সুরের টানে ঘর ছেড়েছেন বাহেজ উদ্দিন
হাসিব বিন শহিদ
বাঁশিওয়ালা বাহেজ উদ্দিন কাঁধে ঝোলা হাতে বাঁশি। মুখে কথা বলে না-কথা যা বলে সুরে সুরে। বাঁশি বাজিয়ে নিজেও আনন্দ পায় অপরকেও আনন্দ দেয়। বয়স তার ৬১ বছর। বয়সের তুলনায় শরীর ¯^াস্থ্য অনেক ভাল। ছোটবেলা থেকেই বাঁশি বাজানো ছিল তার শখ। ৮/৯ বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত বাঁশী বাজানো শুরু করে। শখের বশীভূত হয়ে বাল্যকালেই ওস্তাদবিহীন বাঁশি বাজানো শিখেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ওস্তাদ আব্দুল বারেক-এর কাছে গিয়ে তাল-লয় ঠিক করে নেয়। নাগরপুর উপজেলা শহরের সদরে তার বাড়ি। ১৯৬৬ সালে এস,এস,সি পাশ করে ভর্তি হয়েছিল পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে। ¯^াধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগনাল-২ কোর থেকে অবসর নেন তিনি। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে সুরের টানে, জীবন আর জীবিকার তাগিদে পেশা হিসেবে বেছে নেয় তার অতি প্রিয় বাঁশের বাঁশি বাজানো আর সে বাঁশি বিক্রি করা। গত ৩০ বছর ধরে সে এ কাজ করে আসছে। এ কারণে এলাকায় তাকে এক নামে বাঁশিওয়ালা বাহেজ বলে চিনে। সেনাবাহিনীর অবসর ভাতা দুই হাজার টাকা আর বাঁশি বিক্রির টাকা দিয়ে তার সংসার চালে। তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ডিজিটাল যুগ আসায় এখন আর কেউ আগের মতো বাঁশি কিনে না। বাংলাদেশের সব ক’টি জেলাতেই ঘুরে ঘুরে বাঁশি বিক্রি করেছি। বর্তমানে গ্রামের মানুষ তেমন বাঁশি কিনে না, শহরের মানুষ শখের বশীভূত হয়ে ২/১ টি বাঁশি কিনে। একটি বাঁশি ২০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। সেনাবাহিনীর অবসর ভাতা দুই হাজার টাকা আর বাঁশি বিক্রির টাকা দিয়ে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ৫ জনের সংসার চালানো বর্তমানে কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কথা বলতে বলতে মিষ্টি কন্ঠে তার ¯^রচিত একটি গান গেয়ে শুনালেন, ওগো দরদি সাই তোমার কাছে যখন যা চাই সবই পাই। তার পরেও বাকী জীবন টুকু সুরের মধ্যেই কাটাতে চাই। কারণ যার মধ্যে সুর আছে সে কখনও অসুর-এর মতো কাজ করতে পারেনা। সুর শান্তির প্রতীক আর শান্তি ও সুন্দরের মাঝেই আল্লাহ্। সুরের টানে ঘর ছেড়েছি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস যেন বাঁশের বাঁশিতে শেষ হয়।
হাসিব বিন শহিদ
বাঁশিওয়ালা বাহেজ উদ্দিন কাঁধে ঝোলা হাতে বাঁশি। মুখে কথা বলে না-কথা যা বলে সুরে সুরে। বাঁশি বাজিয়ে নিজেও আনন্দ পায় অপরকেও আনন্দ দেয়। বয়স তার ৬১ বছর। বয়সের তুলনায় শরীর ¯^াস্থ্য অনেক ভাল। ছোটবেলা থেকেই বাঁশি বাজানো ছিল তার শখ। ৮/৯ বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত বাঁশী বাজানো শুরু করে। শখের বশীভূত হয়ে বাল্যকালেই ওস্তাদবিহীন বাঁশি বাজানো শিখেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ওস্তাদ আব্দুল বারেক-এর কাছে গিয়ে তাল-লয় ঠিক করে নেয়। নাগরপুর উপজেলা শহরের সদরে তার বাড়ি। ১৯৬৬ সালে এস,এস,সি পাশ করে ভর্তি হয়েছিল পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে। ¯^াধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগনাল-২ কোর থেকে অবসর নেন তিনি। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে সুরের টানে, জীবন আর জীবিকার তাগিদে পেশা হিসেবে বেছে নেয় তার অতি প্রিয় বাঁশের বাঁশি বাজানো আর সে বাঁশি বিক্রি করা। গত ৩০ বছর ধরে সে এ কাজ করে আসছে। এ কারণে এলাকায় তাকে এক নামে বাঁশিওয়ালা বাহেজ বলে চিনে। সেনাবাহিনীর অবসর ভাতা দুই হাজার টাকা আর বাঁশি বিক্রির টাকা দিয়ে তার সংসার চালে। তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ডিজিটাল যুগ আসায় এখন আর কেউ আগের মতো বাঁশি কিনে না। বাংলাদেশের সব ক’টি জেলাতেই ঘুরে ঘুরে বাঁশি বিক্রি করেছি। বর্তমানে গ্রামের মানুষ তেমন বাঁশি কিনে না, শহরের মানুষ শখের বশীভূত হয়ে ২/১ টি বাঁশি কিনে। একটি বাঁশি ২০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। সেনাবাহিনীর অবসর ভাতা দুই হাজার টাকা আর বাঁশি বিক্রির টাকা দিয়ে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ৫ জনের সংসার চালানো বর্তমানে কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কথা বলতে বলতে মিষ্টি কন্ঠে তার ¯^রচিত একটি গান গেয়ে শুনালেন, ওগো দরদি সাই তোমার কাছে যখন যা চাই সবই পাই। তার পরেও বাকী জীবন টুকু সুরের মধ্যেই কাটাতে চাই। কারণ যার মধ্যে সুর আছে সে কখনও অসুর-এর মতো কাজ করতে পারেনা। সুর শান্তির প্রতীক আর শান্তি ও সুন্দরের মাঝেই আল্লাহ্। সুরের টানে ঘর ছেড়েছি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস যেন বাঁশের বাঁশিতে শেষ হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন