসচিব ড. কামাল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের র‌্যাংকিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। সবাই প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে স্বপ্রণোদিত হয়েই শিক্ষার পরিবেশ ও মান নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবে।
র‌্যাংকিংয়ে ৯০ থেকে ১০০ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'এ' (অতি উত্তম), ৮০ থেকে ৮৯.৯ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'বি' (ভালো), ৭০ থেকে ৭৯.৯ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'সি' (মধ্যম), ৫০ থেকে ৬৯.৯ নম্বরকে 'ডি' (দুর্বল) ক্যাটাগরি এবং ২০ থেকে ৪৯.৯ নম্বরকে 'ই' (অকার্যকর) ক্যাটাগরি ধরা হয়েছে। প্রথমবারের মূল্যায়নে দেশের ১৭ হাজার ৮৭৩টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে দুই হাজার ৪৫৫টি (১৪%) 'এ' ক্যাটাগরি, আট হাজার ৮৯৭টি (৫০%) 'বি' ক্যাটাগরি, চার হাজার ৭৪৯টি (২৭%) 'সি' ক্যাটাগরি, এক হাজার ৬১৯টি (৮%) 'ডি' ক্যাটাগরি এবং ১৫৩টি (১%) 'ই' ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কর্মশালা : মাধ্যমিক স্কুলের এই র‌্যাংকিং নিয়ে গতকাল রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমীতে (নায়েম) এসইএসডিপি আয়োজিত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ইকবাল খান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৯ অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, 'এ' ক্যাটাগরির কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রতিনিধিসহ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বলা হয়, এখন থেকে প্রতিবছর স্কুলগুলোর র‌্যাংকিং করা হবে এবং জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর ফল প্রকাশ করা হবে।

রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১১

প্রথম আলোকে হুমকি দিয়ে নাসিম ওসমান ‘যদি গডফাদার হতাম, তাহলে কবরে বটগাছ লাগিয়ে দিতাম’




প্রথম আলোকে হুমকি দিয়ে নাসিম ওসমান

‘যদি গডফাদার হতাম, তাহলে 

কবরে বটগাছ লাগিয়ে দিতাম’

নাসিক ওসমান শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন......!
nasim osman

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ নাসিম ওসমান বলেছেন, ‘যারা আমাদের গডফাদার বলে, তাদের বলতে চাই, আমরা যদি গডফাদার হতাম, তাহলে তাদের কবরে বটগাছ লাগিয়ে দিতাম।’ তিনি প্রথম আলোকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘প্রথম আলোকে কীভাবে দেখে নিতে হয়, আমাদের জানা আছে। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রথম আলোর সম্পাদকের উদ্দেশে নাসিম ওসমান বলেন, ‘যদি ক্ষিপ্ত হয়ে লাখ লাখ লোক পত্রিকাটির সম্পাদককে মারধর করে, সেটি হবে গণমার। প্রয়োজনে আমরা এ কাজ করব।’
নাসিম ওসমান বলেন, ‘তারা অনেক বড় সাংবাদিক হতে পারে। কিন্তু আমরা ছোট সাংসদ নই। আমরা নারায়ণগঞ্জের সাংসদ। প্রয়োজনে লাখ লাখ লোকের মিছিল ঢাকা পর্যন্ত যাবে।’
নাসিম ওসমান আরও বলেন, ‘প্রথম আলো বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন জননেতা শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কুত্সা রটাচ্ছে এবং শামীম ওসমানকে হেয় করাসহ আমার ও ব্যবসায়ী নেতা সেলিম ওসমানের সব সুন্দর ও উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ নারায়ণগঞ্জের অপরাধ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শক্তির দিক থেকে আমরা নারায়ণগঞ্জে একচ্ছত্র। আমাদের ধারেকাছে কেউ নেই। বিএনপি কোনো দলই না। আগামী ৩০ অক্টোবরের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। শামীম ওসমান বিপুল ভোটে এই নির্বাচনে জয়লাভ করবে।’
নাসিম ওসমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় আমরা শীতলক্ষ্যা সেতু বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি। অচিরেই সেতু চালু হবে। পানিসমস্যার সমাধানে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। যার সুফল নারায়ণগঞ্জবাসী অচিরেই পাবে। আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জে অত্যাধুনিক হাসপাতাল হবে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। নারায়ণগঞ্জ হবে শান্তির শহর।’
নাসিম ওসমান বলেন, ‘শামীম ওসমান সাংসদ থাকাকালে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার কাজ করেছিল। আমি সাংসদ হওয়ার পর প্রতি মুহূর্তে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। আমার আরেক ভাই সেলিম ওসমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ আমাদের সুশীল কার্যক্রমকে ধামাচাপা দিতে প্রথম আলো এবং তাদের ঘরানা থেকে বেরিয়ে আসা কিছু সাংবাদিক মিথ্যাচারে লিপ্ত।’

আইভীর উদ্দেশে নাসিম ওসমান বলেন, ‘এখন প্রথম আলোতে ট্রাক রাখা নিয়ে লেখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এটা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘একটার জায়গায় ১০টা রিকশার লাইসেন্স দিয়ে নারায়ণগঞ্জকে যারা যানজটের শহরে পরিণত করেছে, তারা ধোয়া তুলসীপাতা! আজকে আমরা রিকশার জন্য গাড়ি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে চলতে পারি না।’ তিনি বলেন, সেলিম ওসমান যেমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে, আমি যেমন গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি, তেমনি ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে শামীম ওসমান জয়লাভ করবে।’
প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ না করে কেন সংবাদ সম্মেলন করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম ওসমান বলেন, ‘এসব সংবাদের প্রতিবাদ করার ইচ্ছা আমার নেই। প্রতিবাদ করে সময় নষ্ট করার চেয়ে জনগণের কাজ করা অনেক ভালো।'প্রথম আলোকে নিজেদের শত্রু উল্লেখ করে নাসিম ওসমান বলেন, ‘ওরা আমাদের শত্রু। ওরা বিএনপি-জামায়াতের বুলি আওড়াচ্ছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে লিখবেই। এটাই চিরন্তন সত্য।’

তেজগাঁওয়ে অধিকাংশ সড়ক ভেঙে একাকার

তেজগাঁওয়ে অধিকাংশ সড়ক ভেঙে একাকার

আলাউদ্দিন আরিফ
কারওয়ানবাজার থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং হয়ে সাতরাস্তা যেতে চাইলে পারবেন না। কারণ, রাস্তাটির অবস্থা এতই ভয়াবহ যে গাড়ি বা রিকশা চলার উপায় নেই। হেঁটে যাবেন তারও উপায় নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কটি তলিয়ে যায় হাঁটু পানিতে। ফুটপাতসহ প্রশস্ত এ সড়কের অর্ধেকের বেশি দখল করে আছে ট্রাক। তার ওপর রয়েছে ছিনতাই আতঙ্ক। 


গতকাল তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে ভরা। রাস্তাগুলো প্রায় পাঁচ বছর ধরে সংস্কার নেই। কিছু রাস্তায় নতুন করে খোয়া-বালু দিয়ে ঢালাই দেয়া হয়েছে। তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কারওয়ানবাজার, তেজতুরিবাজার, পূর্ব ও পশ্চিম নাখালপাড়া, আরজতপাড়া, শাহীনবাগ, কুনিপাড়া, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, বেগুনবাড়িসহ সব এলাকার প্রধান সড়ক ও গলিপথগুলোর এখন বেহালদশা।
ফার্মগেট থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত সড়কটি কিছুদিন আগে সংস্কার করা হয়েছে। তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজ থেকে দক্ষিণে কারওয়ানবাজারের সংযোগ সড়কটিতে দেখা গেছে বড় বড় গর্ত। এগুলোতে গাড়ি ও রিকশায় চলা দায় হয়ে পড়েছে। ১৭, পূর্ব তেজতুরিবাজারের গোল্ডেন প্লাজার গার্ড আশরাফ জানান, তাদের ভবনটির সামনে প্রায় তিন বছর ধরে রাস্তা খারাপ। সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনের বাসিন্দারা নিজের টাকায় রাস্তার খোয়া ও সিমেন্ট ঢালাই করে গর্ত ভরাট করেছে। কিন্তু সিমেন্টের ঢালাই ও কার্পেটিং খাপ না খাওয়ায় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ই সড়কের ১ ও ২ পূর্ব তেজতুরিবাজার প্যাসিফিক হোমসের সামনে বিশাল গর্ত। রিকশা চালানো দায়। ভবনের বাসিন্দা নজরুল জানান, প্রায় তিন বছর ধরে রাস্তাটি খারাপ হয়ে আছে। মেরামত হচ্ছে না। 


কারওয়ানবাজার থেকে সাতরাস্তার দিকে সড়কটির পুরোটাই যেন খাল। তেজগাঁও রেলক্রসিং সড়কের দু’পাশেই বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য গুদামের উত্তর ও দক্ষিণ পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কের পুরোটাতেই ট্রাক, লরি, পিকআপ, কভার্ড-ভ্যান এবং মিনিবাসের অবৈধ পার্কিংয়ে এখন তা রীতিমত টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। অথচ এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেজগাঁও থেকে কারওয়ানবাজারে যাওয়ার সহজ সংযোগ সড়ক এটি। সড়কের বেহাল অবস্থা, এলোপাতাড়ি গাড়ি পার্কিং এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকেই এ সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও এ সড়কে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা জানান, এ সড়কের পাশে একটি স্বতন্ত্র ট্রাকস্ট্যান্ড থাকার পরও অসংখ্য ট্রাক এবং ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির পরিবহন রেখে রাস্তাটির প্রায় পুরো অংশ দখল করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ সড়কের দু’পাশে অবস্থিত তিন-চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পার্কিংয়েও কিছু অংশ দখল হয়ে আছে। অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এছাড়া সড়কটিতে রাখা বর্জ্য এবং পাশের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সড়কে যাতায়াতকারী একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, তিনি প্রায়ই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। সন্ধ্যার পর যে কেউ এ সড়কে নতুন এলে তাকে বিপদে পড়তে হয়। সাতরাস্তার মোড় থেকে ফুটপাত ধরে হাঁটা শুরু করে একটু পর আর ফুটপাতের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। পুরো রাস্তাটাই ট্রাকের দখলে থাকে। এ সড়কেই ভূমি জরিপ অধিদফতর, অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগ লিমিটেড, টেলিগ্রাফ ভবন, বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড, অ্যাপেক্স লিমিটেড, খাদ্য গুদামসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তেজগাঁও রেলগেট থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশন হয়ে উত্তর দিকের সড়কটিরও বেহালদশা বহু বছর ধরে। সড়কজুড়েই বড় বড় গর্ত। ফার্মগেট হলিক্রস স্কুলের পেছন থেকে নাখালপাড়া হয়ে নাবিস্কো যাওয়ার সংযোগ সড়কটিও বহুদিন থেকে খানাখন্দে ভরা। নাখালপাড়া এলাকার সড়ক, গলি, উপগলির বেহালদশা বহু বছর ধরেই। নাখালপাড়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে ওয়ার্ড কমিশনার অফিসের পাশ দিয়ে নাখালপাড়া বাজার পর্যন্ত সড়ক, শাহীনবাগ এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক খানাখন্দে ভরা।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সড়কগুলোর বেহালদশার পাশাপাশি সবকটি সড়ক যেন আবর্জনার ভাগাড়। শিল্প এলাকার বর্জ্য ফেলে সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা করে রাখা হয়েছে। সাতরাস্তা থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সামনে দিয়ে মিল্কভিটা হয়ে নিকেতন সড়ক, হামীম গার্মেন্ট সড়কসহ অনেক সড়ক দেখা গেছে খানাখন্দে ভরা। বেহাল ও খানাখন্দে ভরা রাস্তা দেখা গেছে বেগুনবাড়ি এলাকাতেও। ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা সড়কের কারণে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তেজকুনিপাড়া এলাকায় বেশিরভাগই খোলা ড্রেন। বেশকিছু ম্যানহোল দেখা গেছে ঢাকনাবিহীন। এসব ড্রেনের পাশ দিয়ে প্রতিদিন বয়সীদের পাশাপাশি চলাফেরা করছে শিশুরা। অথচ শত অভিযোগের পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তেজকুনিপাড়ার বাসিন্দা সাদেকুর রহমান বলেন, বহু বছর ধরে তেজকুনিপাড়া এলাকার ড্রেনেজের বেহাল অবস্থা হলেও এসব সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেই। তেজকুনিপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর প্রায়ই পথচারীদের মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ছিনতাই হয়। সন্ধ্যার পর এসব গলির রাস্তায় হাঁটতেও ভয় করে। তেজকুনিপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সেলিম বলেন, অপরিকল্পিত বাড়ি তৈরির কারণে রাস্তাঘাট এতই সরু যে বিপদে অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না। কিছু কিছু বাড়িতে কেউ মারা গেলে খাটিয়ায় করে লাশ পর্যন্ত নামানো দুরূহ হয়ে পড়ে। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনো উপায় নেই।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন ভূঁইয়া এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, ভিআইপি এলাকা হওয়ার পরও এসব এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাস্তাগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে না। সীমিত আকারে তারা যে বরাদ্দ পাচ্ছেন তাই দিয়েই কাজ করছেন।

মুখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মুখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন
 
 
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ স্মারকলিপি জমা




লিংকন মাহমুদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ৈর ৮০৭ জন চাকুরীচ্যুত শিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের চাকুরী পুন:বহালের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন করেছে। গতকাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরের বোর্ড বাজারে চাকুরী রা কমিটির ব্যানারে চাকুরীচ্যুতরা এ মানবন্ধন করে।
মানবন্ধনে চাকুরী রা কমটির আহŸায়ক নুর“ল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাকুরী রা কমিটির সদস্য সচিব মিয়া হোসেন রানা, সালেহা বেগম লিপি, আবু হানিফ খন্দকার, মিয়াজ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, তারেক, জিয়া, এয়াকুব, ল্টিন, কায়েদে আজম, সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
মানব বন্ধনে চাকুরীচ্যুতরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীচ্যুত ৮০৭টি পরিবারে অভাবের আগুন জ্বলছে। আমাদের শিশু ও বৃদ্ধ মা বাবার মুখে দুমুঠো খাবার দিতে পারছি না। ুধার জ্বালা সইতে না পেরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে রা¯—ায় দাঁড়ানোর কথাও বলেন তারা।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের পে থাকলে আগামী ১৬ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের শুনানীতে আমরা জয়ী হবো।
চাকুরী রা কমিটির উদ্যোগে আজ সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসকাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট চাকুরী পুন:বহালের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আগামীকাল বিকেলে প্রেসকাবে গোলটেবিল বৈঠক হবে বলেও জানা গেছে।

ছোট হয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি

ছোট হয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি

লেখক: সাইদুর রহমান  ।  শনি, ৮ অক্টোবর ২০১১, ২৩ আশ্বিন ১৪১৮
       ৬৪০ একরের মধ্যে ৪শ’ একর জমিই হাতছাড়া
       গাছপালা কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন নতুন ভবন
      কমছে খোলা জায়গা, বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে ক্যাম্পাস


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। ভয়াবহ জমি সংকটে পড়েছে দেশের গৌরবোজ্জ্বল এই বিদ্যায়তনটি। ১৯২১ সালে ৬৪০ একর জমি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হলেও বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪শ’ একর জমি হাতছাড়া হয়েছে। অবশিষ্ট জায়গার কিছু অংশ লিজ দেয়ার পাশাপাশি বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঘিঞ্জি করে তোলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপরে অবহেলা, রাজনৈতিক হস্তপে ও সরকারি অধিগ্রহণের কারণে বেদখল হয়েছে এ জমি। বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ইত্তেফাককে তিনি বলেন, কতটুকু জমি বেদখল হয়েছে তার হিসাব চলছে। অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার করা হবে। জিসিদেবের বাড়ি ও গ্রীনরোড এলাকার কিছু জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সরকারের হস্তেেপ জমি সংকটের সমাধান হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ক্রমশ ছাত্র-শিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিার পরিধি বিস্তারের ফলে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। শিার্থীর সংখ্যা অনুপাতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে যে জমিটুকু দরকার তার জন্য কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, কখনো বা খোলা জায়গায় ভবন নির্মাণ করে ক্যাম্পাসের মূল নকশা তছনছ করে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পাশে অডিটরিয়াম নির্মাণের জন্য প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর আগে লাইব্রেরির সামনে ফারসি স্টাডিজ সেন্টারের ভবন নির্মাণের জন্য অনেক গাছ কাটা হয়। মধুর ক্যান্টিনের পাশে বেশ কিছু গাছ কেটে বহুতল বিশিষ্ট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভবন নিমার্ণ কাজ চলছে। জগন্নাথ হলের পাশেও গাছ কেটে বর্ধিত ভবন নিমার্ণের কাজ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে এখন যে পরিমাণ গাছ রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে এবং জমি সংকটের কারণে এ গাছগুলোও বিভিন্ন সময় কেটে ফেলা হচ্ছে। ফলে দিন দিন ক্যাম্পাস তার বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। হয়ে উঠছে ঘিঞ্জি। এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশাসন বাস্তবসম্মত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং প্রশাসন ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

কর্তৃপরে মতে, ১২টি বিভাগে ৮৭৭ জন ছাত্র এবং ৬০ জন শিক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৯১ বছরে পা রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক আছেন প্রায় ১৬শ’, ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ৩২ হাজার। তাছাড়া বিভাগ ৬৯টি, ইনস্টিটিউট ৯টি, ১৩টি অনুষদ, ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ  ৩৭টি এবং ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস থেকে জানানো হয়েছে, গত ৯০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৭ গুণ এবং শিকের সংখ্যা ২৫ গুণ বেড়েছে। কিন্তু কমে গেছে জমির পরিমাণ। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট জমির পরিমাণ ২৪০ একর। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে জায়গা রয়েছে তার মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল, আনবিক শক্তি কমিশন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজকে লিজ দেয়া হয়েছে।

যেভাবে বেদখল হয় জমি ঃ  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন মূল ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ রিকুইজিশন করে সামরিক হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। যুদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ভবনটিই হাতছাড়া হয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ ভাগের পর সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশস্ত প্রশাসনিক ভবন দখল করে সেখানে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা করে। ফজলুল হক হলের দেিণ খেলার মাঠও নিয়ে নেয়া হয় রেলওয়ে সমপ্রসারণের জন্য। ¯^াধীনতার পরও দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেহাত হয়েছে। গ্রীন রোড এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ বিঘা জমির ১২ বিঘাই বেদখল হয়ে গেছে। বর্তমান মিন্টো রোড এবং হেয়ার রোডের বাংলোগুলো ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে, যেগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকরা বসবাস করতেন।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই জমি সংকট প্রকট হতে থাকে। বিশেষ করে একটি প্রাদেশিক রাজধানীর জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অফিস-আদালত স্থাপনের জন্য জায়গার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ জন্য সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয় স্থাপনের জন্য নেয়া হয় ইডেন কলেজের ভবনগুলো, হাইকোর্টের জন্য গভর্নর হাউজ এবং প্রাদেশিক আইন সভার জন্য জগন্নাথ হলের কেন্দ্রীয় ভবন। জগন্নাথ হাউস সরকার জবরদখল করে নেয়ায় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন স্থানান্তরিত হয় জগন্নাথ হলের দণি ভবনে (বর্তমান দণি বাড়ি)। তখনই (১৯৪৭ সালে) ঢাকায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভবন (তত্কালীন কলা ভবন, বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল) পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে যায়। বর্তমান বুয়েট, আলিয়া মাদ্রাসা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রূপসী বাংলা হোটেল, শিশুপার্কের কিছু অংশ, বদরুন্নেসা কলেজের জন্যও আরও কিছু জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাড়তে হয়। এছাড়া শিা ভবনের পূর্বদিকের জমিটিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল,যা সরকার দখল করে নেয়।

প্রতিষ্ঠার পর জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি  ঃ কর্তৃপরে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। তবে ১৯২৭ সালে গঠিত সেডলার কমিশন ২৫৭ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার সুপারিশ করে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন উপাচার্য ডঃ এ এফ রহমান এবং সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর ইন্ডিয়া ইন কাউন্সিল এম এম স্টুয়ার্টের মধ্যে একটি দলিল ¯^ারিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৮০ বর্গফুট ফোর স্পেস সংবলিত ভবনাদিসহ ২৫৭ একর ৭০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়। ওই দলিল ¯^ারের ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেহাত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। প্রায় ৬শ’ ৪০ একর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কমে আসে ২৫৭ একরে। তবে ১৯৪৭ সালের পর অনুষ্ঠিত প্রতিটি সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দাবি করা হত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ক্রমাগত দাবি ও চাপের মুখে ১৯৫০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য গঠিত হয় বিচারপতি ফজলে আকবর কমিশন।

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ২৫৭ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপ্রতুল। কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো ৬৩ একর জমি দেয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু তা দেয়া হয়নি বরং পাকিস্তান আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নেয়। ১৯৬১ সালে সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজধানীর বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তখন টঙ্গির ফৈজাবাদ, পুরাকর ও দণিখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ১ হাজার একর জমি একুইজিশন করা হয়। এ জমির মূল্য তখন ধার্য করা হয়েছিল ৩২ লাখ টাকা, যার মধ্যে ২০ লাখ টাকাই পরিশোধ করা হয়েছিল।

জিসি দেবের জমিতে হাক্কানী খানকায়ে শরীফ ঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মকর্তা ফাতেমা বিনতে মুস্তফা বলেন, ধানমন্ডির জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ হাসপাতালের পার্শ্বে সাড়ে ৭ কাঠা জমি বিশিষ্ট দার্শনিক জিসি দেব মৃত্যুর আগে ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করেন। তবে পরবর্তীকালে জিসি দেবের পালিত এক কন্যা এই জমি হাক্কানী খানকায়ে শরীফের কাছে ভাড়া দেন। ১৯৭৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প থেকে জমি ফেরত চেয়ে হাক্কানী খানকায়ে শরীফকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু তারা জমি ফেরত দেয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানটি জিসি দেবের পুরো জমি দখলে নেয়। পরে জমি ফেরত চেয়ে ১৯৮০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের দ্বারস্থ হয়। আজও সে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তবে হাক্কানী খানকাহ শরীফের সংশ্লিষ্ট একজন জানান, জমিটি জিসিদেবের কন্যার কাছ থেকে ক্রয় করা হয়।

জমি ফিরিয়ে নিতে কয়েক দফা উদ্যোগ ঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস সূত্র জানায়, ১৯৩৬ সাল থেকে হুকুম দখল করা জমি ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ সরকারের কাছে দেন দরবার শুরু করে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে যথারিতি এ কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। এরশাদ সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক সরকারের আমলের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ ১৯৯২ সালের জুলাই মাসে হুকুম দখল করা জমি সরকারের কাছে ফেরত দাবি করেন। তবে এর আগে ১৯৯০ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা জমি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেন। তিনি ইত্তেফাককে জানান, উপাচার্য হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ফিরিয়ে আনার জন্য ১৯৯০ সালের ২০ আগস্ট তত্কালীন রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। ঐ আবেদনে তিনি কাঁটাবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে নির্মিত দোকান-পাটসহ জমি, নিমতলীতে অবস্থিত পুুুুুুরানো জাদুঘর ও ভবনাদি, বুয়েটের কিছু এলাকা, ফজলুল হক হলের পূর্ব পাশে অবস্থিত রেলওয়ে অধিকৃত জমি ও টঙ্গিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের জন্য যে জমি অধিগ্রহণের কথা ছিল-তা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দেয়ার দাবি জানান। এ আবেদনের পরিপ্রেেিত কাঁটাবনের জমি ও দোকান-পাট সংক্রান্ত কাগজ-পত্র বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়। নিমতলী যাদুঘর এলাকা ও ভবন প্রাপ্তির চেষ্টাও ফলপ্রসূ হয়। এ বিষয়ে ১৯৯০ সালের অক্টোবর বা নভে¤^র মাসে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তক্রমে জাদুঘর ভবনসহ ঐ এলাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখলে নেয় ডিসে¤^রের প্রথম দিকে।

পরের উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদও বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল হওয়া জমি ফেরত পাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি এক পত্রে সরকারের দখলে রাখা জমি এবং বিচারপতি ফজলে আকবর কমিশনের সুপারিশকৃত ৬৩ একর জমিসহ মোট ২১০ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়ার দাবি জানান। তিনি নীলেেত অবস্থিত বর্তমান নিউমার্কেট থানার ২ একর ৬৮ শতাংশের খাস জমি, কার্জন হলের পূর্বদিকে ওসমানী উদ্যান ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন বাদে রেলওয়ের ২৪ একর ৩৯ শতাংশ জমি, আনন্দবাজারের ৭ একর ২৩ শতাংশ জমি এবং কর্মজীবী হাসপাতালের পূর্বদিকের ৩ একর ১৯ শতাংশ জমি ফেরত চান। বাকি জমি তিনি ১৯৬১ সালে টঙ্গিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের যে জায়গা নির্ধারিত হয়েছিল সেখানে দাবি করেন। একইভাবে পূর্বের উপাচার্যদের মতো অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীও ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে মোট দুইবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া  জমি দাবি করে সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি বেদখল হওয়া জমি চিহ্নিত করে তা উদ্ধারের জন্য তত্পর হন। এছাড়াও পরবর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ জমি ফেরত চেয়ে সরকারকে পত্র দেন। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকও জমি উদ্ধারের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি এ বিষয়ে দ্রুত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার ¯^প্ন ভেস্তে গেল ঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের পরিবেশে ঘিঞ্জি হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেকটা নীতিগতভাবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য সম্মত হয়। তত্কালীন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আফম ইউসুফ হায়দারকে প্রধান করে একটি মাস্টারপ্লান কমিটিও করা হয়। এ জন্য রাজধানীর পূর্বাচলকে বেছে নেয়া হয়। কিন্তু জায়গা সংকটের কারণে পূর্বাচলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের ¯^প্ন ভেস্তে যায়। তবে শান্ত্বনা¯^রূপ এখনো দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বিকল্প হিসেবে আশুলিয়া ও সোনারগাঁ এলাকাকে ভাবা হচ্ছে। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ২০ হাজার শিার্থীর আবাসন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।



বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার ইত্তেফাককে বলেন, বিগত সময়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় বর্তমান প্রশাসনের অনীহার চিত্র ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ সময়ের দাবি। বিগত সময়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিন্তু সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তিনি বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ¯^ জমি উদ্ধার করা হবে।

ছোট হয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি


‡QvU n‡q Avm‡Q XvKv wek¦we`¨vj‡qi cwiwa

‡jLK: mvB`yi ingvb  |  kwb, 8 A‡±vei 2011, 23 Avwk¦b 1418
       640 GK‡ii g‡a¨ 4kÕ GKi RwgB nvZQvov
       MvQcvjv ‡K‡U wbg©vY Kiv n‡”Q bZyb bZyb feb
      Kg‡Q ‡Lvjv RvqMv, ‰ewkó¨ nviv‡”Q K¨v¤úvm

XvKv wek¦we`¨vj‡qi cwiwa µgk ‡QvU n‡q Avm‡Q| fqven Rwg msK‡U c‡o‡Q ‡`‡ki ‡MŠi‡ev¾¡j GB we`¨vqZbwU| 1921 mv‡j 640 GKi Rwg wb‡q wek¦we`¨vjqwUi hvÎv ïiæ n‡jI wewfbœ mg‡q c«vq 4kÕ GKi Rwg nvZQvov n‡q‡Q| Aewkó RvqMvi wKQy Ask wjR ‡`qvi cvkvcvwk eo eo AÆvwjKv wbg©vY K‡i K¨v¤úv‡mi cwi‡ek wNwÄ K‡i ‡Zvjv n‡q‡Q| Awf‡hvM i‡q‡Q, KZ©…c‡¶i Ae‡njv, ivR‰bwZK n¯Í‡¶c I miKvwi AwaM«n‡Yi Kvi‡Y ‡e`Lj n‡q‡Q G Rwg| ‡e`Lj nIqv Rwg D×v‡ii e¨vcv‡i miKv‡ii mn‡hvwMZv Kvgbv K‡i‡Qb wek¦we`¨vj‡qi DcvPvh© Aa¨vcK W. Av Av g m Av‡iwdb wmwÏK| B‡ËdvK‡K wZwb e‡jb, KZUyKy Rwg ‡e`Lj n‡q‡Q Zvi wnmve Pj‡Q| Aek¨B wek¦we`¨vj‡qi Rwg D×vi Kiv n‡e| wRwm‡`‡ei evwo I M«xb‡ivW GjvKvi wKQy Rwg D×v‡ii ‡Póv Pj‡Q| G Rb¨ miKv‡ii mswkøó‡`i m‡½ Av‡jvPbv Kiv n‡e| miKv‡ii n¯Í‡¶‡c Rwg msK‡Ui mgvavb n‡Z cv‡i e‡j wZwb Avkvev` e¨³ K‡ib|
AbymÜv‡b ‡`Lv ‡M‡Q, µgk QvÎ-wk¶K, Kg©KZ©v I Kg©Pvixi msL¨v e…w× Ges wk¶vi cwiwa we¯Ív‡ii d‡j eZ©gv‡b wek¦we`¨vj‡qi Rwg msKU Zxe« n‡q D‡V‡Q| wk¶v_©xi msL¨v Abycv‡Z AeKvVv‡gv Dbœqb Ges AvaywbK c«hyw³i m‡½ Zvj ‡gjv‡Z ‡h RwgUyKy `iKvi Zvi Rb¨ KL‡bv wek¦we`¨vj‡qi ‡Ljvi gvV, KL‡bv ev ‡Lvjv RvqMvq feb wbg©vY K‡i K¨v¤úv‡mi g~j bKkv ZQbQ K‡i ‡djv n‡q‡Q| wek¦we`¨vj‡qi AvaywbK fvlv Bbw÷wUD‡Ui cv‡k AwWUwiqvg wbg©v‡Yi Rb¨ c«vq Aa©kZ MvQ ‡K‡U ‡djv n‡q‡Q| Gi Av‡M jvB‡e«wii mvg‡b dviwm ÷vwWR ‡m›Uv‡ii feb wbg©v‡Yi Rb¨ A‡bK MvQ KvUv nq| gayi K¨vw›U‡bi cv‡k ‡ek wKQy MvQ ‡K‡U eûZj wewkó mvgvwRK weÁvb Abyl‡`i feb wbgvY© KvR Pj‡Q| RMbœv_ n‡ji cv‡kI MvQ ‡K‡U ewa©Z feb wbgv‡Y©i KvR Kiv n‡q‡Q| K¨v¤úv‡m GLb ‡h cwigvY MvQ i‡q‡Q, Zv c«‡qvR‡bi Zyjbvq LyeB Kg| wKš‘ c«‡qvR‡bi ZvwM‡` feb wbg©vY Ki‡Z wM‡q Ges Rwg msK‡Ui Kvi‡Y G MvQ¸‡jvI wewfbœ mgq ‡K‡U ‡djv n‡”Q| d‡j w`b w`b K¨v¤úvm Zvi ‰ewkó¨ nviv‡”Q| n‡q DV‡Q wNwÄ| GL‡bv ch©šÍ wek¦we`¨vj‡qi ‡mŠ›`h¨© e…w×i e¨vcv‡i c«kvmb ev¯Íem¤§Z ‡Kvb D‡`¨vM M«nY K‡iwb| eis c«kvmb K¨v¤úvm ‡_‡K A‡bKUv gyL wdwi‡q wb‡q‡Q|

KZ©…c‡¶i g‡Z, 12wU wefv‡M 877 Rb QvÎ Ges 60 Rb wk¶K wb‡q wek¦we`¨vjqwUi hvÎv ïiæ n‡qwQj| 91 eQ‡i cv ivLv wek¦we`¨vj‡q eZ©gv‡b wk¶K Av‡Qb c«vq 16kÕ, QvÎ-QvÎx c«vq 32 nvRvi| ZvQvov wefvM 69wU, Bbw÷wUDU 9wU, 13wU Abyl`, e¨y‡iv I M‡elYv ‡K›`  37wU Ges 17wU AvevwmK nj i‡q‡Q| wek¦we`¨vj‡qi G‡÷U Awdm ‡_‡K Rvbv‡bv n‡q‡Q, MZ 90 eQ‡i wek¦we`¨vj‡qi wk¶v_©xi msL¨v c«vq 37 ¸Y Ges wk¶‡Ki msL¨v 25 ¸Y ‡e‡o‡Q| wKš‘ K‡g ‡M‡Q Rwgi cwigvY| eZ©gvb wek¦we`¨vjqwUi ‡gvU Rwgi cwigvY 240 GKi| wek¦we`¨vj‡qi ‡h RvqMv i‡q‡Q Zvi g‡a¨ we«wUk KvDwÝj, AvbweK kw³ Kwgkb I wewfbœ ¯‹yj-K‡jR‡K wjR ‡`qv n‡q‡Q|

‡hfv‡e ‡e`Lj nq Rwg t  wek¦we`¨vj‡qi wewfbœ bw_cÎ ‡_‡K Rvbv ‡M‡Q, wØZxq wek¦hy‡×i mgq wek¦we`¨vj‡qi ZZ&Kvjxb g~j fe‡bi `yB-Z…Zxqvsk wiKyBwRkb K‡i mvgwiK nvmcvZvj ¯’vcb Kiv nq| hy‡×i ci wek¦we`¨vj‡qi cy‡iv febwUB nvZQvov n‡q hvq| eZ©gv‡b ‡mLv‡b XvKv ‡gwWK¨vj K‡jR I nvmcvZvj c«wZwôZ n‡q‡Q| ‡`k fv‡Mi ci miKvi wek¦we`¨vj‡qi c«k¯Í c«kvmwbK feb `Lj K‡i ‡mLv‡b nvB‡KvU© c«wZôv K‡i| dRjyj nK n‡ji `w¶‡Y ‡Ljvi gvVI wb‡q ‡bqv nq ‡ijI‡q mgc«mvi‡Yi Rb¨| ¯^vaxbZvi ciI `dvq `dvq wek¦we`¨vj‡qi Rwg ‡envZ n‡q‡Q| M«xb ‡ivW GjvKvq wek¦we`¨vj‡qi 18 weNv Rwgi 12 weNvB ‡e`Lj n‡q ‡M‡Q| eZ©gvb wg‡›Uv ‡ivW Ges ‡nqvi ‡iv‡Wi evs‡jv¸‡jv wQj wek¦we`¨vj‡qi Aax‡b, ‡h¸‡jv‡Z wek¦we`¨vj‡qi wk¶Kiv emevm Ki‡Zb|

1947 mv‡j ‡`k wefv‡Mi ci ‡_‡KB Rwg msKU c«KU n‡Z _v‡K| we‡kl K‡i GKwU c«v‡`wkK ivRavbxi Rb¨ c«‡qvRbxq miKvwi Awdm-Av`vjZ ¯’vc‡bi Rb¨ RvqMvi c«‡qvRb n‡q c‡o| G Rb¨ ‡m‡µUvwi‡qU ev mwPevjq ¯’vc‡bi Rb¨ ‡bqv nq B‡Wb K‡j‡Ri feb¸‡jv, nvB‡Kv‡U©i Rb¨ Mfb©i nvDR Ges c«v‡`wkK AvBb mfvi Rb¨ RMbœv_ n‡ji ‡K›`«xq feb| RMbœv_ nvDm miKvi Rei`Lj K‡i ‡bqvq ZLb wek¦we`¨vj‡qi c«kvmwbK feb ¯’vbvšÍwiZ nq RMbœv_ n‡ji `w¶Y fe‡b (eZ©gvb `w¶Y evwo)| ZLbB (1947 mv‡j) XvKvq ‡gwWK¨vj K‡jR I nvmcvZvj ¯’vwcZ n‡j wek¦we`¨vj‡qi ‡K›`«xq feb (ZZ&Kvjxb Kjv feb, eZ©gvb XvKv ‡gwWK¨vj) cy‡ivcywi nvZQvov n‡q hvq| eZ©gvb ey‡qU, Avwjqv gv`«vmv, ‡mvnivIqv`©x D`¨vb, iƒcmx evsjv ‡nv‡Uj, wkïcv‡K©i wKQy Ask, e`iæ‡bœmv K‡j‡Ri Rb¨I AviI wKQy Rwg wek¦we`¨vjq‡K Qvo‡Z nq| GQvov wk¶v fe‡bi c~e©w`‡Ki RwgwUI XvKv wek¦we`¨vj‡qi wQj,hv miKvi `Lj K‡i ‡bq|

c«wZôvi ci Rwg ‡iwR‡÷«kb Kiv nqwb  t KZ©…c‡¶i m~‡Î Rvbv ‡M‡Q, c«wZôvKv‡j XvKv wek¦we`¨vj‡qi Rwg ‡iwRw÷« Kiv nqwb| Z‡e 1927 mv‡j MwVZ ‡mWjvi Kwgkb 257 GKi Rwg wek¦we`¨vjq‡K ‡iwRw÷« K‡i ‡`qvi mycvwik K‡i| Kwgk‡bi mycvwik Abyhvqx 1936 mv‡j XvKv wek¦we`¨vj‡qi ZZ&Kvjxb DcvPvh© Wt G Gd ingvb Ges ‡m‡µUvwi Ad ‡÷U di BwÛqv Bb KvDwÝj Gg Gg ÷yqv‡U©i g‡a¨ GKwU `wjj ¯^v¶wiZ nq| Pyw³ Abyhvqx ZLb XvKv wek¦we`¨vj‡qi 3 jvL 17 nvRvi 880 eM©dyU ‡d¬vi ‡¯úm msewjZ febvw`mn 257 GKi 70 kZvsk Rwg ‡iwRw÷« K‡i ‡`qv nq| IB `wjj ¯^v¶‡ii d‡jB wek¦we`¨vj‡qi Rwg ‡envZ nIqvi c_ c«k¯Í nq| c«vq 6kÕ 40 GKi ‡_‡K wek¦we`¨vj‡qi Rwg K‡g Av‡m 257 GK‡i| Z‡e 1947 mv‡ji ci AbywôZ c«wZwU mgveZ©‡b wek¦we`¨vj‡qi Rb¨ Rwg `vwe Kiv nZ| wek¦we`¨vjq c«kvm‡bi µgvMZ `vwe I Pv‡ci gy‡L 1950 mv‡j wek¦we`¨vj‡qi f~wg msµvšÍ RwUjZv wbim‡bi Rb¨ MwVZ nq wePvicwZ dR‡j AvKei Kwgkb|

Kwgk‡bi wi‡cv‡U© ejv nq, 257 GKi Rwg wek¦we`¨vj‡qi Rb¨ Ac«Zyj| Kwgkb wek¦we`¨vjq‡K Av‡iv 63 GKi Rwg ‡`qvi mycvwik K‡i| wKš‘ Zv ‡`qv nqwb eis cvwK¯Ívb Avg‡j wek¦we`¨vj‡qi AviI Rwg miKvi AwaM«nY K‡i ‡bq| 1961 mv‡j miKvi XvKv wek¦we`¨vjq‡K ivRavbxi evB‡i ¯’vbvšÍ‡ii cwiKíbv M«nY K‡i| ZLb Uw½i ‰dRvev`, cyivKi I `w¶YLv‡b wek¦we`¨vjq ¯’vc‡bi Rb¨ 1 nvRvi GKi Rwg GKyBwRkb Kiv nq| G Rwgi g~j¨ ZLb avh© Kiv n‡qwQj 32 jvL UvKv, hvi g‡a¨ 20 jvL UvKvB cwi‡kva Kiv n‡qwQj|

wRwm ‡`‡ei Rwg‡Z nv°vbx LvbKv‡q kixd t wek¦we`¨vj‡qi G‡÷U Awd‡mi Kg©KZ©v dv‡Zgv web‡Z gy¯Ídv e‡jb, avbgwÛi Rvcvb-evsjv‡`k ‡dÛwkc nvmcvZv‡ji cv‡k¦© mv‡o 7 KvVv Rwg wewkó `vk©wbK wRwm ‡`e g…Z¨yi Av‡M 1970 mv‡j XvKv wek¦we`¨vjq‡K `vb K‡ib| Z‡e cieZ©xKv‡j wRwm ‡`‡ei cvwjZ GK Kb¨v GB Rwg nv°vbx LvbKv‡q kix‡di Kv‡Q fvov ‡`b| 1977 mv‡j wek¦we`¨vj‡qi c¶ ‡_‡K Rwg ‡diZ ‡P‡q nv°vbx LvbKv‡q kixd‡K wPwV ‡`qv nq| wKš‘ Zviv Rwg ‡diZ ‡`qwb| eis c«wZôvbwU wRwm ‡`‡ei cy‡iv Rwg `L‡j ‡bq| c‡i Rwg ‡diZ ‡P‡q 1980 mv‡j wek¦we`¨vjq Av`vj‡Zi Øvi¯’ nq| AvRI ‡m gvgjvi wb®úwË nqwb| Z‡e nv°vbx LvbKvn kix‡di mswkøó GKRb Rvbvb, RwgwU wRwm‡`‡ei Kb¨vi KvQ ‡_‡K µq Kiv nq|

Rwg wdwi‡q wb‡Z K‡qK `dv D‡`¨vM t wek¦we`¨vj‡qi G‡÷U Awdm m~Î Rvbvq, 1936 mvj ‡_‡K ûKyg `Lj Kiv Rwg ‡diZ cvIqvi e¨vcv‡i wek¦we`¨vjq KZ©…c¶ miKv‡ii Kv‡Q ‡`b `ievi ïiæ K‡i| we«wUk I cvwK¯Ívb Avg‡j h_vwiwZ G Kvh©µg Ae¨vnZ wQj| Gikv` miKv‡ii cZ‡bi ci MYZvwš¿K miKv‡ii Avg‡ji c«_g DcvPvh© Aa¨vcK GgvRDwÏb Avng` 1992 mv‡ji RyjvB gv‡m ûKyg `Lj Kiv Rwg miKv‡ii Kv‡Q ‡diZ `vwe K‡ib| Z‡e Gi Av‡M 1990 mv‡ji gvP© gv‡m wek¦we`¨vj‡qi ZZ&Kvjxb DcvPvh© Aa¨vcK gwbiæ¾vgvb wgTv Rwg cybiæ×v‡ii D‡`¨vM ‡bb| wZwb B‡ËdvK‡K Rvbvb, DcvPvh© wn‡m‡e wZwb wek¦we`¨vj‡qi Rwg wdwi‡q Avbvi Rb¨ 1990 mv‡ji 20 AvM÷ ZZ&Kvjxb ivó«cwZi Kv‡Q Av‡e`b K‡ib| H Av‡e`‡b wZwb KvuUve‡b wek¦we`¨vj‡qi Rwg‡Z wbwg©Z ‡`vKvb-cvUmn Rwg, wbgZjx‡Z Aew¯’Z cyyyyyyiv‡bv Rv`yNi I febvw`, ey‡q‡Ui wKQy GjvKv, dRjyj nK n‡ji c~e© cv‡k Aew¯’Z ‡ijI‡q AwaK…Z Rwg I Uw½‡Z wek¦we`¨vjq ¯’vbvšÍ‡ii Rb¨ ‡h Rwg AwaM«n‡Yi K_v wQj-Zv wek¦we`¨vjq‡K ‡diZ ‡`qvi `vwe Rvbvb| G Av‡e`‡bi cwi‡c«w¶‡Z KvuUve‡bi Rwg I ‡`vKvb-cvU msµvšÍ KvMR-cÎ wek¦we`¨vjq‡K n¯ÍvšÍi Kiv nq| wbgZjx hv`yNi GjvKv I feb c«vwßi ‡PóvI djc«m~ nq| G wel‡q 1990 mv‡ji A‡±vei ev b‡f¤^i gv‡m ivó«cwZi mfvcwZ‡Z¡ AbywôZ mfvi wm×všÍµ‡g Rv`yNi febmn H GjvKv wek¦we`¨vjq `L‡j ‡bq wW‡m¤^‡ii c«_g w`‡K|

c‡ii DcvPvh© Aa¨vcK GgvRDwÏb Avn‡g`I wek¦we`¨vj‡qi `Lj nIqv Rwg ‡diZ cvIqvi D‡`¨vM M«nY K‡ib| wZwb GK c‡Î miKv‡ii `L‡j ivLv Rwg Ges wePvicwZ dR‡j AvKei Kwgk‡bi mycvwikK…Z 63 GKi Rwgmn ‡gvU 210 GKi Rwg wek¦we`¨vjq‡K ‡`qvi `vwe Rvbvb| wZwb bxj‡¶‡Z Aew¯’Z eZ©gvb wbDgv‡K©U _vbvi 2 GKi 68 kZvs‡ki Lvm Rwg, KvR©b n‡ji c~e©w`‡K Imgvbx D`¨vb I Imgvbx ¯§…wZ wgjbvqZb ev‡` ‡ijI‡qi 24 GKi 39 kZvsk Rwg, Avb›`evRv‡ii 7 GKi 23 kZvsk Rwg Ges Kg©Rxex nvmcvZv‡ji c~e©w`‡Ki 3 GKi 19 kZvsk Rwg ‡diZ Pvb| evwK Rwg wZwb 1961 mv‡j Uw½‡Z wek¦we`¨vjq ¯’vbvšÍ‡ii ‡h RvqMv wba©vwiZ n‡qwQj ‡mLv‡b `vwe K‡ib| GKBfv‡e c~‡e©i DcvPvh©‡`i g‡Zv Aa¨vcK W. G ‡K AvRv` ‡PŠayixI 1997 I 1999 mv‡j ‡gvU `yBevi wek¦we`¨vj‡qi ‡e`Lj nIqv  Rwg `vwe K‡i miKvi‡K wPwV w`‡qwQ‡jb| wZwb ‡e`Lj nIqv Rwg wPwýZ K‡i Zv D×v‡ii Rb¨ ZZ&ci nb| GQvovI cieZ©x DcvPvh© Aa¨vcK W. Gm Gg G dv‡qR Rwg ‡diZ ‡P‡q miKvi‡K cÎ ‡`b| eZ©gvb DcvPvh© Aa¨vcK Av Av g m Av‡iwdb wmwÏKI Rwg D×v‡ii e¨vcv‡i `…p c«wZÁ| wZwb G wel‡q `ªæZ miKv‡ii m‡½ Av‡jvPbv Ki‡eb e‡j Rvbv ‡M‡Q|

wØZxq K¨v¤úvm c«wZôvi ¯^cœ ‡f‡¯Í ‡Mj t wek¦we`¨vj‡qi eZ©gvb K¨v¤úv‡mi cwi‡e‡k wNwÄ n‡q hvIqvq wewfbœ gnj ‡_‡K wØZxq K¨v¤úvm c«wZôvi `vwe ‡Zvjv nq| weMZ ZË&eveavqK miKvi A‡bKUv bxwZMZfv‡e wØZxq K¨v¤úv‡mi Rb¨ m¤§Z nq| ZZ&Kvjxb ‡c«v-DcvPvh© Aa¨vcK W. Avdg BDmyd nvq`vi‡K c«avb K‡i GKwU gv÷vicøvb KwgwUI Kiv nq| G Rb¨ ivRavbxi c~e©vPj‡K ‡e‡Q ‡bqv nq| wKš‘ RvqMv msK‡Ui Kvi‡Y c~e©vP‡ji wØZxq K¨v¤úvm wbg©v‡Yi ¯^cœ ‡f‡¯Í hvq| Z‡e kvšÍ¡bv¯^iƒc GL‡bv wØZxq K¨v¤úv‡mi weKí wn‡m‡e Avïwjqv I ‡mvbviMvu GjvKv‡K fvev n‡”Q| c~e©vP‡j c«¯ÍvweZ wØZxq K¨v¤úv‡m 20 nvRvi wk¶v_©xi Avevmb M‡o ‡Zvjvi wm×všÍ ‡bqv n‡qwQj|

wek¦we`¨vj‡qi mv‡eK ‡c«v-DcvPvh© Aa¨vcK W. Av d g BDmyd nvq`vi B‡ËdvK‡K e‡jb, weMZ mg‡q wØZxq K¨v¤úvm c«wZôvi mKj c«¯ÍywZ m¤úbœ Kiv n‡qwQj| G wel‡q miKv‡ii m‡½ GKvwaKevi ‰eVKI Kiv nq| wKš‘ wØZxq K¨v¤úvm c«wZôvq eZ©gvb c«kvm‡bi Abxnvi wPÎ aiv c‡o|

G wel‡q wek¦we`¨vj‡qi DcvPvh© Aa¨vcK W. Av Av g m Av‡iwdb wmwÏK e‡jb, wØZxq K¨v¤úvm wbg©vY mg‡qi `vwe| weMZ mg‡q G wel‡q D‡`¨vM ‡bqv n‡qwQj wKš‘ mywbw`©ó wm×všÍ nqwb| Z‡e wZwb e‡jb, wØZxq K¨v¤úv‡mi Av‡M wek¦we`¨vj‡qi wbR¯^ Rwg D×vi Kiv n‡e|