মশা ছারপোকা লোডশেডিং : ঢাবির শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ
লিংকন মাহমুদ, ঢাবি প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকাল আসার পরপরই আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা ও ছারপোকার উপদ্রপ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। চলতি মৌসুমে চলছে ঘনঘন লোডশেডিং। ফলে চরম অতিষ্ঠ ১৭টি আবাসিক হলের ২০ হাজার শিক্ষার্থী। চরম এ দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের পড়ালেখা। এ দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ অবগত। তবু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ১৭টি হলের অবস্থা একই। হলগুলোর আশপাশের পরিবেশ নোংরা। ময়লা আবর্জনার স্তূপ চারপাশে, ড্রেনেও পানি জমে রয়েছে। গ্রীষ্মকাল এলেই এসব নোংরা পরিবেশে মশা-মাছির জন্মহার বেড়ে যায়। একইভাবে আবাসিক কক্ষগুলোও অপরিষ্কার থাকায় ছারপোকাও বেড়ে গেছে। এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলেও প্রশাসনের তদারকি না থাকায় তারা কাজ করছে না। কোনো হলেই গত এক বছরে মশা ও ছারপোকা মারার কোনো ওষুধ ছিটানো হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হলসহ কয়েকটি হলের প্রশাসন ঢাকা সিটি করপোরেশনে ওষুধ ছিটানোর আবেদন করলেও তারা যথাসময় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটালেও তাতে কাজ হচ্ছে না। আবার হল কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিলেও ভালো ওষুধ ব্যবহার না করায় মরছে না মশা ও ছারপোকা। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট বায়তুল্লাহ কাদেরী বলেন, ‘মশা ও ছারপোকা মারার জন্য শিগগিরই হলের নিজস্ব অর্থায়নে ওষুধ ছিটানো হবে। তবে বিদ্যুতের ব্যাপারে হল প্রশাসনের কিছু করার নেই।’
প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। শীতকালে লোডশেডিং না থাকলে গত ২০০৭-০৮ সালের তত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে গ্রীষ্মকালে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১টা থেকে ২ পর্যন্ত ১ ঘণ্টার লোডশেডিং চলে আসছে। বর্তমান সরকারের সময় গত বছর নিয়মিত এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও এ বছর তা বেড়ে যায়। এ বছর গ্রীষ্মকালে নির্ধারিত এক ঘণ্টা ছাড়াও সন্ধ্যা ও রাতে একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। কয়েকদিন আগে কলা ভবন একটানা তিনদিন বিদ্যুিবহীন ছিল বলে শিক্ষক-ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমীর হোসেন বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নির্ধারিত লোডশেডিং দেয়। এর বাইরে যে লোডশেডিং হচ্ছে তা আমাদের জানানো হয়নি।
লিংকন মাহমুদ, ঢাবি প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকাল আসার পরপরই আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা ও ছারপোকার উপদ্রপ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। চলতি মৌসুমে চলছে ঘনঘন লোডশেডিং। ফলে চরম অতিষ্ঠ ১৭টি আবাসিক হলের ২০ হাজার শিক্ষার্থী। চরম এ দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের পড়ালেখা। এ দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ অবগত। তবু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ১৭টি হলের অবস্থা একই। হলগুলোর আশপাশের পরিবেশ নোংরা। ময়লা আবর্জনার স্তূপ চারপাশে, ড্রেনেও পানি জমে রয়েছে। গ্রীষ্মকাল এলেই এসব নোংরা পরিবেশে মশা-মাছির জন্মহার বেড়ে যায়। একইভাবে আবাসিক কক্ষগুলোও অপরিষ্কার থাকায় ছারপোকাও বেড়ে গেছে। এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলেও প্রশাসনের তদারকি না থাকায় তারা কাজ করছে না। কোনো হলেই গত এক বছরে মশা ও ছারপোকা মারার কোনো ওষুধ ছিটানো হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হলসহ কয়েকটি হলের প্রশাসন ঢাকা সিটি করপোরেশনে ওষুধ ছিটানোর আবেদন করলেও তারা যথাসময় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটালেও তাতে কাজ হচ্ছে না। আবার হল কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিলেও ভালো ওষুধ ব্যবহার না করায় মরছে না মশা ও ছারপোকা। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট বায়তুল্লাহ কাদেরী বলেন, ‘মশা ও ছারপোকা মারার জন্য শিগগিরই হলের নিজস্ব অর্থায়নে ওষুধ ছিটানো হবে। তবে বিদ্যুতের ব্যাপারে হল প্রশাসনের কিছু করার নেই।’
প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। শীতকালে লোডশেডিং না থাকলে গত ২০০৭-০৮ সালের তত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে গ্রীষ্মকালে নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১টা থেকে ২ পর্যন্ত ১ ঘণ্টার লোডশেডিং চলে আসছে। বর্তমান সরকারের সময় গত বছর নিয়মিত এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও এ বছর তা বেড়ে যায়। এ বছর গ্রীষ্মকালে নির্ধারিত এক ঘণ্টা ছাড়াও সন্ধ্যা ও রাতে একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। কয়েকদিন আগে কলা ভবন একটানা তিনদিন বিদ্যুিবহীন ছিল বলে শিক্ষক-ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমীর হোসেন বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নির্ধারিত লোডশেডিং দেয়। এর বাইরে যে লোডশেডিং হচ্ছে তা আমাদের জানানো হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন