মাধ্যমিক স্কুলের র অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক স্কুলের র্যাংকিং (মানক্রম) করল মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অধিদপ্তরের পরিকল্পনা
শাখা এ কাজ করছে। র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে স্কুলগুলো পুরস্কার ও তিরস্কার
পাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এত দিন পাবলিক পরীক্ষার ফলের
ভিত্তিতে শুধু বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার মান যাচাই ও মূল্যায়ন করা হতো।
র্যাংকিংয়ে 'এ' ক্যাটাগরিভুক্ত ঢাকার মাধ্যমিক স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে_মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, হলিক্রস স্কুল, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সামসুল হক খান উচ্চ বিদ্যালয়, বিএএফ শাহীন স্কুল, রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার বালিকা বিদ্যালয়, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ওয়াইডাবি্লউসিএ স্কুল, কাকলি উচ্চ বিদ্যালয় ধানমণ্ডি, মতিঝিল মডেল স্কুল (দিবা)। রাজধানীর 'বি' ক্যাটাগরিভুক্ত স্কুলগুলো হলো_ভিকারুননিসা নূন স্কুল, সেন্ট গ্রেগরীজ, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল। 'সি' ক্যাটাগরিতে আছে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও ধানমণ্ডি কামরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়।
র্যাংকিং করার জন্য দেশের সব (১৯ হাজার ৮৩) মাধ্যমিক স্কুলের প্রধানের কাছে তথ্য ফরম পাঠানো হয়েছিল গত মার্চ মাসে। গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ফরম পূরণ করে পাঠিয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৩টি স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানগুলোই র্যাংকিংয়ের আওতাভুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, এ র্যাংকিং পদ্ধতির জন্য সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি)। এর আওতায় প্রথম বছর শুধু মাধ্যমিক স্কুলকেই নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসাকে প্রথম বছর র্যাংকিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার এই প্রথম দেশের সব মাধ্যমিক স্কুলের মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ মূল্যায়ন থেকে স্কুলগুলোর সঠিক চিত্র যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনি সবলতা-দুর্বলতা বোঝা যাবে। তিনি বলেন, র্যাংকিংয়ের ফলে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পথও পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, র্যাংকিংয়ের জন্য মোট সাতটি প্রধান নিয়ামক বা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো_একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের শিক্ষাদান ও শিক্ষার্থীদের শেখানোর পরিবেশ, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রম, শিক্ষকের পেশাদারিত্ব, শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব, সহশিক্ষাক্রমের কার্যক্রম ও কমিউনিটি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবক-শিক্ষকের সম্পর্ক। এ ছাড়া আরো ৪৫টি বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'এ র্যাংকিংয়ের ফলে স্কুলগুলোর কার্যক্রম দেখা হবে। যদি কোনো স্কুলের চিত্র খারাপ দেখা যায়, তাহলে তাদেরকে বলা হবে, তোমরা খারাপ করছ। এ জন্য তোমাদের এমপিও সুবিধা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হবে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে স্কুলগুলোকে শোকজও করা হবে।'
শিক্ষাসচিব ড. কামাল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের র্যাংকিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। সবাই প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে স্বপ্রণোদিত হয়েই শিক্ষার পরিবেশ ও মান নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবে।
র্যাংকিংয়ে ৯০ থেকে ১০০ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'এ' (অতি উত্তম), ৮০ থেকে ৮৯.৯ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'বি' (ভালো), ৭০ থেকে ৭৯.৯ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'সি' (মধ্যম), ৫০ থেকে ৬৯.৯ নম্বরকে 'ডি' (দুর্বল) ক্যাটাগরি এবং ২০ থেকে ৪৯.৯ নম্বরকে 'ই' (অকার্যকর) ক্যাটাগরি ধরা হয়েছে। প্রথমবারের মূল্যায়নে দেশের ১৭ হাজার ৮৭৩টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে দুই হাজার ৪৫৫টি (১৪%) 'এ' ক্যাটাগরি, আট হাজার ৮৯৭টি (৫০%) 'বি' ক্যাটাগরি, চার হাজার ৭৪৯টি (২৭%) 'সি' ক্যাটাগরি, এক হাজার ৬১৯টি (৮%) 'ডি' ক্যাটাগরি এবং ১৫৩টি (১%) 'ই' ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কর্মশালা : মাধ্যমিক স্কুলের এই র্যাংকিং নিয়ে গতকাল রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমীতে (নায়েম) এসইএসডিপি আয়োজিত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ইকবাল খান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৯ অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, 'এ' ক্যাটাগরির কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রতিনিধিসহ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বলা হয়, এখন থেকে প্রতিবছর স্কুলগুলোর র্যাংকিং করা হবে এবং জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর ফল প্রকাশ করা হবে।
র্যাংকিংয়ে 'এ' ক্যাটাগরিভুক্ত ঢাকার মাধ্যমিক স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে_মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, হলিক্রস স্কুল, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সামসুল হক খান উচ্চ বিদ্যালয়, বিএএফ শাহীন স্কুল, রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার বালিকা বিদ্যালয়, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ওয়াইডাবি্লউসিএ স্কুল, কাকলি উচ্চ বিদ্যালয় ধানমণ্ডি, মতিঝিল মডেল স্কুল (দিবা)। রাজধানীর 'বি' ক্যাটাগরিভুক্ত স্কুলগুলো হলো_ভিকারুননিসা নূন স্কুল, সেন্ট গ্রেগরীজ, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল। 'সি' ক্যাটাগরিতে আছে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও ধানমণ্ডি কামরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়।
র্যাংকিং করার জন্য দেশের সব (১৯ হাজার ৮৩) মাধ্যমিক স্কুলের প্রধানের কাছে তথ্য ফরম পাঠানো হয়েছিল গত মার্চ মাসে। গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ফরম পূরণ করে পাঠিয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৩টি স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানগুলোই র্যাংকিংয়ের আওতাভুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, এ র্যাংকিং পদ্ধতির জন্য সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি)। এর আওতায় প্রথম বছর শুধু মাধ্যমিক স্কুলকেই নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসাকে প্রথম বছর র্যাংকিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার এই প্রথম দেশের সব মাধ্যমিক স্কুলের মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ মূল্যায়ন থেকে স্কুলগুলোর সঠিক চিত্র যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনি সবলতা-দুর্বলতা বোঝা যাবে। তিনি বলেন, র্যাংকিংয়ের ফলে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পথও পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, র্যাংকিংয়ের জন্য মোট সাতটি প্রধান নিয়ামক বা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো_একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের শিক্ষাদান ও শিক্ষার্থীদের শেখানোর পরিবেশ, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রম, শিক্ষকের পেশাদারিত্ব, শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব, সহশিক্ষাক্রমের কার্যক্রম ও কমিউনিটি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবক-শিক্ষকের সম্পর্ক। এ ছাড়া আরো ৪৫টি বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত নেওয়া ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'এ র্যাংকিংয়ের ফলে স্কুলগুলোর কার্যক্রম দেখা হবে। যদি কোনো স্কুলের চিত্র খারাপ দেখা যায়, তাহলে তাদেরকে বলা হবে, তোমরা খারাপ করছ। এ জন্য তোমাদের এমপিও সুবিধা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হবে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে স্কুলগুলোকে শোকজও করা হবে।'
শিক্ষাসচিব ড. কামাল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের র্যাংকিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। সবাই প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে স্বপ্রণোদিত হয়েই শিক্ষার পরিবেশ ও মান নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবে।
র্যাংকিংয়ে ৯০ থেকে ১০০ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'এ' (অতি উত্তম), ৮০ থেকে ৮৯.৯ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'বি' (ভালো), ৭০ থেকে ৭৯.৯ নম্বরকে ক্যাটাগরি 'সি' (মধ্যম), ৫০ থেকে ৬৯.৯ নম্বরকে 'ডি' (দুর্বল) ক্যাটাগরি এবং ২০ থেকে ৪৯.৯ নম্বরকে 'ই' (অকার্যকর) ক্যাটাগরি ধরা হয়েছে। প্রথমবারের মূল্যায়নে দেশের ১৭ হাজার ৮৭৩টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে দুই হাজার ৪৫৫টি (১৪%) 'এ' ক্যাটাগরি, আট হাজার ৮৯৭টি (৫০%) 'বি' ক্যাটাগরি, চার হাজার ৭৪৯টি (২৭%) 'সি' ক্যাটাগরি, এক হাজার ৬১৯টি (৮%) 'ডি' ক্যাটাগরি এবং ১৫৩টি (১%) 'ই' ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কর্মশালা : মাধ্যমিক স্কুলের এই র্যাংকিং নিয়ে গতকাল রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমীতে (নায়েম) এসইএসডিপি আয়োজিত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ইকবাল খান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৯ অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, 'এ' ক্যাটাগরির কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রতিনিধিসহ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বলা হয়, এখন থেকে প্রতিবছর স্কুলগুলোর র্যাংকিং করা হবে এবং জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর ফল প্রকাশ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন