শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা

এ অবস্থায় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতনভাতা কীভাবে নিরূপিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিনটি অধিদফতরে এখন ঘনঘন সভা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষানীতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে তিন অধিদফতরকেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর আলাদা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলেছেন, পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল ঢেলে সাজালেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এতে শিক্ষকরাও খুশি হবেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে সরকার শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'সবাইকে সম্পৃক্ত করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোনোভাবেই শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা হবে না। তাদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকার আন্তরিক।' প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল শিক্ষানীতি প্রণয়নে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ওই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সুপারিশ জমা দেয়। গত বছর মে মাসে মন্ত্রিসভায় জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুমোদন পায়। পরে সেটি জাতীয় সংসদেও গৃহীত হয়। তবে বিরোধী দল ও সমমনা ধর্মভিত্তিক দলগুলো তখন এর বিরোধিতা করে। অবশ্য দেশের অনেক শিক্ষাবিদই শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন